• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    নিলামে ৪২ লাখে বিক্রি হলো মাশরাফির ব্রেসলেট, তবে থাকবে তার হাতেই

    নিলামে ৪২ লাখে বিক্রি হলো মাশরাফির ব্রেসলেট, তবে থাকবে তার হাতেই    

    নিলামে ৪২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্রেসলেট। তবে সে ব্রেসলেট নিলামে কিনে নিলেও সেটি মাশরাফিকেই উপহার দেবে যে সংগঠন এটি কিনেছে। আপাতত মাশরাফির হাতেই থাকবে সেটি, বিএলএফসিএ নামে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সে ব্রেসলেট মাশরাফিই পরবেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সে ব্রেসলেট আবারও তার হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা তাদের।

    ‘অকশন ফোর অ্যাকশন’ নামে একটি প্লাটফর্ম থেকে নিলামে তোলা হয়েছিল মাশরাফির প্রায় সর্বক্ষণের সঙ্গী এই ব্রেসলেট। সেখানে অনলাইন বিডিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে এই ব্রেসলেট, ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন মাশরাফিও। 

    নিলামে বিড ৪০ লাখ হলেও সহযোগী হিসেবে আরেকটি সংগঠন প্রতিটি স্মারকের জন্য বাড়তি ৫ শতাংশ দেবে বলে ব্রেসলেটের দাম আদতে হয়েছে ৪২ লাখ। 

    এ নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে মাশরাফির ফাউন্ডেশন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে। মাশরাফি বলেছেন, তিনি চেষ্টা করবেন এ অর্থ নড়াইলের বাইরেও ব্যয় করতে, “নড়াইলের বাইরেও করার চেষ্টা করব। কয়েকটি সংগঠন ভাল করছে বলে শুনেছি। তবে নড়াইলেই মূলত, আমাদেরটা একটা গরীব জায়গা। আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করতে চাই।”

    এর আগে এ ব্রেসলেট ও এর নিলামে তোলার পেছনে বিডিনিউজটোয়েন্টিফরডটকমকে মাশরাফি বলেছিলেন,  “গত ১৮ বছরে খুব কম সময়ই এটি খুলেছি হাত থেকে। অপারেশনের সময়, এমআরআই করানোর সময় খুলতে হয়েছে। আর কয়েকটি ম্যাচ বা কিছু সময়ের জন্য খুলেছি শুধু। তবে যখনই খুলেছি, কখনোই স্বস্তি বোধ করিনি। মনে হতো, কী যেন নেই, খালি খালি লাগত। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে, এটি আমার সৌভাগ্যের প্রতীক।”

    “আমার ক্যারিয়ারের সব উত্থান-পতনের স্বাক্ষী এই ব্রেসলেট। যত লড়াই করেছি, মাঠের ভেতরে-বাইরে যত কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, সব কিছুর স্বাক্ষী এটি। আমার ১৮ বছরের সুখ-দুঃখের সাথী। আমার অনেক আবেগ-ভালোবাসা জড়িয়ে এটিতে, এই ব্রেসলেটকে আসলে ব্যাখ্যা করা আমার জন্য খুব কঠিন।”

    এর আগে সাকিব আল হাসান নিলামে তুলেছিলেন তার বিশ্বকাপের ব্যাট, মুশফিকুর রহিমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে কিনে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির ফাউন্ডেশন।