• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    সামাজিক দূরত্ব, বলে থুতু-লালার ব্যবহার- করোনার পর ক্রিকেটে যা করা যাবে, যা যাবে না

    সামাজিক দূরত্ব, বলে থুতু-লালার ব্যবহার- করোনার পর ক্রিকেটে যা করা যাবে, যা যাবে না    

    ক্রিকেট বলে থুতু বা লালার ব্যবহার করা যাবে না, ব্যক্তিগত ইকুইপমেন্ট যেমন ক্যাপ, সানগ্লাস, সুয়েটার রাখতে দেওয়া যাবে না আম্পায়ারের কাছে। মাঠেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ড্রেসিংরুমের ব্যবহার রাখতে হবে সীমিত। আইসিসির দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরলে অনুসরণ করতে হবে এসব। 

    শুক্রবার প্রকাশিত এ গাইডলাইন সংশ্লিষ্ট সরকার ও জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবহার করতে বলেছে আইসিসি। তাদের মতে, এ গাইডলাইন ‘কবে ক্রিকেট ফিরবে’ তার কোনও জবাব নয়, বরং ক্রিকেট কীভাবে ফিরতে পারে সেটির একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণে সহায়ক হবে। 

    কভিড-১৯ মহামারীর কারণে মার্চের পর থেকেই কার্যত বন্ধ আছে সব ধরনের ক্রিকেট। 

    সামাজিক দূরত্ব 

    “ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, এবং ক্যাপ, তোয়ালে, সানগ্লাস, সুয়েটার আম্পায়ার বা অন্য কোনও সতীর্থকে দেওয়া যাবে না। এমন একটি প্রক্রিয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে, যাতে করে বোলাররা তার সরঞ্জামাদি নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে”, বলা হয়েছে 'আইসিসি ব্যাক টু ক্রিকেট' নামের এ গাইডলাইনে। 

    “বলের সংস্পর্শে এলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বল স্পর্শ করার পর চোখ, নাক ও মুখে হাত দেওয়া যাবে না। বলে থুতু বা লালা ব্যবহার করা যাবে না।” 

    উদযাপনে শারীরিক সংস্পর্শ, কিংবা একজনের বোতল বা তোয়ালে অন্যজন ব্যবহারে ঝুঁকি আছে বলে এসব নিরুৎসাহিত করেছে আইসিসি। 

    অনুশীলন ও ভ্রমণ 

    অনুশীলনের কয়েকটি ধাপ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে আইসিসি। সংশ্লিষ্ট সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী অনুশীলন সম্ভবপর হলে প্রথম ধাপে ৩ জনের কম, এরপর ১০ জনের কম, এরপর পুরো দলকে ধাপে ধাপে অনুশীলন করতে বলেছে তারা। এছাড়া বোলারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ক্ষেত্রে অনুশীলনের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে

    অনুশীলনে সম্ভব হলে নিজেদের প্রস্তুত হয়ে আসতে বলা হয়েছে, ড্রেসিংরুম বা এমন সুযোগ-সুবিধা যথাসম্ভব কম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সরকারের নীতি অনুযায়ী ভ্রমণে কড়াকড়ি না থাকলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের আগে সম্ভব হলে ১৪ দিনের আইসোলেশন এবং পুরো দলের কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। 

    সম্ভব হলে চার্টার্ড বিমান, কিংবা পর্যাপ্ত দূরত্বের সিট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। 


    আরও পড়ুন- 'ফুটবলের নতুন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম'


    যারা ঝুঁকিপূর্ণ

    ৬০-এর অধিক বয়সী ম্যাচ অফিশিয়াল এবং সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে যাদের স্বাস্থগত সমস্যা যেমন হৃদযন্ত্র, কিডনি, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দূর্বল রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি সমস্যা আছে, তাদেরকে কভিড-১৯ এ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিশেষভাবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ‘ম্যাচ অফিশিয়ালরা ক্রিকেট মাঠে সবচেয়ে বেশি সময় ক্রিকেটারদের সংস্পর্শে কাটান’ বলে তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছে আইসিসি। 

    কারও কভিড-১৯ পজিটিভ হলে কী হবে?

    খেলা চলাকালীন সময়ে কেউ কভিড-১৯ পজিটিভ হলে সেক্ষেত্রে সে ম্যাচের কী হবে, আপাতত সেটি নির্দিষ্ট করেনি আইসিসি। তাদের গাইডলাইনে বলা আছে, “কোনও অংশগ্রহণকারী কভিড-১৯ এর সংস্পর্শে এলে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ এবং হাসপাতাল সুবিধা প্রস্তুত রাখতে বলা হচ্ছে।” মাঠে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য অন-কল ডাক্তার রাখতেও বলেছে তারা। সব মিলিয়ে যাতে জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে “আপস করা না হয়”, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। 

    সরকার যদি মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়, সেক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বলেছে তারা।