• সিরি আ
  • " />

     

    হিগুয়াইনের রেকর্ডের পিছু নিয়েছেন ইমমোবিলে

    হিগুয়াইনের রেকর্ডের পিছু নিয়েছেন ইমমোবিলে    

    সিরি আতে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ার হাতছানি চিরো ইমমোবিলের সামনে। ব্রেসিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে ইমমোবিলে আরও একবার স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন ম্যাচের ৮২ মিনিটে। সিরি আতে এখন পর্যন্ত তার ৩৬ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫টি। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়ের পথে বড় এক ধাপ এগিয়েছেন তিনি। সঙ্গে অনন্য আরেকটি রেকর্ডের হাতছানিও আছে তার সামনে। আর এক গোল করলেই সিরি আর ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের গঞ্জালো হিগুয়াইনের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন লাৎসিও স্ট্রাইকার।

    ৩৫ তম গোল করে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে নর্দহালের ৩৫ গোলের রেকর্ড ছুঁয়েছেন ইমমোবিলে। হিগুয়াইনের রেকর্ড স্পর্শ করতে বা ভাঙতে ইমমোবিলে হাতে পাচ্ছেন আর এক ম্যাচ। ২০১৫-১৬ তে ৩৬ গোল করে ইতালিয়ান লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন হিগুয়াইন। সেবার হিগুয়াইনের ৩৬ গোলের মাত্র ৪টি এসেছিল পেনাল্টি থেকে, ইমমোবিলে অবশ্য ৩৫ গোলের ১৪টি করেছেন পেনাল্টি থেকে।


     ৩৫ গোল করে ইমমোবিলে ছাড়িয়ে গেছেন রবার্ট লেভানডফস্কিকেও। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনি। বুন্দেসলিগায় এই মৌসুমে ৩১ ম্যাচে ৩৪ গোল করা লেভানডফস্কি এতোদিন ইউরোপিয়ান লিগের গোলদাতাদের ভেতর এগিয়ে ছিলেন।

    লেভানডফস্কিকে টপকে যাওয়ার পর ইমমোবিলে একটা ব্যাপার অন্তত নিশ্চিত করেছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে ফ্রাঞ্চেস্কো টট্টির পর প্রথম বারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু যাচ্ছে ইতালিয়ান লিগের কোনো খেলোয়াড়ের কাছে। ইমমোবিলের সঙ্গে দৌড়ে টিকে আছেন কেবল রোনালদো। সিরি আর এক ম্যাচ বাকি থাকতে ইমমোবিলের চেয়ে ৪ গোলে পিছিয়ে আছেন তিনি। লিগের শেষ ম্যাচে লাৎসিওর প্রতিপক্ষ নাপোলি। আর জুভেন্টাস খেলবে রোমার বিপক্ষে।

    ২০০৬-০৭ মৌসুমে টট্টি গোল্ডেন শু জেতার পর লা লিগার বাইরে এই ট্রফি গেছে মাত্র একবার। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। এরপর থেকেই লা লিগার ক্লাবগুলো একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে। এক লিওনেল মেসিই সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রেকর্ড ৬ বার। ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিভারপুলের লুইস সুয়ারেজ যুগ্মভাবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন রোনালদোর সঙ্গে।

    রোনালদোও সবমিলিয়ে চারবার হয়েছেন ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তবে লিগের আর এক ম্যাচ বাকি থাকতে ইমমোবিলেকে ছাড়িয়ে যেতে অসাধারণ কিছুই করতে হবে তাকে। নাটকীয় কিছু না হলে তাই সর্বোচ্চ গোলদাতা এবার  ৩০ বছর বয়সী ইমমোবিলেই হতে যাচ্ছেন।