• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    মাঠের 'কঠিন পরিবেশে' অনুশীলনে ফিরলেন মুশফিকরা

    মাঠের 'কঠিন পরিবেশে' অনুশীলনে ফিরলেন মুশফিকরা    

    শফিউল ইসলামের মুখে মাস্ক, হতে গ্লাভস। একাডেমি মাঠে রানিং করছিলেন তিনি সেভাবেই। বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার দিনও তাই থাকলো ‘দ্য নিউ নরমাল’। রবিবার দেশের ৪টি আলাদা ভেন্যুতে বিসিবির অধীনে অনুশীলনে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। প্রথমদিন ৭ জন ক্রিকেটার ৩টি ভেন্যুতে অনুশীলন করেছেন, প্রথমদফা অনুশীলনে ফিরছেন ৯ জন। 

    আলাদা আলাদা স্লটে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফিরিয়েছে বিসিবি। মিরপুরে মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও শফিউল ইসলাম করেছেন রানিং, জিম ও ব্যাটিং। একাডেমি মাঠ ও ইনডোরে এসব করেছেন তারা। তবে একজনের পর আরেকজন-- এমন হিসেবে অনুশীলন করেছেন তারা। মাঠে ক্রিকেটার ও ট্রেইনার ছাড়া প্রবেশাধিকার ছিল না আর কারোরও।

    সিলেটে খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদের সঙ্গে খুলনায় মাহেদি হাসান ও নুরুল হাসান ফিরেছেন অনুশীলনে, বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে সে সুযোগ হয়নি নাঈম হাসানের। সোমবার মিরপুরে অনুশীলন করার কথা আছে ইমরুল কায়েসের। প্রথমদফা ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৪টি ভেন্যুতে তাদের অনুশীলনের সূচি ঠিক করে দিয়েছে বিসিবি। 
     


    রবিবার মিরপুরের ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনে মুশফিক/বিসিবি


    করোনাভাইরাসে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম বিসিবির অধীনে মাঠে ফিরলেন ক্রিকেটাররা। তবে ঘরবন্দী অবস্থা থেকে বেরিয়ে সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে পেতে একটু সময় লাগবে, মানছেন তারা। মিঠুন বলছিলেন, “দীর্ঘ ৪ মাস পর মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। ব্যাটিং, রানিং-- সবকিছুই একটু কঠিন মনে হচ্ছে মাঠের পরিবেশে। তবে আশা করছি কিছু দিন গেলে আমরা সবকিছুই আগের মতো করে ফিরে পাব।” 

    মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কার্যত বন্ধ ছিল ক্রিকেট-সংক্রান্ত মাঠের কার্যক্রম। এতদিন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরে থেকেই মূলত ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন ক্রিকেটাররা। বিসিবি তাদের সহায়তা করেছে জিম ইকুইপমেন্ট দিয়ে। সঙ্গে ছিল ভার্চুয়াল মিটিং, করোনা-আপডেট পেতে অ্যাপের ব্যবস্থা। 

    মুশফিকসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এর আগেই বিসিবির কাছে অনুশীলনের অনুমতি চেয়েছিলেন, তবে সেটি দেয়নি বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ক্রিকইনফোকে বলেছেন, “মে থেকেই আমরা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনুশীলনের অনুরোধ পেয়েছি, তবে আমরা রাজি হইনি। পরিস্থিতি ভাল ছিল না, এখন যে সব ঠিকঠাক তাও না। তবে মে মাসের পর থেকে আমাদের মাঠ ও অনুশীলনের কাঠামো প্রস্তুত আছে আমাদের, ফলে ক্রিকেটারদের জন্য এসব উন্মুক্ত করে দিয়েছি আমরা। মহামারি যতদিন থাকবে, এভাবেই অনুশীলন চলবে। যে কেউ চাইলে আমরা তার জন্য সূচি ঠিক করে দেব। পরিস্থিতির উন্নতি হলে অবশ্যই পুরোদমে অনুশীলন শুরু হবে।” 

    কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এরই মাঝে স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের বেশ কিছু সফর ও সিরিজ। সামনে এফটিপিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, তবে সেটিও বাতিলের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে সোমবার। আপাতত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ভাবছে বিসিবি।