• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ভিনিসিয়াসকে পাস দিতে মেন্ডিকে বারণ করেছিলেন বেনজেমা?

    ভিনিসিয়াসকে পাস দিতে মেন্ডিকে বারণ করেছিলেন বেনজেমা?    

    ম্যাচের ৮৬ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তের দুই গোলে মনশেনগ্লাডবাখের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগ শুরু থেকেই মনশেনগ্লাডবাখের গোলমুখ উন্মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। করিম বেনজেমা বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত শট নিয়েছিল মনশেনগ্লাডবাখের গোলে, ৮৭ মিনিটে তার গোলেই ম্যাচে লাইফলাইন খুঁজে পেয়েছিল মাদ্রিদ। বেনজেমার ডান দিক দিয়ে মার্কো আসেনসিও-ও চেষ্টা করেছেন নিজের সেরাটা দিয়ে, তার বেশ কয়েকটি ড্রিবল এবং টার্ন ছিল চোখে পড়ার মতো।

    তবে আক্রমণত্রয়ীর অন্যজন ২০ বছর বয়সী ভিনিসিয়াস জুনিয়র এদিন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন, বক্সে তার শট-ক্রস বারবার ব্লক হয়েছে, সময়মত সতীর্থদের পাসও দিতে পারেননি। আর সেজন্য হাফ টাইমে ম্যাচে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আক্রমণভাগের তরুণতম সদস্যকে নিয়ে নাকি দলের ফ্রেঞ্চ সতীর্থ ফারলান মেন্ডির কাছে অসন্তুষ্টি জাহির করেছেন বেনজেমা।

    ফ্রেঞ্চ টিভি চ্যানেল টেলিফুট মেন্ডি এবং বেনজেমার মাঝে হাফ টাইমের সময় কথোপকথনের বিষয়টি তুলে ধরেছে, বেনজেমা নাকি তখন মেন্ডিকে বলেছিলেন, ‘সে (ভিনিসিয়াস) যা মন চায়, তাই করে। তার সাথে খেলিস না ভাই। সে আমাদের বিপক্ষে খেলে।’' দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার সময় অবশ্য মেন্ডি এবং বেনজেমার সঙ্গে ভিনিসিয়াসকে কথা বলতে দেখা গেছে।

     

     

    বেনজেমা ম্যাচের পর টেলিফুটের সেই ছবিকে উদ্দেশ্য করে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘কুকুরেরা যখন ঘেউ ঘেউ করে, নাম্বার নাইন তা উপেক্ষা করে।”

    তবে টেলিফুটের দাবীটিকে একেবারে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ অপ্টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিয়াসের উদ্দেশ্যে একটি পাসও বাড়াননি বেনজেমা।  ৭০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন ভিনিসিয়াস, এরপর তার বদলি হিসেবে ইডেন হ্যাজার্ডকে মাঠে নামান জিনেদিন জিদান।