• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ডেলিভারি ম্যান বনে গেলেন মরিনহো এবং ময়েস

    ডেলিভারি ম্যান বনে গেলেন মরিনহো এবং ময়েস    

    মাস খানেক আগেও ড্রেসিং রুমে খেলোয়াড়দের ‘টিম-টক’ দিতেন তারা, তবে লকডাউনের সময় এখন পুরোদস্তর খাবারের ডেলিভারি ম্যান বনে গেছেন ওয়েস্ট হাম ম্যানেজার ডেভিড ময়েস, আর ক্লাবের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে রীতিমত চাষাবাদ শুরু করেছেন টটেনহাম ম্যানেজার হোসে মরিনহো। খেলা বন্ধের সময়টা ঘরে বসে অলসভাবে না কাটিয়ে সমাজের কল্যাণমূলক কাজে অংশ নিচ্ছেন এই দুই ম্যানেজার।

    স্থানীয় এক গ্রোসারি শপের ‘ডেলিভারি ম্যান আবশ্যক’ বিজ্ঞাপন দেখে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডেলিভারি গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন ডেভিড ময়েস। আর মরিনহো টটেনহামের ট্রেনিং গ্রাউন্ড হটস্পার ওয়ে-তে খাদ্য উৎপাদনকাজে সহায়তা করছেন।

    করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় টটেনহামের স্টেডিয়ামের একটি অংশ ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (এনএইচএস) ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর ক্লাবের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে সাধারণ সময়ে খেলোয়াড়দের জন্য উৎপাদিত খাদ্যপণ্য এখন স্থানীয়ভাবে নিম্নবিত্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। আর প্রতিকূল এই সময়ে মরিনহো নিজেও ব্যক্তিগতভাবে খাদ্য উৎপাদনের কাজে সহায়তা করছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় টটেনহাম ম্যানেজারের বলেছেন, “ আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ফ্রন্টলাইনে দাড়িয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থা থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”

    আর লকডাউন শুরুর আগেই লন্ডন ছেড়ে নিজের পারিবারিক নিবাস ল্যাঙ্কাশায়ারে গিয়েছিলেন ডেভিড ময়েস। সেখানেই বর্তমানে ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করছেন তিনি, বিষয়টি জানিয়ে টকস্পোর্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ময়েস বলেন, “এখানে যখন করোনা প্রথম হানা দেয়, আমি তখন একটি ফল-সবজির দোকানে। এরপরই ‘ডেলিভারি ম্যান আবশ্যক’ ধরনের একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে আমার। আমি তখনই সেই কাজ শুরু করি। মানুষের বাসায় বাসায় ফল এবং সবজির বক্স পৌঁছে দেওয়াটাই ছিল আমার কাজ। আমি কাজটি বেশ উপভোগ করছি।”