• বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    আকমলের 'অনুতাপ নেই', 'ক্ষমা প্রার্থনাও করবেন না'

    আকমলের 'অনুতাপ নেই', 'ক্ষমা প্রার্থনাও করবেন না'    

    দুর্নীতির প্রস্তাব রিপোর্ট না করার দায়ে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া উমর আকমলের মাঝে কোনও ‘অনুতাপ নেই’, ‘ক্ষমাও প্রার্থনা করবেন না তিনি’ শাস্তি কমানোর জন্য। তার শাস্তির রায়ের পুরো রিপোর্টে এমন লিখেছেন পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্যানেল চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত  বিচারপতি ফজল-ই-মিরান চৌহান। 

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ থেকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড থেকে বরখাস্ত করা হয় আকমলকে। তবে পিসিবির দুর্নীতি দমন কোডের দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তবে শুনানিতে তার অংশগ্রহণ 'যথেষ্ট' মনে হয়নি প্যানেলের। 

    তার বিরুদ্ধে রায়ে চৌহান লিখেছেন, “মনে হচ্ছে সে (আকমল) অনুতাপ দেখানো বা ক্ষমা প্রার্থনার জন্য প্রস্তুত নয়, দুর্নীতি দমন কোডের ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা স্বীকার করতেও রাজি নয়। বরং সে এর আগে তার কাছে আসা এমন প্রস্তাব রিপোর্ট করেছে বলে সেগুলোর ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চায়।” 

    “এক নম্বর অভিযোগের ক্ষেত্রে আমি এমন কিছু পাইনি যা এই অপরাধকে স্তিমিত করে, বিশেষ করে যখন এই অংশগ্রহণকারী (উমর আকমল) পিসিবির নিরাপত্তা বিভাগকে সহায়তা করেনি।” 

    আকমলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, দুর্নীতির প্রথম ঘটনাটি ঘটে লাহোরের এক ডিনার পার্টিতে, যখন তাকে একজন অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তিনি দূরে থাকেন, এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে চৌহানের মতে, এ ঘটনা সঙ্গে সঙ্গেই দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জানাতে আকমল বাধ্য ছিলেন। আকমলের এ ব্যাখ্যাকেও যথেষ্ট মনে করা হয়নি তাই। 

    এমনকি আকমলকে দোষ স্বীকার করে শাস্তি কমানোর প্রার্থনার জন্য বলা হলেও নিজের ব্যাখ্যায় অটুট ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ঘটনাটিও ছিল লাহোর সংশ্লিষ্ট। আকমলের মতে, একজন তার কাছে সাহায্যের বিনিময়ে সুবিধা চেয়েছিলেন, একটি অমিমাংসিত ব্যাপার খোলাসা করতে। অস্বস্তি বোধ করে সে মিটিং ত্যাগ করেছিলেন আকমল। এ অভিযোগের জবাবে আকমল বলেছেন, এর আগেও মিডিয়া তার অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট বিষয় প্রকাশ করেছে। এ ব্যাখ্যাও সন্তুষ্ট করতে পারেনি প্যানেলকে। 

    দুটি অভিযোগে আলাদা করে ৩ বছরের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাকে, তবে দুটি শাস্তিই চলবে একসঙ্গে। সাধারণত এমন ক্ষেত্রে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও আকমল সেটি পাননি। পুরো ৩ বছরই সব ধরনের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে তাকে।