• আয়ারল্যান্ডের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    ঘরে ফেরার ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক উইলি-বিলিংস

    ঘরে ফেরার ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক উইলি-বিলিংস    

    ১ম ওয়ানডে, সাউদাম্পটন 
    আয়ারল্যান্ড ১৭২, ৪৪.৪ ওভার (ক্যামফার ৫৯, ম্যাকব্রাইন ৪০, ও’ব্রায়েন ২২, ডিলানি ২২, উইলি ৫/৩০, মাহমুদ ২/৩৬, রশিদ ১/২৬, কারান ১/৩৭)
    ইংল্যান্ড ১৭৪/৪, ২৭.৫ ওভার (বিলিংস ৬৭*, মরগান ৩৬*, ভিনস ২৫, ইয়ং ২/৫৬, ক্যামফার ১/২৬)
    ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী


    টানা টেস্ট ম্যাচের সূচির কারণে ইংল্যান্ড দলে ছিলেন না সীমিত ওভারের বেশ কয়েকজন নিয়মিত সদস্য। তবে তাদের বদলে যারা সুযোগ পেলেন, তারা লুফে নিলেন ভালভাবেই। ডেভিড উইলির ৫ উইকেটের পর স্যাম বিলিংসের ৫৪ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে আয়ারল্যান্ডকে টপকে গিয়ে কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রথম ওয়ানডেতে শেষ পর্যন্ত সহজ জয়ই পেয়েছে ইংল্যান্ড। সাউদাম্পটনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ‘ঘরের ফেরার’ ম্যাচে একটু হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত সুবিধা করতে পারেনি আইরিশরা। 

    ১৩৯ দিন পর এ ম্যাচ দিয়েই ফিরল ওয়ানডে, গত বছর বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের এটি প্রথম ওয়ানডেও ছিল। ছিল নতুন চালু হওয়া বিশ্বকাপ সুপার লিগের প্রথম ম্যাচও। দিবা-রাত্রির ম্যাচে পরের ইনিংসে ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিংয়ের সুবিধা নেবেন বলে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মরগান। তবে শেষ পর্যন্ত ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে ব্যাটিং করতে হয়নি তাদের। ১৭৩ রানতাড়ায় ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারালেও বিলিংসের সঙ্গে মরগানের অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটিতে ২২.১ ওভার বাকি থাকতেই জিতেছে ইংল্যান্ড।

    উইলি শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন বিশ্বকাপের আগে, তবে জফরা আর্চারকে শেষ মুহুর্তে স্কোয়াডে জায়গা করে দিতে হয়েছিল তার। ফিরে আসার ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত স্মরণীয়ই করে রাখলেন তিনি। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আয়ারল্যান্ড সহ-অধিনায়ক পল স্টার্লিং তার বলে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ। এরপর অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। ১৬ বলে ৫ চারে ২২ রান করে গ্যারেথ ডিলানি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দিয়েছেন ক্যাচ, আর লরকান টাকার হয়েছে এলবিডব্লিউ। মাঝে আরেক অভিষিক্ত হ্যারি টেকটরকে এলবিডব্লিউ করেছিলেন সাকিব মাহমুদ। 

    আয়ারল্যান্ড সে সময় পরিণত হয়েছিল ২৮ রানে ৫ উইকেটে। সেখান থেকেও তারা যে ১৫০ পেরিয়েছে, তার কৃতিত্ব অভিষিক্ত কারটিস ক্যামফারের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অ-১৯ বিশ্বকাপ খেলা এই অলরাউন্ডার অভিষেকে করেছেন ফিফটি, শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে ক্যামফারের আগে শেষ ফিফটি করেছিলেন মরগান। কেভিন ও’ব্রায়েনের সঙ্গে ৫১ রানের পর অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৬ রানের। 

    ক্যামফারের সঙ্গে ও’ব্রায়েনের জুটি ভেঙেছিলেন আদিল রশিদ, সিমি সিংয়ের রান-আউটে আরেকদফা চাপে পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে ক্যামফারের জুটি এরপরই, ডিপ স্কয়ার লেগে টম কারানের বলে ম্যাকব্রাইন ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেছেন ৪৮ বলে ৪০ রান। ব্যারি ম্যাকার্থি এরপর ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদের বলে। আর ক্রেইগ ইয়ংকে জেসন রয়ের ক্যাচ বানিয়ে ৫ পূর্ণ করেছেন উইলি। ক্যারিয়ারে এটি প্রথম পাঁচ উইকেট তার। 

    রানতাড়ায় জনি বেইরস্টো ও জেসন রয় ২ ওভারের ব্যবধানে ফিরেছিলেন এলবিডব্লিউ হয়ে। ম্যাকব্রাইনের বলে বেইরস্টোর উইকেটটি আয়ারল্যান্ড পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, আর রয় ফিরেছেন ইয়াংয়ের বলে। দুজনের কেউই বুঝতে পারেননি বলের পেস। জেমস ভিনস ইয়ংয়ের দ্বিতীয় শিকার, ৫ চারে ছন্দে আছেন বলে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত আলগা শট খেলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ২১ বলে ২৫। আর টম ব্যান্টন পরিণত হয়েছেন ক্যামফাররের প্রথম উইকেটে, অ-১৯ পর্যায়ে ব্যানটন তার বলেই আউট হয়েছিলেন একবার, তবে তখন ক্যামফার খেলতেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। 

    রানতাড়ায় বেশ কিছু রান বাকি, দল কিছুটা চাপে-- ফলে একটা সুযোগই এসেছিল বিলিংসের সামনে। ৪১ বলেই করলেন ফিফটি, এর মাঝে চারই মেরেছিলেন ৯টি। শেষ পর্যন্ত বিলিংস ৬৭ রানের ইনিংসে মেরেছেন ১১টি চার। আর ৪০ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে মরগান ৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন দুটি ছয়, যার মধ্যে সিমি সিংকে মারা দ্বিতীয় ছয় দিয়েই শেষ হয়েছে ম্যাচ।