• ফুটবল, অন্যান্য
  • " />

     

    মানুষ বিধি-নিষেধ মানতে নারাজ, তাই হতাশা জামালের ভুঁইয়ার কণ্ঠে

    মানুষ বিধি-নিষেধ মানতে নারাজ, তাই হতাশা জামালের ভুঁইয়ার কণ্ঠে    

    করোনাভাইরাসের কারণে এবারের সাফ ফুটবলের আয়োজন অনেকটাই অনিশ্চিত। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এই পরিস্থিতিতে অবশ্য সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য অনলাইনে ৭ দেশের খেলোয়াড়দের এক করে আয়োজন করেছিল দারুণ এক আড্ডার। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা লাইভে ডেনমার্ক থেকে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তবে, ডেনমার্কে থেকেও বাংলাদেশীদের আচরণে কিছুটা হতাশাই ঝরেছে জামালের কন্ঠে।

    "আমি এই মুহুর্তে আমার পরিবারের কাছে ডেনমার্কে আছি। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন, এখানকার সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থা মেলানোই যায় না। বাংলাদেশের মানুষও কিছুটা আলদা। তারা আসলে বিধি-নিষেধ মানতে চান না। করোনা পরিস্থিতিতেও তারা ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারছেন না। তবে এরপরও আশা করি খুব দ্রুতই সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। সেই অপেক্ষাতেই আছি।"- লাইভ আড্ডায় নিজ দেশের খবর জানিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া।


    জামাল ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন ভারত ডিফেন্ডার সান্দেশ ঝিঙ্গান, ভুটান অধিনায়ক কর্মা সেদরুপ শিরং, পাকিস্তানের ইউসুফ ভাট, মালদ্বীপের আব্দুল ঘানি, নেপালের কিরণ কুমার। শ্রীলঙ্কার কোনো খেলোয়াড় না থাকলেও যোগ দিয়েছিলেন সে দেশের একজন রেফারি।

    ফুটবলারর নিজেদের অনুভূতি বর্ণনা করেছেন আড্ডায়। তাদের ভেতর মালদ্বীপের আব্দুল ঘানির অভিজ্ঞতাটা অবশ্য একটু অন্যরকম। মার্চে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে খেলতে এসেছিলেন টিসি স্পোর্টসের এই ফুটবলার। কিন্তু এএফসি কাপের ম্যাচ শেষে নিজ দেশে ফিরতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় এক মাস। শ্রীলঙ্কায় কোয়ারেন্টিন কাটিয়ে এরপর মালদ্বীপ ফিরেও আবার কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছিল তাদের। বাস্তবা স্বীকার করে নিলেও সময়টা তার জন্য কষ্টকরই ছিল বলে জানাচ্ছেন ঘানি, "প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে ফুটবলের বাইরে আছি আমরা। ফুটবল ছাড়া জীবন আসলে কঠিন। ঘরে বসে থাকাও কঠিন। তবে এছাড়া উপায়ও নেই।"

    দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোর চেয়ে ভুটানের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। ভুটান অধিনায়কের কন্ঠে খানিকটা স্বস্তিই ঝরেছে। আবার পাকিস্তান গোলরক্ষক ইউসুফ ভাট এই অবস্থায় ফুটবলারদের দেখা পেয়েও আনন্দিত। সবাই ফুটবলে ফেরার কথা বললেও, জামাল ভূঁইয়া তরুণদের দিচ্ছেন দারুণ এক পরামর্শ। একটা বল থাকলেই কাজ শুরু করে দিতে বলেছেন তিনি, "আপনার কাছে যদি একটা বল থাকে তাহলে ওটা নিয়েই নেমে পড়ুন, আবার শিশু হয়ে যান। আমরা ছোটবেলায় যখন খেলতাম তখন টাকার কথা ভাবতাম না। আমরা খেলতে ভালোবাসতাম তাই খেলতাম। সেটা রাস্তায় হলেও খেলতাম। এভাবেই আমরা পরে ফুটবলার হয়েছি। আপনিও যা ভালোবাসেন তাই করতে থাকুন। শুধু একটা বল থাকলেই দেখবেন অনেক কিছু করতে পারেন আপনি!" 

    শুরুতে খানিকটা হতাশ হলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক একটা মন্ত্রও বলে দিয়েছেন সমর্থকদের জন্য!