• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    নেইমারের জোড়া গোলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে বদলা নিল পিএসজি

    নেইমারের জোড়া গোলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে বদলা নিল পিএসজি    

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে অনুমান করা এখন বর্ষার দিনের মতোই কঠিন, এই মেঘ-এই রোদ্দুরের মতো এই ভালো তো এই খারাপ। চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত শুরুর পর এখন রেড ডেভিলসের নকআউট পর্বে ওঠা নিয়েই সংশয়। নিজেদের মাঠে পিএসজির কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়ায় সমীকরণটা কঠিন হয়ে গেছে শেষ ম্যাচে।

    প্যারিসের পরাজয়ের প্রতিশোধটা কাল ওল্ড ট্রাফোর্ডেই নিল পিএসজি। ৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। কিলিয়ান এমবাপের শট ডিফ্লেক্টেড হয়ে বক্সের ডান দিকে পেয়ে যান নেইমার। ডান পায়ের জোরালো শটে ডেভিড ডি গিয়াকে কাটিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। গোল খাওয়ার পর অবশ্য ফিরে আসার চেষ্টা করে ইউনাইটেড। ৩১ মিনিটে মার্শিয়ালের শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কেইলর নাভাস। ফিরতি বলটা থেকে ক্রস করেন ওয়ান-বিসাকা, সেটা থেকে রাশফোর্ডের শট পিএসজি ডিফেন্ডার দানিলোর পায়ে লেগে দিকবদল করে ঢুকে যায় জালে।

    এরপর শুধু ম্যান ইউনাইটেডের ভুলের পালা। প্রথম ভুলটা করেছেন ওলে গানার সোলশার, প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ড দেখা ফ্রেডকে তুলে না নিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় ওপেন নেট মিস করেছেন মার্শিয়াল, নইলে এগিয়ে যেতে পারত ইউনাইটেড। তার খানিক পরেই আরেকটা দারুণ প্রতি আক্রমণ থেকে এডিনসন কাভানির দুর্দান্ত চিপ ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এরপরেই এগিয়ে যায় পিএসজি। কর্নার থেকে বল বেশ কয়েক পা ঘুরে কীভাবে যেন চলে আসে মার্কিনিয়োসের পায়ে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন পিএসজি ডিফেন্ডার। তার পরেই ৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফ্রেড, ইউনাইটেড দশ জনের হয়ে যায়। পল পগবা নেমে একটা দারুণ ভলি করেছিলেন, অল্পের জন্য গোল হয়নি।

    কিন্তু শেষ দিকে আরেকটা প্রতিআক্রমণ থেকে রাফিনহার পাসে ট্যাপ ইন করে পিএসজিকে আরেক দফা এগিয়ে দেন নেইমার। এই জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেডকে ছুঁয়ে ফেলল পিএসজি। দিনের আগের ম্যাচে ইস্তাম্বুলের থ্রিলারে বাসাকসেহিরকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে লাইপজিগ। তাদের পয়েন্টও ৯। গোল ব্যবধানে ও হেড টু হেডে এগিয়ে ইউনাইটেড, শেষ ম্যাচে তাই লাইপজিগের সঙ্গে ড্র করলেই চলবে তাদের। আর লাইপজিগের নকআউট নিশ্চিত করতে হলে দরকার নিজেদের মাঠে জয়। অবশ্য এই ম্যাচ ড্র হলেও দুই দল উঠে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে পিএসজির শেষ ম্যাচ হারতে হবে বাসাকসেহিরের সাথে। তিন দলের মধ্যে পিএসজির কাজটাই আপাতত সবচেয়ে সহজ।