• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ক্রিকেট ছাড়ার পর বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করছেন জনসন

    ক্রিকেট ছাড়ার পর বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করছেন জনসন    

    ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদ বা বিষণ্ণতা এখন আর গোপন কিছু ন্য। জোনাথন ট্রট সেজন্য বিদায় বলেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। আরেক অস্ট্রেলিয়ান সাবেক মিচেল জনসন বললেন, তিনিও ক্রিকেট ছাড়ার পর বিষণ্ণতার শিকার। 

    অবসরের পর জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন জনসন, আত্মবিশ্বাসও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন জনসন, “ক্রিকেট থেকে অবসরের পর আমার কাছে সবকিছু কঠিন মনে হচ্ছে। হঠাৎ কাজের ভার কমে যাওয়ায় মনে হয়েছে (আমার জীবনের) উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছি। আমার আত্মবিশ্বাস নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আমি ক্রিকেট ছেড়েছি দুই বছর হল, এখন অন্যরকম পরিস্থিতিতে আছি।”

    অবসরের পর জীবন কঠিন হয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে কিনা এমন একটি প্রশ্নের জবাবে জনসন বলেন, “হ্যাঁ, অনেকবার। আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার বিষণ্ণতার সমস্যা রয়েছে। যদিও আমার মনে হয় এটি আমার ছোটবেলা থেকেই আছে।”

    তবে ক্রিকেটের ব্যস্ততা অনেক সময়ই বিষণ্ণতাকে আড়াল করে দিত বলে মনে করেন জনসন, “ক্রিকেট অনেক কিছুকেই একটি দূরত্বে রাখত। এটা বিষণ্ণতাকে আড়াল করত, এরপরও পরিবার থেকে দূরে থাকার সময়গুলোতে অনেক সময় খেলার পর রুমে গিয়ে নানা কিছু ভাবতাম। আমার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে আমি বিষণ্ণতার মুখোমুখি হয়েছি।”

    ক্রিকেটারদের জীবনধারা সাধারণের চেয়ে ভিন্ন। ক্রিকেটারদের জীবনের ব্যস্ততা, বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা জনসনকে বেশ অনেকবারই কাবু করেছিল। প্রতিদিন মাঠে গিয়ে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শোনাটা তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। সাক্ষাৎকারে অ্যাশেজের সময় তাকে উদ্দেশ্য করে ইংল্যান্ডের কুখ্যাত বার্মি আর্মির দুয়োর কথা মনে করে তো ভেঙেও পড়েছিলেন জনসন। তখন তার অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়েছিল যে, জনসনের মনে প্রশ্ন জেগেছিল আদৌ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা উপভোগ করছেন কিনা।