• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লকডাউনের দিনে বাড়িতে যৌনকর্মী ডেকে বিপাকে কাইল ওয়াকার

    লকডাউনের দিনে বাড়িতে যৌনকর্মী ডেকে বিপাকে কাইল ওয়াকার    

    করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই কার্যত লকডাউনে আছে। নিজের এবং অন্যদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে সামাজিক দূরত্ব পালন করা এবং অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে দায়িত্বশীল সব মহল থেকে। এমন অবস্থায় অভাবনীয় এক কাজ করে বসলেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ রাইট ব্যাক কাইল ওয়াকার। গত মঙ্গলবার তিনি এবং তার এক বন্ধু মিলে দুজন যৌনকর্মীকে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন। লকডাউনের দিনে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।

    ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘সান’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাতে ২ তরুণীকে বাসায় আসার জন্য ২২০০ পাউন্ড দিয়েছেন ওয়াকার এবং তার বন্ধু। দুই এসকর্ট পরের দিন তার বাসা ছেড়ে গিয়েছিল, আর সেদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ভক্তদের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে সরকার এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) নির্দেশনা মেনে চলতে উৎসাহিত করেন তিনি।

    রবিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটির মুখপাত্র ওয়াকারের লকডাউন না মানার বিষয় নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, “ব্রিটিশ সরকারের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কিত বিধি ভঙ্গ করেছেন ওয়াকার, একটি ট্যাবলয়েডে এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”

    “খেলোয়াড়রা বৈশ্বিক রোল মডেল। সিটির সকল খেলোয়াড় এবং স্টাফ সব নিয়ম-কানুন মেনে এই দুর্যোগের সময়ে সরকার এবং এনএইচএসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ওয়াকার আমাদের প্রচেষ্টার একেবারে বিপরীতমুখী একটি কাজ করেছে। যদিও ওয়াকার তার কাজের জন্য সোজা ভাষায় ক্ষমা চেয়েছে, তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করছি, এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।”

    ২৯ বছর বয়সী ওয়াকার অবশ্য এরই মধ্যে এক বিবৃতি দিয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, “গত সপ্তাহে আমি যা করেছি, তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি জানি, পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমি একজন রোল মডেল। তাই আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, ফুটবল ক্লাব, সমর্থকদের হতাশ করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

    অবশ্য ওয়াকারই লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করা প্রথম ইংলিশ ফুটবলার নন। এর আগে অ্যাস্টন ভিলার জ্যাক গ্রিলিশও লকডাউনের সময় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ করে ক্লাবের জরিমানার মুখে পড়েছিলেন। লকডাউন ভেঙ্গে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর একটি সড়ক দুর্ঘটনার স্থলে তাকে দেখা যায়, এরপরই তাকে শাস্তি স্বরূপ জরিমানা করে অ্যাস্টন ভিলা কর্তৃপক্ষ। গ্রিলিশের থেকে আদায় করা জরিমানার অর্থ পরবর্তীতে বার্মিংহামের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস চ্যারিটিতে দান করা হয়।