• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে গুঁড়িয়ে নিজেদের শক্তিটা জানান দিল সিটি

    অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে গুঁড়িয়ে নিজেদের শক্তিটা জানান দিল সিটি    

    এক দল নেমেছিল কোনো  স্ট্রাইকার ছাড়া, আরেক দল নেমেছিল কোনো স্বীকৃত ডিফেন্ডার ছাড়া। স্ট্রাইকার ছাড়া গোল দেওয়া গেলেও ডিফেন্ডার ছাড়া ডিফেন্স করা কঠিন, সেটা দেখা গেল আজ। লিভারপুলকে ৪-১ গোলে তাদের মাঠে এসে উড়িয়ে দিয়ে গেল সিটি, সেই সঙ্গে ঘোষণা করল এবারের শিরোপাদৌড়ে তাদের ধরা কঠিন হবে। ২০০৯ সালের পর অ্যানফিল্ডে আর চার গোল খায়নি লিভারপুল। আর্সেনালের সাথে সেই ম্যাচটা ড্র হয়েছিল ৪-৪ গোলে।

    ফিল ফোডেন, ইলকে গুন্ডোগান্দের কেউ ম্যাচের হেডলাইনে আসার কথা থাকলেও সেটি আসলে আসবেন এলিসন বেকার। লিভারপুলের গোলরক্ষক আজ ফিরিয়ে এনেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগে সেই ক্যারিয়াসের ভূত। এমনিতে বিশ্বস্ত হলেও আজকের ম্যাচটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দুইটি গোল তার সরাসরি ভুলে হয়েছে, ঠেকাতে পারতেন তৃতীয়টিও।

    ম্যাচের শুরুটা অবশ্য এমন হবে বোঝা যায়নি। দুই দলই আক্রমণ পালটা আক্রমণ করছিল। প্রথম পরিষ্কার সুযোগটা পেয়েছিল সিটি। বক্সের ভেতর রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় সিটি। কিন্তু গুন্দোগান সেটা মেরে দেন পোস্টের ওপর দিয়ে, মনে করিয়ে দেন লিভারপুলের বিপক্ষে মাহরেজ-কেডিবির মিসকে। তখন কে ভেবেছিল, গুন্ডোগান পরে সব কড়ায় গন্ডায় পুষিয়ে দেবেন?

    ৪৯ মিনিটে দারুণ একটা আক্রমণের পর গুন্ডোগান গোল করে এগিয়ে দেন সিটিকে। ৬৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় লিভারপুল। বক্সের ভেতর এই সিজনের সেরা ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ মো সালাহকে হাত লাগিয়ে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সালাহ সেটা থেকে গোল করে এগিয়ে দেন সিটিকে।

    এরপর শুরু এলিসন দুঃস্বপ্নের। প্রথমে বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর সেটা এসে পরে ফোডেনের কাছে। তার পাস থেকে গুন্ডোগান আবার এগিয়ে দেন সিটিকে। কিছুক্ষণ পর এবার আরও বাজে ভুল এলিসনের, এবার সরাসরি পাস তুলে দিয়েছেন সিলভার কাছে। শেষ দিকে বাঁ পায়ের শটে আরেকটি গোল করেছেন সম্ভবত ম্যান অব দ্য ম্যাচ ফোডেন, লিভারপুল পেয়েছে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্ন উপহার। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমবার হোমে টানা তিন ম্যাচ হারল লিভারপুল।

    এই জয়ের পর ২২ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে সিটি। ২৩ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল চারে।