• অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    বায়ো-বলয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত আর্চার মিস করতে পারেন বিগব্যাশ

    বায়ো-বলয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত আর্চার মিস করতে পারেন বিগব্যাশ    

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২য় ওয়ানডে। মার্কাস স্টোইনিসকে যে বাউন্সারটা করলেন জফরা আর্চার, সেটিকে এক কথায় বলা যায় ‘আনপ্লেয়েবল’। স্টোইনিস খেলতে পারলেনও না, ক্যাচ তুললেন। ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে আর্চার হয়েছেন ম্যাচসেরা, করেছেন দারুণ ফাস্ট বোলিং। এমন বোলিং দেখে আপনি ভাবতেই পারেন, শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে বেশ চাঙা আছেন বোধহয় আর্চার। অথবা ফুঁসছেন কোনও কারণে ভেতর ভেতর। 

    আর্চারের ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, সেটিকে বলা যায় ‘ক্লান্তি’। বায়ো-সিকিউরিটি বলয়ে একটানা প্রায় তিন মাস ধরে আছেন তিনি, নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে সবসময়ই। এর মাঝে ব্যস্ত সূচির ধকল তো আছেই। আর্চার তাই ফুসরত খুঁজছেন, এমন টানা বলয়ে সামনের বিগব্যাশে নাও খেলতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন এই পেসার। 

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে বায়ো-বলয়ে ঢুকেছেন আর্চার। সে টেস্টের পর নিয়ম ভেঙে কিছুক্ষণের জন্য নিজের বাসায় গিয়ে মিস করেছিলেন দ্বিতীয় টেস্ট। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে-পরে বিশ্রাম পেয়েছিলেন, তবে থাকতে হয়েছিল বলয়ের মাঝেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের পরদিনই চার্টার করা বিমানে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সঙ্গে আইপিএল খেলতে আরব আমিরাত যাবেন তিনি।  

    ক্রিকইনফোকে আর্চার বলছেন, সামনে কী হবে সেটা নিয়ে  নিশ্চিত নন তিনি, “সত্যি বলতে কী, আমি জানি এ বছর আর কয়টা বলয় সামলাতে পারবো। সত্যিকার অর্থে ফেব্রুয়ারির পর থেকেই আমি আমার পরিবারকে দেখিনি, এখন তো সেপ্টেম্বর হয়ে গেল। আইপিএলেই অক্টোবরের অনেকটা সময় পেরিয়ে যাবে। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা যাব, আশা করি যাব আমরা সেখানে। ডিসেম্বরে মাত্র কয়েক সপ্তাহ থাকবে তখন আমার জন্য শুধু।

    বিগব্যাশ খেলাটা তাই কঠিন হয়ে যাবে তার জন, এমন মনে করছেন তিনি, “আমি হোবার্ট-পরিবারকে (হোবার্ট হারিকেনস, বিগব্যাশের দল) ভালবাসি, তবে আমার আসল পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো প্রয়োজন। বছর ঘুরে যে সময় আসবে, আমরা হয়তো ভারত বা আরব আমিরাত বা কোথাও আবারও বলয়ে ঢুকে পড়বো। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোটা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এমন বলয়ে থাকলে, যখন সামনাসামনি তাদের দেখা যাচ্ছে না। ফলে যে সময়টাই পাই, তাদের সঙ্গে কাটাতে চাই।”

    “আমি বলছি, এটা মানসিকভাবে একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। ১৬ সপ্তাহ বা এমন সময় ধরে আমরা এখানে আছি। বাড়ি ফেরা বা স্বাভাবিক হওয়াটা আরও দুর্লভ ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। এগুলোই এখন নতুন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছুটি পেলে আমাদের একটু মানিয়ে নিতে হবে।”

    সে ছুটিটা অবশ্য শীঘ্রই পাচ্ছেন না তিনি।