• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    বিপিএলসহ ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্রিকেটারদের বেতনভাতা ঠিকমতো দেওয়া হয় না, দাবি ফিকার

    বিপিএলসহ ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্রিকেটারদের বেতনভাতা ঠিকমতো দেওয়া হয় না, দাবি ফিকার    

    ক্রিকেটারদের বেতন ভাতা নিয়ে অস্বচ্ছতা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকার এক জরিপেও জানা গেছে, সেই অস্বচ্ছতা বিপিএলসহ আছে বিশ্বের আরও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। সব মিলে ক্রিকেটারদের মধ্যে ৩৪ শতাংশই সময়মতো বা পুরোপুরি বেতন ভাতা পান না বলে জানিয়েছে ফিকা।

    বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে বেতন ভাতা নিয়ে ক্রিকেটারদের অভিযোগ পুরনো। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এরকম বেতন-ভাতাসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ধর্মঘটে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। বোর্ডের পক্ষ থেকে এরপর অবশ্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হতে না হতেই কোভিড-১৯ এর জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেও গুটিকয়েক ক্লাব ছাড়া বাকি কেউ ক্রিকেটারদের বেতন নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধ করেনি। এ নিয়েও অসন্তোষ আছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। এবার ফিকার রিপোর্টে জানা গেছে, বিপিএলেও সময়মতো ক্রিকেটারদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। গত বছর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বিশেষ সংস্করণে নতুন করে যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও সময়মতো বেতন ভাতা পরিশোধ না করার অভিযোগ আছে।

    সব মিলে ফিকার প্রতিবেদনে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে অপেশাদারি আচরণের অভিযোগ আছে- বিপিএল, কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি, ইউরো স্ল্যাম, আবু ধাবি টি-১০, কাতার টি-১০, মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই ছয়টি লিগের মধ্যে বিপিএলই শুধু আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের ঘরোয়া লিগ। তবে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে বেশ কিছু বড় মুখ অংশ নিয়েছেন। একইওভাবে আবু ধাবি ও কাতারের টি-টেনেও অংশ নিয়েছিলেন অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তবে সবগুলো লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিরুদ্ধে অপেশাদারির অভিযোগ আছে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে প্রতিবাদ হিসেবে একটা ম্যাচে মাঠে নামতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ইউরো স্ল্যামেও বেশ কিছু বড় ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছিলেন, কিন্তু শুরুর দুই সপ্তাহ আগেই আর্থিক কারণে স্থগিত হয়ে যায় এই টুর্নামেন্ট।

    ফিকা বলছে, এসব টুর্নামেন্তে খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তির বরখেলাপ নিয়মিতই হয়েছে। শুধু এগুলোই নয়, আরও অনেক ঘরোয়া লিগেও এরকম ঘটনা নিয়মিত। ভারত, পাকিস্তানসহ আরও কিছু দেশে ক্রিকেটারদের কোনো স্বীকৃত সংগঠন না থাকার কারণে সব ঘটনা আলোতে আসছে না বলেও জানিয়েছে ফিকা। সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ফিকার আশংকা। আর সুযোগ পেলে ৫৩ শতাংশ ক্রিকেটার জাতীয় দলের চুক্তি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্স টি-টোয়েন্টি খেলতে আগ্রহী বলেও দাবি ফিকার।