• ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর ২০২১
  • " />

     

    সাকিব: সামর্থ্য আছে, এর আগেও আমরা প্রমাণ করে এসেছি

    সাকিব: সামর্থ্য আছে, এর আগেও আমরা প্রমাণ করে এসেছি    

    বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থাটা কঠিন, তবে এমন অবস্থা নতুন নয় বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হার সবারই প্রত্যাশার বাইরে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগেও বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে, বলেছেন তিনি। 

    চট্টগ্রামে শেষদিনে কাইল মেয়ার্সের রূপকথার ইনিংসে রেকর্ড জয়ের পর মিরপুরে চতুর্থ দিন মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রাম টেস্টের মাঝপথে উরুর চোটে পড়া সাকিব পরে খেলতে পারেননি মিরপুরেও। 

    শেষ ২০১৮ সালে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোয়াইটওয়াশড হয়ে গিয়েছিল, এরপর বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও তাদেরকে হারিয়ে ট্রফি জেতার পর জিতেছিল বিশ্বকাপেও। “গত বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই ওদের সঙ্গে ভালো ফল ছিল আমাদের। চট্টগ্রামে চারদিনও আমরা খুব ভালো অবস্থানে ছিলাম। পঞ্চম দিন থেকে খারাপ হওয়া শুরু করে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা ভালোভাবে ফিরতে পেরেছিলাম। কিন্তু একটা সময় পর আর হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই অবস্থাটা কঠিন”, সোমবার ঢাকার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন সাকিব।

    “কিন্তু এর আগেও এমন অবস্থা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এসেছে। সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এবারও সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করে বের হয়ে আসা সম্ভব।”

    সাকিবের মতে, হারের পর যে প্রশ্নগুলি উঠছে, জিতলে সেসব সামনে আসতো না, “সামর্থ্য আছে। এর আগেও আমরা প্রমাণ করে এসেছি। আমরা এর আগেও এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। বিশ্বাস করি এবারও সম্ভব হবে। কাল ১৭ রান বেশি করলে এই প্রশ্ন গুলো আর হতো না।”

    একাদশ নির্বাচন, অ্যাপ্রোচ-- মিরপুর টেস্টের পর এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিসিবি প্রেসিডেন্টও। সাকিব এসব ক্ষেত্রে দায় দেখেন সাংবাদিকদেরও, “ক্রিকেটে কোনো সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত হয় না। প্রতিটা সিদ্ধান্ত প্রত্যেক কোচ, অধিনায়ক, বোর্ড জেতার জন্যই নেয়। যখন সেটা ঠিক হয় না। তখন আপনারা প্রশ্ন করেন। অনেক সময় ঠিক হলেও সেটা ভুল হতে পারে। সেটা আপনারা বুঝতেও পারেন না। জিতে গেলে এই প্রশ্নগুলো করতেন না। কিন্তু তখনো আপনাদের কাজ প্রশ্ন করার। সেখানে আপনাদেরও অনেক বড় দায়িত্ব আছে। আপনারা কী করবেন না করবেন। আপনারা কীভাবে সাংবাদিকতা করবেন।”

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয়বার বাবা হতে যাওয়া সাকিবকে সেখান থেকে ছুটি দিয়েছে বিসিবি। অবশ্য বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের মতে, এমনিতেও চোট থেকে সেরে উঠতে সময় লাগতো তার, “ছুটিটা হচ্ছে দুই ধরনের। একটা ছুটি হচ্ছে বাধ্য হয়ে নেওয়া, আরেকটা ব্যক্তিগত। যেই চোটটা আছে, সেটি সারতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে। আমার এমনিতেই নিউজিল্যান্ড সিরিজ মিস করার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। ছয় সপ্তাহ হিসেব করলে আমি হয়তো টি-টোয়েন্টিতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারতাম। আরেকটা হচ্ছে অবশ্যই ব্যক্তিগত কারণ। আমরা দুইজন তৃতীয় সন্তানের অপেক্ষায় আছি। এটা আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর একটা বিষয়। এমন একটা অবস্থায় স্ত্রীর পাশে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কোভিডের অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক খারাপ। সেখানে হাসপাতালগুলোতে স্বামী ছাড়া কাউকে সঙ্গে থাকতে দেয় না। তাই আমার থাকাটা খুবই জরুরী এই সময়ে।”