• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ক্রিকেটে বাউন্সার আইনও বর্ণবাদী, অভিযোগ স্যামির

    ক্রিকেটে বাউন্সার আইনও বর্ণবাদী, অভিযোগ স্যামির    

    ক্রিকেটে বর্ণবাদ নিয়ে আবারও সরব হলেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদী আন্দোলনের বিষয়ে আইসিসির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এরপর আইপিএলে খোদ নিজেই বর্ণবাদের স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক। এবার ১৯৯১ সালে প্রণীত ক্রিকেটের বাউন্সার সংক্রান্ত আইনকেও পরোক্ষভাবে বর্ণবাদী হিসেবে বর্ণনা করেছেন স্যামি।


    ‘ইনসাইড আউট’ নামের এক অনুষ্ঠানে তিনি ‘কালো দলে’র সাফল্য রুখতেই এই আইন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, “ফায়ার ইন ব্যবিলনে দেখা যায় কীভাবে (জেফ) থমসন, (ডেনিস) লিলিরা বাউন্সার দিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্ষরিক অর্থে ঘায়েল করত। আর তারপরই দেখা গেল, একটি কালো দল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) অনেক ভালো খেলছে। তখনই বাউন্সার আইন সহ বিভিন্ন জিনিস আসা শুরু হয়। আমি যতটুকু বুঝি, একটি কালো দলের সাফল্য রুখতেই এমন বিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল।”

    “আমার ধারণা ভুল হতে পারে, তবে আমি বিষয়টিকে এভাবেই দেখি। আর এমনটা হওয়া উচিৎ নয়।”

    ১৯৯১ সালে বাউন্সারের বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করে আইসিসি। যাতে বলা হয়, প্রতি ওভারে একজন ব্যাটসম্যানকে একটির বেশি বাউন্সার করা যাবে না। মূলত একের পর এক বাউন্সার দিয়ে ব্যাটসম্যানদের মাঝে ভীতি ধরানোর বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করতেই এই আইন করেছিল আইসিসি।

    সে সময়ের কিংবদন্তি উইন্ডিজ পেসার কার্টলি অ্যামব্রোসও আইনটি নিয়ে তার অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন নিজের আত্মজীবনী ‘টাইম টু টকে’। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ব্যাপারে তখনকার সময়ে ক্রিকেটে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি, “ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলাররা ব্যাটসম্যানদের আউট করার চেয়ে তাদের ঘায়েল করতে পছন্দ করে, এরকম একটি ভুল ধারণা আছে। এটি অসত্য। বাউন্সার ফাস্ট বোলারদের তূণের একটি অস্ত্র। কয়েকটি বাউন্সার দিয়ে ব্যাটসম্যানকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারলে তখন আউট করা সহজ হয়। আর এমন নয় যে, এটি শুধু আমরাই করতাম, আমাদের ব্যাটসম্যানরাও প্রতিপক্ষের বাউন্সারে আহত হয়ছে। এটি খেলার অংশ।”