• সিরি আ
  • " />

     

    শেষ মুহুর্তের গোলে জয় পাওয়া হলো না রোনালদোময় জুভেন্টাসের

    শেষ মুহুর্তের গোলে জয় পাওয়া হলো না রোনালদোময় জুভেন্টাসের    

    গল্পটা হতে পারত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে। সিরি  আ তে আগের ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেই করেছিলেন জোড়া গোল। আজ ছিলেন প্রথম একাদশেই,  তাঁর গোলে জয় প্রায় পেয়েই গিয়েছিল জুভেন্টাস। কিন্তু ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে, বলা ভালো একদম শেষ কিকেই সেটা আর পাওয়া হয়নি। দারুণ এক গোলে ফেলিপে কেসেদো এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন লাৎসিও, ম্যাচ ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। তাঁর চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা জুভেন্টাসের, অ্যাংকেলে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোনালদো।


    আজও পাউলো দিলাবার জায়গা হয়নি একাদশে, আক্রমণে মোরাতার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রোনালদো। শুরু থেকে কুলেসেভসকির সঙ্গে জুটিটাও জমছিল বেশ। প্রথম গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি জুভেন্টাসকে। ডান দিক থেকে কুয়াদ্রাদোর ক্রসটা ধরতে পারেননি লাৎসিওর কেউ। ফাঁকা পোস্টে পা ঠেলে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছেন রোনালদো। সিরি আ তে এই মৌসুমে নিজের প্রথম চার ম্যাচেই গোল পেলেন রোনালদো। জুভেন্টাসের হয়ে মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচে গোল পাওয়ার এই কীর্তি এর আগে ছিল শুধু পাউলো দিবালার, তিন বছর আগে।

    রোনালদো এরপর দেখিয়ে যাচ্ছিলেন, কেন ৩৫ বছর বয়সে তিনি বিশ্বসেরাদের একজন। অন্তত দুই গোল পেতে পারতেন প্রথমার্ধেই। দারুণ একটা প্রতিআক্রমণ থেকে গোল পেয়েই গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। আর প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে ফ্রিকিকটা ছিল পোস্টেই, কিন্তু এবার পেপে রেইনার দারুণ সেভে আর গোলটা পাওয়া হয়নি। তবে করোনাজর্জর লাৎসিওর ওপর তখন আধিপত্য ছিল জুভেন্টাসেরই। ইম্মোবিলে, লুকাসরা কোভিডাক্রান্ত হয়ে মাঠে নামতে পারেননি কেউ; চোটের সমস্যা ছিল জুভেন্টাসেরও। তবে রোনালদো আলোটা নিজের ওপরেই রেখেছিলেন।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লাৎসিও একটু গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে, কিন্তু গোলের পরিষ্কার সুযোগ পাচ্ছিল না। একবার একটা শট পোস্টের পাশ ঘেঁষে চলে যায়। এর মধ্যেই বদলি হিসেবে নামেন কেসেদোরা। আক্রমণে ধার বাড়ে লাৎসিওর, এর মধ্যেই একটা ফাউলের জন্য বেশ কিছুক্ষণ শুশ্রুষা নিতে হয় রোনালদোকে। শেষ পর্যন্ত ৭৫ মিনিটে মাঠ ছেড়েই চলে যান, অ্যাংকেলের দিকে ইঙ্গিত করে বোঝাচ্ছিলেন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে তাঁর।

    এরপর দিবালারা নেমে সেভাবে কিছু করতে পারেননি। উলটো শেষ দিকে জুভেন্টাসকে আরও চেপে ধরে তারা। জোয়াকিন কোরেয়া বিপজ্জনক মনে করাচ্ছিলেন, ম্যাচের একদম শেষ সময়ে বক্সে ঢুকে পাস দিলেন কেসেদোকে। বাঁ পায়ে বল সিরিভ করে দুর্দান্ত এক টার্নে চোখের পলকেই ডান পায়ের শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। ৭ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাই তিনেই রইল জুভেন্টাস।