• আয়ারল্যান্ডের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    বিশ্বকাপ সুপার লিগ : ফ্রন্ট-ফুটের নো বল টিভি আম্পায়ারের কাছে, বাংলাদেশের সম্ভাব্য সিরিজ

    বিশ্বকাপ সুপার লিগ : ফ্রন্ট-ফুটের নো বল টিভি আম্পায়ারের কাছে, বাংলাদেশের সম্ভাব্য সিরিজ    

    ফ্রন্টফুটের নো-বলের ভার পুরোপুরি চলে যাচ্ছে টিভি আম্পায়ারের কাছে। আইসিসির চালু করা নতুন বিশ্বকাপ সুপার লিগের সব ম্যাচে এখন থেকে নো-বল দেখবেন টিভি আম্পায়ার, যে নিয়ম চালু হচ্ছে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়েই। এর সঙ্গে আসছে স্লো-ওভাররেটের কারণে পয়েন্ট কাটা যাওয়ার নিয়মও। 

    ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য দল বাছাইয়ে শুরু হচ্ছে আইসিসির এই নতুন লিগ। প্রতিটি দল এই লিগে চারটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস-- ১৩ দলের মাঝে হবে মোট ১৫৬টি ম্যাচ। 

    পয়েন্ট পদ্ধতি 

    প্রতিটি জয়ের জন্য একটি দল পাবে ১০ পয়েন্ট করে। টাইয়ের জন্য থাকবে ৫ পয়েন্ট। ম্যাচ পরিত্যাক্ত বা ফল না এলে, কিংবা হারের জন্য থাকবে না কোনও পয়েন্ট। লিগ শেষে শীর্ষ ৭ দলের সঙ্গে আয়োজক ভারত সরাসরি সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। বাকি ৫টি দলকে খেলতে হবে সহযোগি দেশগুলির সঙ্গে বাছাইপর্ব। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে তাদেরকে আলাদা করার মানদন্ড থাকবে আলাদা। 

    সময়সীমা 

    ২০২৩ বিশ্বকাপ ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে পিছিয়ে অক্টোবর-নভেম্বরে নেওয়া হয়েছে কিছুদিন আগে। কভিড-১৯ এর কারণে যে সকল সিরিজ হতে পারেনি, আইসিসির আশা বাড়তি সময়ে সুপার লিগের আওতার ভেতর পড়া সেসব সিরিজ শেষ হবে ২০২৩ সালের শুরুর দিকেই। আইসিসির পরবর্তী বোর্ড সদস্যদের সভায় ঠিক করা হবে এ সিদ্ধান্ত। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো ওয়ানডে সুপার লিগেও দ্বিপক্ষীয় সব সিরিজই এর আওতার মধ্যে থাকবে না। ৩ ম্যাচের বেশি কোনও সিরিজ হলে প্রথম তিনটি ম্যাচ আসবে পয়েন্ট পদ্ধতির মাঝে। 

    যা কিছু নতুন নিয়ম 

    এই লিগ দিয়েই ফ্রন্ট-ফুটের নো বলের সিদ্ধান্তের ভার চলে যাচ্ছে টিভি আম্পায়ারের ওপর। এর আগে ২০১৬ সালে পরীক্ষামূলকভাবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল আইসিসি। এরপর গত বছর ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত ওভারের সিরিজে আবার চালু হয়েছিল এ নিয়ম। সর্বশেষ উইমেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই নো-বল দেখেছেন টিভি আম্পায়ার। সুপার লিগের পর আন্তর্জাতিক সব ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেই এ নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে আইসিসি। 

    “বৃহস্পতিবার (আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ডের ম্যাচে) এবং এই সিরিজে এই নিয়ম থাকবে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফ্রি-হিটের গুরুত্ব আছে অবশ্যই, এ কারণে নো-বল ঠিকঠাক ডাকার দরকার আছে। এটার ভবিষ্যত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ সুপার লিগে এ নিয়ম চালু করতে সুপারিশ করেছে ক্রিকেট কমিটি”, বলেছেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস। 

    সুপার লিগে থাকছে স্লো-ওভাররেটের কারণে পয়েন্ট কাটা যাওয়ার নিয়মও। নির্ধারিত সময়ে প্রতি এক ওভার কম করলে একটি করে পয়েন্ট কাটা যাবে দলের। এর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ছিল স্লো ওভাররেটের কারণে পয়েন্ট-পেনাল্টির নিয়ম। 

    সুপার লিগ দিয়ে বাড়ছে ইনিংসপ্রতি রিভিউয়ের সংখ্যাও। কভিড-১৯ এর কারণে স্থানীয় আম্পায়ার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি, ফলে প্লেয়িং কন্ডিশনে প্রতি ইনিংসে দলপ্রতি বাড়ানো হয়েছে একটি করে রিভিউ। এখন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে প্রতি দল দুটি করে ব্যর্থ রিভিউ নিতে পারবে। 


    বাংলাদেশের সম্ভাব্য সিরিজ 

    কভিড-১৯ এর কারণে এখন পর্যন্ত স্থগিত হওয়া সিরিজগুলির মাঝে বাংলাদেশের ওয়ানডে খেলার কথা ছিল আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। এর বাইরে এ বছর ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আছে ওয়ানডে সিরিজ। 

    ২০২১ সালে এফটিপিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ আছে ৪টি। দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জানুয়ারিতে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে অক্টোবরে। এছাড়া অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড ও জুন-জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে যাওয়ার কথা তাদের। 

    এর পরের বছর থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগের সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ ৭টি। আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ এ সময় আতিথেয়তা দিতে পারে যথাক্রমে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ, অক্টোবর, নভেম্বর ও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের কথা আছে যথাক্রমে মার্চ, জুন-জুলাই, জুলাই-আগস্টে। 

    ফলে বিশ্বকাপ সুপার লিগে একদিকে যেমন অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ, তেমনি হবে না নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলাও।