• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    'ভুল পথে যাচ্ছে ফুটবল', বিতর্কিত ভিএআর সিদ্ধান্তের পর মরিনহো

    'ভুল পথে যাচ্ছে ফুটবল', বিতর্কিত ভিএআর সিদ্ধান্তের পর মরিনহো    

    আবারও ভিএআরের ওপর চটলেন হোসে মরিনহো। এমনিতেই টটেনহামের পারফরম্যান্স এই মৌসুমে যাচ্ছেতাই। পয়েন্ট টেবিলে দুরবস্থার কারণে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার আশাও মিলিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর ভিএআরের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে মাথা ঠাণ্ডা স্বাভাবিকভাবেই দায় হয়ে পড়ছে ;স্পেশাল ওয়ানে’র জন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছে টটেনহাম। ম্যাচের প্রথমার্ধে শেফিল্ড প্রথম গোল পাওয়ার পরের আক্রমণেই হ্যারি কেইনের বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশের সুবাদে সমতায় ফিরে এসেছিল টটেনহাম। কিন্তু গোলের বিল্ডআপে লুকাস মৌরা বেশ কয়েকজন শেফিল্ড ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ এড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান, আর পড়ে যাওয়ার পর তার হাতে সামান্য ছুঁয়ে যায় বল। সেই বল কেইনের কাছে পৌঁছানোর পর গোলরক্ষকে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠান টটেনহাম স্ট্রাইকার।


    কিন্তু বিধি বাম! ভিএআর চেকে মৌরার হাতে বল স্পর্শ কড়ায় গোল বাতিল হয়ে যায়। তবে যেহেতু মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় মৌরা শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, তাই সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করে গোল বৈধ ঘোষণা করাটাই হত ঠিক কাজ, এমনটাই মত টিভি পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সবার। কিন্তু ভিএআর অফিসিয়াল মাইকেল অলিভার তার উল্টো সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ম্যাচের পর তাই স্বাভাবিকভাবেই চটেছেন মরিনহো, “রেফারি তো অফিসে। মাঠের রেফারিকে আমি আর অভিযোগ করি না, কারণ এসব সিদ্ধান্তে তাদের হাত থাকে না। আমার মনে হয়, মূল সিদ্ধান্ত মাঠের রেফারির কাছ থেকে আসা উচিৎ। বাকিদের কাজ শুধু তাকে সাহায্য করা। আমাদের সবার প্রিয় খেলা, সুন্দর এই খেলা ভুল পথে যাচ্ছে।”

    ভিএআরের সেই সিদ্ধান্তের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি টটেনহাম। শেফিল্ড আরও দুই গোল করে এরপর স্পার্সদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। শেষদিকে কেইন সান্ত্বনাসূচক একটি গোল পেয়েছেন। যদিও ভিএআরের সিদ্ধান্তকে হারের পিছনে একটি কারণ হিসেবে দেখছেন মরিনহো, “আমাদের আরও ভালো করতে হবে। ম্যাচের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে। মাইকেল অলিভারের সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে মরে যাওয়া চলবে না।”

    প্রতিপক্ষে থাকার পরও শেফিল্ড ইউনাইটেডের ম্যানেজার ক্রিস ওয়াইল্ডারও ভিএআরের সিদ্ধান্তকে ‘প্রহসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, “ওটা ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল ছিল না। এই আইনটি ক্রমেই হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে। আমরাও ভুক্তভোগী। সত্যি বলতে ওটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।”