• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    গ্রায়েম হিকসহ ৪০ জনকে ছাঁটাই করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

    গ্রায়েম হিকসহ ৪০ জনকে ছাঁটাই করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া    

    করোনাভাইরাসের প্রভাবে টালমাটাল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। করোনার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি ঠিকঠাক সামাল দিতে পারেননি, এমন অভিযোগে প্রধান নির্বাহীকে চাকরীচ্যুত করার একদিনের মাথায় বোর্ডে আরও ৪০ টি পদ বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দলের ব্যাটিং কোচ গ্রায়েম হিকসহ বোর্ডের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৪০ জন চাকরি হারাচ্ছেন। এই ৪০ টি পদ বিলুপ্ত করা এবং আরও কিছু পদক্ষেপের নেওয়ার মাধ্যমে প্রায় ৪০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

    জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ এবং ব্রিসবেনে অবস্থিত ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের হাই-পারফরম্যান্স প্রোগ্রামের ওপর দিয়েই মূলত ঝড়টা বয়ে গেছে। ২০১৬ সাল থেকে ফিঞ্চ-ওয়ার্নারদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হিক।


    খরচ কমাতে বোর্ডের এই পদক্ষেপগুলোর ফলে বিগ ব্যাশ, শেফিল্ড শিল্ড বা মার্শ কাপের মতো টুর্নামেন্টগুলোর ফরম্যাটে প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে ধারণা করলেও বোর্ডের পক্ষ থেকে এমনটা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় একাদশ প্রতিযোগিতা ও অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রোগ্রাম আগামী অর্থবছরে স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া এই সময় অস্ট্রেলিয়া এ দল এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশ কোনও সফর করবে না। এদিকে প্রধান নির্বাহীকে চাকরীচ্যুত করার পর বোর্ডের নির্বাহী পর্যায়ে আর কোনও পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি।

    করোনার সময়ে আর্থিক প্রবাহ ঠিক রাখতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আর কিছু সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের নতুন প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। ২০১৮-১৯ ক্রিকেট মৌসুমে বোর্ডের বেশকিছু সিদ্ধান্তের ফলে খরচ বেশ বেড়ে গিয়েছিল বলেও স্বীকার করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আর করোনার মতো মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় সংস্থাটির প্রস্তুতির স্বল্পতা ছিল বলে মেনে নিয়েছেন সিএ-র চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস, “প্রতিটি সংস্থাই এই ঝুঁকি মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এমন একটি মহামারী আঘাত হানতে পারে এটা কেউই ভাবতে পারেনি। এর ফলে এখন সব প্রতিষ্ঠানই নিজেদের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং রিজার্ভ পলিসি নিয়ে নতুন করে ভাবছে।”