• ক্রিকেটারদের আলাপ
  • " />

     

    "সব দেশেই সমর্থন পায় ভারত, শুধু বাংলাদেশে পায় না"

    "সব দেশেই সমর্থন পায় ভারত, শুধু বাংলাদেশে পায় না"    

    সব দেশেই তারা সমর্থন পান, শুধু বাংলাদেশে পান না, এমন জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। দুই দেশের মানুষের মাঝে ক্রিকেটের প্যাশনটাও অনেক বেশি বলে মনে করেন তিনি। সাধারণত বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ভারত খেললেই তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি থাকে লক্ষণীয়। তবে বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম। 

    শেষ বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসের প্রায় ৩০ হাজার টিকেটের মাঝে অর্ধেকই কিনে রেখেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। ফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই ছিল ফেভারিট, তাদের সমর্থকদের আশা ছিল এমন। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। 

    এমন চিত্র অবশ্য শুধু শেষ বিশ্বকাপে নয়, ২০১৫ বিশ্বকাপেও ভারতের ‘নীল’ সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল অনেক। অবশ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ, বা এর আগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ সমর্থকদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে। শেষবার বাংলাদেশ যে মাঠেই খেলতে গেছে, মাঠের সমর্থন তারা পেয়েছে দারুণভাবে। এমনকি গত অ-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ভারত সমর্থকদের সঙ্গে টেক্কা দিয়েছে বাংলাদেশীরা। 

    তামিম ইকবালের শো-তে এসে রোহিত বলেছেন, দর্শকের উপস্থিতি আর তাদের সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। এখানেই শুধু সমর্থন পান না তারা, “ভারত কোনও মাঠে গিয়ে সমর্থন না পেয়ে অভ্যস্ত না। তবে বাংলাদেশ একমাত্র, যেখানে আমরা কোনও সমর্থন পাই না। হয়তো ১০০-২০০ মানুষ বসে থাকে। তবে আমরা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় সমর্থন পাই, অনেকে আসে খেলা দেখতে। শুধু বাংলাদেশ পাই না।”
     


    ২০১৯ বিশ্বকাপে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে গ্যালারিতে বাংলাদেশ সমর্থকরা/বিসিবি


    তবে মাঠে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের অভিবাদন জানিয়েছেন তিনি, “আমি বাংলাদেশের ব্যাপারটা জানি, সেখানে মানুষ কতোটা প্যাশনেট ক্রিকেট নিয়ে। বিশেষ করে মাঠে যারা আসে। এটা অবিশ্বাস্য। আর যারা খেলা দেখতে আসে, তাদের সবাইক কুর্নিশ।”

    “ভারত ও বাংলাদেশে লোকে অনেক বেশি প্যাশনেট ক্রিকেট নিয়ে। আমরা যখনই ভুল করি, সমালোচনা হয়, সবাই করে। আমি নিশ্চিত, সেখানেও সবাই করে।” 

    গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দল বেশ বদলে গেছে বলেও তামিমকে বলেছেন তিনি, “আর বাংলাদেশ দল এখন পুরোই আলাদা। গত ১০ বা ১৫ বছর আগের চেয়ে। আমার মনে হয়, তোমাদের প্রত্যেকেরই এখন একটা আগ্রহ থাকে বাংলাদেশের জন্য। এমন না যে শুধু আমি বলছি। সবাই বলে। বিশ্বকাপে দেখেছি। গত ২-৩ বছরে যেসব টুর্নামেন্ট খেলেছ, সেগুলোতে দেখা গেছে।”

    এছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে তামিমদের মতো ক্রিকেটারদের একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কয়েক মৌসুম খেলা গুরুত্বপূর্ণ বলে তামিমের সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন রোহিত। বাংলাদেশের মতো এতো প্যাশনেট দর্শক তো আর দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “এভাবেই তো সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হবে। একবার এক দলে, আরেকবার অন্য দলে করলে আসলে তারাও বুঝে উঠতে পারবে না, কাকে সমর্থন দেবে। যে কোনও খেলাতেই কিন্তু সমর্থক-ভক্তরা গুরুত্বপূর্ণ, তাদের কারণেই খেলা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। বিসিবি এদিকে নজর দিতে পারে। দুই-তিনজন ক্রিকেটারকে যদি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে রাখা যায়।” 

    এর আগে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহার সঙ্গেও বিপিএলের আইকন ক্রিকেটারদের এক দলে কয়েক মৌসুম খেলার ব্যাপারে কথা বলেছিলেন তামিম। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন তারাও।