• ক্রিকেটারদের আলাপ
  • " />

     

    অধিনায়কত্বের বড় চ্যালেঞ্জ মাঠের ক্রিকেটের বাইরে, তামিমকে ডু প্লেসি

    অধিনায়কত্বের বড় চ্যালেঞ্জ মাঠের ক্রিকেটের বাইরে, তামিমকে ডু প্লেসি    

    একদজন সদ্য সাবেক হয়েছেন তার দেশের অধিনায়কের পদ থেকে। আরেকজন পেয়েছেন নতুন দায়িত্ব। ফাফ ডু প্লেসি ও তামিম ইকবালের আলোচনায় তাই নেতৃত্ব আসাটা স্বাভাবিকই। অধিনায়ক হিসেবে মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গে মাঠের বাইরের অনেক বিষয় অনেক চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন ডু প্লেসি। শেষদিকে এসবের পেছনে অনেক এনার্জি খরচ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। 

    ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মাঝে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডু প্লেসি। এ বছরই একে একে সব ফরম্যাটের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। কভিড-১৯ মহামারির লকডাউনের মাঝে তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভ-শোতে এসেছিলেন ডু প্লেসি, সেখানেই নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। 

    অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয়, পরিবর্তনগুলি। আমি যখন প্রথম অধিনায়কত্ব করি, সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল সিনিয়রদের বুঝানো যে আমি কী করতে যাচ্ছ। আমি অবশ্যই অধিনায়ক ছিলাম, ফলে আমার দিক থেকেও ব্যাপার ছিল। সিনিয়র ক্রিকেটারদের লিডারশিপ গ্রুপ ছিল।”

     


    “এরপর শেষ কয়েক বছরে যেটা হলো, আমার দিকে অনেক কিছু আসতে শুরু করলো, শুধু মাঠের ক্রিকেটে না। মাঠের বাইরে অনেক কিছু করতে হতো, এটা-সেটা-ওটা। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এটাই। মাঠের বাইরে অনেক এনার্জি খরচ করতে হতো। দলের একটা ভাল পরিবেশ আনা, আমি অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে জোর দিয়েছি ব্যাক্তিত্বের ওপর। যেমন- আমি কীভাবে তাদের সাথে আচরণ করছি, দলের পরিবেশ কেমন। আমি সত্যিকার অর্থেই জিজ্ঞাসা করতাম, তারা আমার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে কেমন বোধ করে। এসবই আমার কাছে বড় ব্যাপার। যতক্ষণ এটা করতে পারছিলাম, সমস্যা ছিল না। তবে গেল বছর অনেক এনার্জি খরচ হয়েছে, এটার থেকেও।” 

    এবি ডি ভিলিয়ার্সের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়া ডু প্লেসি দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিতিয়েছেন ৭০টি  ম্যাচ। শুরুতে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সময় এমএস ধোনি ও স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছিলেন তিনি, “আমি অনেক ভাগ্যবান ছিলাম, সিএসকেতে শুরু করতে পেরে। আমি এমএসের কাছ থেকে শিখতে পেরেছি অনেক, বিশেষ করে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে। আমি বিশ্বাস করি, অন্যের কাছ থেকে শেখা, এবং এরপর নিজের একটা প্রকিয়া বের করা। ফলে তখন কারও কপি করতে হয় না। 

    “প্রথম দুই বছর আমি স্টিভেন ফ্লেমিং ও এমএস ধোনির কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি। আমি অবাক হয়েছিলাম, কারণ ধোনি আলাদা। আমরা যেমন জানতাম, অধিনায়ককে সবসময়ই কথা বলতে হবে টিম মিটিংয়ে, নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে ধোনি আলাদা, সে সবসময় টিম মিটিংয়ে কথা বলতো না। তার ক্রিকেট মস্তিষ্ক অসাধারণ। সে তার ‘গাট ফিলিং’য়ের ওপর ভরসা করত। 

    “অবশ্যই সে অনেক শান্ত। আমি তার চেয়ে ফিনিশার দেখিনি ভাল। সে জানে, কখন চুপচাপ থাকতে হয়, কখন আক্রমণ করতে হয়।”

    ভবিষ্যতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে খেলার ইচ্ছা আছে তার, ডু প্লেসি তামিমকে জানিয়েছেন এমনও।