• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    গ্রিসে প্রাণশঙ্কায় ছিলেন ম্যাগুয়ের

    গ্রিসে প্রাণশঙ্কায় ছিলেন ম্যাগুয়ের    

    পরিবার নিয়ে গ্রিসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ের। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এমন দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হবে সেটা হয়ত কল্পনাও করেননি তিনি। জেল খেঁটে এবং বড় ধরনের শাস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ম্যাগুয়ের গ্রিসে তার প্রাণ নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন। সেই ঘটনার পর যখন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে আটক করেছিল, তখন তিনি অপহৃত হচ্ছেন বলেও মনে হয়েছিল তার। 

    গ্রিসের মাইকোনোস দ্বিপে গত ২১ আগস্ট রাতে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ম্যাগুয়ের। আর সে কারণে জেলেও যেতে হয় তাকে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, ঘুষ দেওয়ার চেষ্টাসহ তার বিরুদ্ধে আনীত বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর গ্রিক আদালত তাকে ২১ মাস ১০ দিন কারাদণ্ড দেয়। অবশ্য সেই শাস্তি তিন বছরের জন্য স্থগিত করে তাকে ইংল্যান্ডে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বুধবার জানিয়েছে, ম্যাগুয়ের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার পর আদালত তার পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


    বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গ্রিসে দুই রাত জেলে কাটানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ম্যাগুয়ের, “এটা ভয়ংকর ছিল। এমনটা আমার অথবা আর কারও সঙ্গে কখনো হোক সেটা চাই না। জীবনে এই প্রথম আমি জেলে গিয়েছিলাম।”

    মাইকোনোসের একটি পানশালায় তার বোন ডেইজি দুই ব্যক্তির আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ম্যাগুয়ের। সেই দুই ব্যক্তি ম্যাগুয়েরের বোনকে মাদক দ্রব্য সেবন করিয়েছিল। আর এরপরই বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় বলে সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন ম্যাগুয়ের, “তারা আমাদের মারধর শুরু করে। তাদের একজন আমার পায়ে আঘাত করে এবং বলতে থাকে যে আমার ক্যারিয়ার শেষ, আর ফুটবল নয় এবং তুমি আর কখনো খেলবে না। আর তখনই আমার মনে হয়েছে, এরা আর যাই হোক পুলিশ নয়। আমি জানিনা তারা কারা, আমি সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি।”

    ম্যাগুয়ের সেই ঘটনা থেকে বাঁচতে পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছিলেন পুলিশের এক সাক্ষী। ম্যাগুয়ের নাকি তখন তাদের বলছিলেন, “তুমি জানো আমি কে? আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক। আমি অনেক ধনী, আমি আপনাদের টাকা দিতে পারি। দয়া করে আমাদের যেতে দিন।”

    তবে ম্যাগুয়ের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন, “আমার গ্রিক আইনের ওপর বিশ্বাস আছে। যেহেতু পুনর্বিচার হচ্ছে তাই আমরা প্রস্তুতি নেওয়ার এবং সাক্ষী-প্রমাণ যোগাড় করার জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, সত্যটা বেরিয়ে আসবে।”

    সেই ঘটনার জন্য ম্যাগুয়ের কারো কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি নন, “আমার মনে হয় না কারো কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আপনি ভুল করলে তখনই কেবল ক্ষমা চাইবেন। তবে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমার আফসোস আছে কিনা, তাহলে বলব ওইরকম একটা অবস্থায় থাকা নিয়ে আমার আফসোস আছে। আমি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্লাবগুলোর একটির হয়ে খেলি, সে ক্লাব এবং সমর্থকদের এমন একটি ঘটনার সঙ্গে জড়ানোর জন্য আমি অনুতপ্ত।”

    এদিকে গ্রিসের ঘটনার পর অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন হয়ত ম্যাগুয়েরের কাছ থেকে ক্লাব অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। তবে ওলে গানার সোলশার নিশ্চিত করেছেন, ম্যাগুয়েরই ক্লাবের অধিনায়ক থাকছেন।