• ফুটবল, অন্যান্য
  • " />

     

    কেউ ইদের আনন্দ করবে, আর কেউ না খেয়ে থাকবে তা ঠিক না : জামাল ভূঁইয়া

    কেউ ইদের আনন্দ করবে, আর কেউ না খেয়ে থাকবে তা ঠিক না : জামাল ভূঁইয়া    

    কেউ ইদের আনন্দ করবেন, আর কেউ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকবেন- এমন পরিস্থিতি মানতে পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ৩০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। নিজের জার্সি নিলামে তোলা প্রসঙ্গে বলেছেন, নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করতে চান তিনি।

    জামাল অবস্থান করছেন ডেনমার্কে। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের কাছে একটি বিবৃতি পাঠিয়ে বলেছেন,”দেশের মানুষকে কিছু দিতে চাই আমি”।

    বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা সবসময় মুগ্ধ করেছে বলে দেশের বাইরে থেকেও দেশের কথাই ভাবছেন জামাল, “ গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ আমাকে সবকিছু দিয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমিও বাংলাদেশকে কিছু দিতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ আমাকে সবসময় ভালোবেসেছে।”

    মার্চের শেষদিক থেকে বাংলাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী মে মাসেও ছুটি বহাল থাকবে। এ অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশের অনেক মানুষই। তবে ইদ সামনে রেখে সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে অনেক বিপণি বিতান। এই পরিস্থিতিতেও দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতোই।
     

    “কেউ ইদের আনন্দ করবে, উপহার কিনবে, ভালো খাবার খাবে আবার কেউ না খেয়ে থাকবে এটা আমি ঠিক নয়। আমি সাহায্য করতে পারতাম কিন্তু করিনি- বুড়ো হয়ে এই আফসোস করতে চাই না।”

    গেল সপ্তাহে জামাল ভূঁইয়া নিজ গ্রামে অসহায় ৪০০ পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। সে চেষ্টা অবশ্য যথেষ্ট মনে হচ্ছে না তার কাছে, “আমার অতো টাকা নেই, কিন্তু আমি এরপরও অভাবী লোকের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।”

    গেল সপ্তাহে জামাল ভূঁইয়া নিজ গ্রামে অসহায় ৪০০ পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। সে চেষ্টা অবশ্য যথেষ্ট মনে হচ্ছে না তার কাছে, “আমার অতো টাকা নেই, কিন্তু আমি এরপরও অভাবী লোকের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।”

    বিত্তবানদের তাই সামর্থ্যমতো সাহায্য করার অনুরোধ করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “আমাদের দেশে অনেক বিত্তবান রয়েছে, আবার অনেকের কাছে খাওয়ার টাকা নেই, ঘর নেই, পরার কাপড় নেই। অনেকেই না খেয়ে আছেন। আমার মতে এটা আদর্শ কোনো অবস্থা নয়। যাদের টাকা আছে তারাও অনেক পরিশ্রম করে উপার্জন করেছেন। তাদের জন্য আমার সম্মান রয়েছে। আপনি কতোখানি সাহায্য করবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

    ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ে খেলা ম্যাচটির জার্সি নিলামে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া। এর আগে মোনেম মুন্না ও রেফারি তৈয়ব হাসানের জার্সিও নিলামে বিক্রি হয়েছে। আর সংগ্রহ করা সব অর্থ যোগ হয়েছে সাহায্য তহবিলে। জামালও সে পথেই হাঁটতে চাইছেন।