• লা লিগা
  • " />

     

    আস্থা ভোটে পদ হারাবেন বার্তোমেউ?

    আস্থা ভোটে পদ হারাবেন বার্তোমেউ?    

    আবারও বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। এবার তার বিরুদ্ধে আস্থা ভোট করার ঘোষণা দিয়েছে বার্সেলোনার বিভিন্ন সমর্থকগোষ্ঠীর সম্মিলিত সংগঠন কর ব্লগরানা। বার্তোমেউ এবং তার বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের বিরুদ্ধে ‘অগ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনা’র অভিযোগ এনে এই আস্থা ভোটের উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।

    আস্থা ভোট করতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে মোশন ফাইল করার ১৪ দিনের মধ্যে সংগঠনটিকে ১৭ হাজার বার্সেলোনা সদস্যের স্বাক্ষর জোগাড় করতে হবে। আর সেটি জোগাড় করতে পারলে তখন ক্লাবের ১ লাখ ৫৪ হাজার সদস্য আস্থা ভোটে অংশ নেবেন। সেই ভোটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য বার্তোমেউ এবং তার বোর্ডের ওপর অনাস্থা জানালে তখনই নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে।


    যদিও বর্তমান অবস্থায় ১৭ হাজার সদস্যের স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজটি যে একেবারে সহজ নয়, সেটি ভালো করেই জানা কর ব্লগরানার। একইসাথে যেহেতু আগামী বছর নির্বাচন হবেই এবং বার্তোমেউ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, তাই সদস্যদের মাঝে আস্থা ভোট নিয়ে কিছুটা জড়তা থাকতেই পারে। তবে কর ব্লগরানার জোসেপ মারিয়া ক্রেমাদেসের মতে, ক্লাবের উচ্চ পর্যায়ে শীঘ্রই পরিবর্তন প্রয়োজন, “আমরা জানি, আমরা বেশ কয়েকটি বিষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করছি। যেহেতু মাঠে সমর্থকরা আসতে পারছেন না, তাই আমরা সেখান থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারব না। এছাড়া আমরা এখন একটি মহামারীর মাঝে আছি এবং আগামী বছর নির্বাচন হবে।”

    “তবে এরপরও আমরা আসলেই এই আস্থা ভোটটি করতে চাই। কারণ আমরা এখন খুবই ক্রোধিত। ক্লাবের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য।”

    ২০১৭ সালেও একবার বার্তোমেউর বিরুদ্ধে আস্থা ভোট আয়োজনের চেষ্টা হয়েছিল। তবে সেবার সভাপতি পদপ্রার্থী আগুস্তি বেনেদিতো প্রয়োজনীয় ১৬৫৭০ টি স্বাক্ষর যোগার করতে পারেননি। নেইমারের ট্যাক্স মামলা, সাবেক বার্সা প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রাসেলের আটক হওয়া এবং মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে সেবার আস্থা ভোট করতে চেয়েছিলেন বেনেদিতো।

    সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু ক্লাব সমর্থক এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে খলনায়কে পরিণত হয়েছেন বার্তোমেউ। তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া করে ক্লাবের সভাপতি পদপ্রার্থী, সাবেক এবং বর্তমান খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। যদিও অডিটের পর সেই অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় করোনা সংকটের মাঝেই পদত্যাগ করেছিলেন বোর্ড ছয় সদস্য।

    আর মাঠের খেলাতেও বার্সেলোনার মৌসুম একেবারেই ভালো কাটছে না। চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ঘরে তুলতে না পারলে ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো ট্রফিহীন মৌসুম কাটাতে হতে পারে কাতালান ক্লাবটিকে।