• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    লাউতারো-লুকাকুর জোড়া গোলে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইন্টার

    লাউতারো-লুকাকুর জোড়া গোলে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইন্টার    

    ফুল টাইম

    ইন্টার মিলান ৫ - ০ শাখতার


    চতুর্থ ইউরোপা লিগ শিরোপার আরেকটু কাছে পৌঁছে গেল ইন্টার মিলান। ইউক্রেনিয়ান ক্লাব শাখতার দোনেৎস্ককে হেসেখেলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে আন্তোনিও কন্তের দল। দুই ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজ এবং রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোল এবং দানিলো দা’মব্রোসিওর এক গোলে শাখতারকে উড়িয়ে দিয়েছে আন্তোনিও কন্তের দল।

    পুরো ৯০ মিনিট প্রেস করে খেলে শাখতারকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে নেরাজ্জুরিরা। তাতে দিশেহারা শাখতার শেষ পর্যন্ত অসহায় আমত্মর্পণ করেছে। শনিবার রেকর্ড পাঁচবারের শিরোপাজয়ী সেভিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।

    জার্মানির ডুসেলডর্ফ অ্যারেনায় ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে দুই দলই বেশ ধীরলয়ে খেলেছিল। তবে এরপরই শাখতার অধিনায়ক এবং গোলরক্ষক আন্দ্রি পিয়াতোভের ভুলে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় ইন্টার মিলান। ১৯ মিনিটে পিয়াতোভের ভুল ফরোয়ার্ড পাস দখলে নিয়ে বাম পাশ দিয়ে বাধাহীনভাবে এগিয়ে যান নিকোলো বারেলা। তার দারুণ ক্রস থেকে প্লেসিং হেডারে ইন্টার মিলানকে ম্যাচে এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। চলতি মৌসুমে এটি তার ২০ তম গোল।


    প্রথমার্ধে বলের দখলে ইন্টারের চেয়ে ঢের এগিয়ে থাকলেও গোলের তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ইউক্রেনিয়ান ক্লাবটি। ম্যাচে মূলত কন্তের ট্যাকটিকসের কাছেই মার খেয়ে গেছেন শাখতারের লুইস কাস্ত্রো। বলের দখল রেখে ডিফেন্স থেকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল শাখতার। কিন্তু বলের দখল না থাকলেও ম্যাচের পুরোটা সময় শাখতারকে নিরন্তর প্রেস করে গেছে ইন্টার। শাখতারের রক্ষণ থেকে মধ্যমাঠের মাঝে পাসিং লাইনগুলোকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ইন্টার। আর সেই কারণেই বেশ কয়েকবার ভুল পাসের কারণে বিপদে পড়ছিল শাখতার। ইন্টারের প্রথম গোলটিও সেই ট্যাকটিকসের সুবাদেই এসেছে।

    দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র। বলের দখলে এগিয়ে থেকেও আক্রমণে উঠতে পারছিল না শাখতার। তবে ম্যাচের ৬২ মিনিটে দারুণ একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল তারা। একেবারে ইন্টারের প্রথম গোলের অনুরুপ সুযোগ। বক্সের বাম পাশ থেকে মিকোলা মাতভিয়েঙ্কোর অসাধারণ ক্রসে জুনিয়র মোরায়েস মাথা ছোঁয়াতে পারলেও সেটি সোজা ইন্টার গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচের শরীর বরাবর গিয়ে পড়ে।


    শাখতারের মিসের এক মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইন্টার। মার্সেলো ব্রজোভিচের বাঁকানো কর্নার থেকে হেড করে ইন্টারকে ২-০ তে এগিয়ে দেন দা’মব্রোসিও। এই গোলের পর আর ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগ ছিল না শাখতারের। এরপর শাখতারকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে ইন্টার। ৭৪ মিনিটে আবারও মার্টিনেজের গোল। এই যাত্রায় বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। 

    এই গোলের মিনিট চারেক পরে ইন্টারের অপর স্ট্রাইকার লুকাকুও গোল পেয়ে যান। মার্টিনেজের থ্রু বল ধরে বাম পায়ের প্লেসিং শটে বল জালে পাঠিয়ে ইউরোপা লিগে টানা গোলের রেকর্ডটিকে আরও সমৃদ্ধ করেন লুকাকু। এই নিয়ে ইউরোপা লিগে টানা দশ ম্যাচে গোল করলেন এই বেলজিয়ান। অবশ্য এই গোল করেই থামেননি লুকাকু, ৮৪ মিনিটে মাঠ ছাড়ার আগে আরও একটি গোল করে মৌসুমে নিজের গোলসংখ্যাকে ৩৩-এ নিয়ে গেছেন তিনি।

    ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর এই প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল ইন্টার।