• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    সাকিব-বিতর্কের টাইমলাইন: অরেঞ্জ-জুস, অনাপত্তিপত্র-ভজকট, টেস্ট খেলতে অনীহা

    সাকিব-বিতর্কের টাইমলাইন: অরেঞ্জ-জুস, অনাপত্তিপত্র-ভজকট, টেস্ট খেলতে অনীহা    

    টেস্টের বদলে আইপিএলকে বেছে নিচ্ছেন সাকিব, এমন খবরের পর আবারও বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের প্রায় শুরু থেকেই সাকিব আর বিতর্কের সম্পর্কটা বেশ দৃঢ়। সাকিবের বিতর্কের টাইমলাইন… 


    ২০১০
    সেই শুরু? 

    ঢাকার একটি হোটেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তখনকার বিসিবি প্রেসিডেন্ট এএইচএম মুস্তফা কামাল। তবে সেখানে থাকা তখনকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিমত পোষণ করেছিলেন কামালের সঙ্গে। সাকিব বলেছিলেন, “কোনো ক্রিকেটারই হারার জন্য খেলে না, এবং আমরা সবসময়ই মাঠে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।” “ধারাবাহিক সাফল্য পেতে খেলোয়াড় এবং কোচের একসঙ্গে কাজ করা উচিৎ, কেউই একা জিততে পারে না। সবারই দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিৎ, এবং আমাদের কাজে সহায়তা করা উচিৎ। আমরা প্রতিদিন জিতব না, কেউই জেতে না। তবে আমাদের নিবেদন নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ওঠা উচিৎ নয়।” 

    পরে সাকিব ও কামালের একটি ছবি ছাপায় বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র, সাকিবে সেখানে হাঁটু গেঁড়ে বসে “ক্ষমা” চাইছেন, ক্যাপশনে লেখা হয় এমন। পরে বিসিবি এক বিবৃতিতে জানায়, ক্ষমা চাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি, “সেই পত্রিকা তাদের মনগড়া ক্যাপশন লিখেছে।” 


    ২০১০
    উত্তপ্ত সাকিব

    অক্টোবরেও তখন ভ্যাপসা গরম ঢাকায়। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ ওয়ানডেতে ম্যাচজেতানো ৯২ রানের ইনিংসের সময় হুট করেই দেখা গেল, সাকিব ক্রিজ ছেড়ে দৌড়ে আসছেন সাইটস্ক্রিনের দিকে। একজন দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখানে, সাকিবের ব্যাটিংয়ে সমস্যা হচ্ছিল সেটিতেই। আম্পায়ার, সাকিব, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা বেশ কয়েকবার ইঙ্গিত দেওয়ার পরও বুঝতে পারেননি তিনি, সাকিব পরে ছুটে এসেছিলেন। ব্যাট তুলে ধরে বেশ শাসিয়েছিলেন। এমন আচরণে ম্যাচ রেফারির ভর্ৎসনাতে পার পেয়েছিলেন সাকিব, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর চুপচাপ ছিল বিসিবিও।
     

    ২০১১ 
    বিশ্বকাপ-বিপর্যয় 

    ঘরের মাঠের বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর সবচেয়ে বড় আলোচনা ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার না থাকা। শেষ পর্যন্ত সাকিবকেই দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে অল-আউট হওয়া ম্যাচে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সাকিব ভালভাবে নেননি, অভিযোগ উঠেছিল এমন। এরপর পত্রিকার কলামে সমালোচনা করা সাবেকদের ধুয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। তবে সেবারই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয়ের পর সাকিবকে নিয়ে আর কিছু করেনি বিসিবি। 
     


    আইসিসির নিষেধাজ্ঞার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছিল সাকিবকে, বাংলাদেশ হেরেছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে/বিসিবি


    ২০১১
    জিম্বাবুয়ে-ভজকট 

    আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়কত্ব নিয়ে একটা ‘দ্বন্দ্ব’ ছিল সাকিবের বোর্ডের সঙ্গে। বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল একমাত্র টেস্টে, সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও। এ ভরাডুবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অধিনায়ক সাকিব ও তার সহকারি তামিম ইকবালকে বরখাস্ত করা। সম্প্রতি তার নেতৃত্বের প্রথম মেয়াদ নিয়ে সাকিব বলেছিলেন, অল্প বয়সে ভুল করাটাই স্বাভাবিক ছিল, “আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই বড় দায়িত্ব পেয়েছিলাম। সুতরাং ভুল করাই স্বাভাবিক ছিল। আমি যখন অধিনায়ক হই, তখন আমার বয়স ছিল ২১। আমি অনেক ভুল করেছি, আর মানুষের মাঝেও আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ধারণা তৈরি হয়েছে। এখন পিছনে ফিরে তাকালে বুঝতে পারি, কিছু জায়গায় আমার ভুল ছিল, কিছু জায়গায় মানুষ আমাকে ভুল বুঝেছে। তবে এটা নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। উপমহদেশে এমনটা হয়ই।”


    ২০১৪ 
    পর্ব ১: দুঃস্বপ্নের বছরে নিষেধাজ্ঞা 

    বছরের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে সে বছর বাংলাদেশ জিতেছিল শুধু আফগানিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাজে শটে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে বসে ছিলেন সাকিব। কমেন্টেটররা তার আউটের ধরন নিয়ে কথা বলছিলেন, ক্যামেরা তাক করা হয়েছিল তোয়ালে গায়ে জড়ানো সাকিবের ওপর। সাকিব হাত দিয়ে দুই পায়ের মাঝে ইঙ্গিত করছিলেন, পাশে বসে হাসছিলেন শফিউল ইসলাম। এমন আচরণের পর তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে, সঙ্গে করা হয়েছিল বড় অঙ্কের জরিমানা।

    পরে সাকিব এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তার সামনে যে ক্যামেরাম্যান ছিলেন, তিনি তার পরিচিত। তার মনে হয়েছিল, ক্যামেরা নামিয়ে সাকিবের সঙ্গে ‘দুষ্টুমি’ করছিলেন তিনি। তবে অন্যদিকের ক্যামেরা যে অন করা আছে, সেটা তিনি জানতেন না। 
     

    ২০১৪
    পর্ব ২: প্রসঙ্গ অরেঞ্জ জুস 

    “টি-টোয়েন্টিতে দক্ষতা যেমন দরকার, শক্তিরও দরকার আছে। দুটিই না থাকলে আপনি পারবেন না। টি-টোয়েন্টির জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা পায় কারা? গেইল, ডি ভিলিয়ার্স-- কী পাওয়ার ওদের খেলায়! জাতিগতভাবেই আমরা শারীরিকভাবে ওদের চেয়ে পিছিয়ে। জন্মের পর থেকে আমরা খাই সবজি খিচুড়ি… নরম করে রান্না করা। এই তো আমাদের খাওয়া, তাই না! আর ওরা ছোটবেলা থেকে অরেঞ্জ জুস খায়। আমাদের হয়তো পাঁচ-দশ ভাগ শিশু এই খাওয়াটা পায়। আমাদের তো ওই সামর্থ্যটা নেই। আর খাওয়াবেন কী, তা-ও তো ভেজাল। আপনি অরেঞ্জ জুস খাওয়াবেন? ফরমালিনে ভরা। বাংলাদেশে নাকি তিনটা ফলে সবচেয়ে বেশি ফরমালিন। কমলা, আপেল আর মাল্টা। যে তিনটা ফল বেশি খাওয়া উচিত, সেগুলোই বাংলাদেশে খাওয়া যায় না।” 

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পর প্রথম আলো-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ওপরের কথাগুলো বলে বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন সাকিব। মূলত টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা কেমন, সেটি বুঝাতেই সে উদাহরণ টেনেছিলেন তিনি। সেই সাক্ষাতকারেই বলেছিলেন, মানুষের প্রত্যাশার একটা সীমা থাকা উচিত। ক্রিকেটারদের দেশাত্মবোধ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন তিনি এভাবে, “খেলার সময় দলের জন্য সবাই জানপ্রাণ দিয়েই চেষ্টা করে। দেশপ্রেম কার মধ্যে কতটুকু আছে জানি না, তবে দলের প্রতি ভালোবাসা সবার আছে। আর যদি দেশপ্রেমের কথা বলি, বাংলাদেশের অনেক মানুষের মধ্যেই সেটা নেই। অনেকেই মুখে অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু যদি তাকে একটা চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দেন, যখন আপনি প্রমাণ করতে বলবেন দেশপ্রেম আছে কি নেই, তখন দেখবেন ৯০ শতাংশ লোক সরে গেছে।” 
     


    ২০১৪
    পর্ব ৩: অনাপত্তিপত্র তুমি কার? 

    ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে যাচ্ছিলেন সাকিব। বিসিবি জানিয়েছিল, অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি তাকে। তখনকার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে বলেছিলেন সাকিবকে, জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, দরকার পড়লে দেশের হয়ে টেস্ট-ওয়ানডে খেলবেন না আর। সাকিব অবশ্য টুইট করে জানিয়েছিলেন, এক পক্ষের কথা শুনলে হবে না, বার্বাডোস থেকে মাঝপথেই আবারও দেশে ফিরছেন তিনি। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে স্ত্রীকে উত্যক্ত করা কোনো দর্শকের গায়ে সাকিব হাত তুলেছিলেন, এমন অভিযোগও এনেছিল বিসিবি। 

    এবার বিসিবি তাকে নিষিদ্ধ করেছিল ৬ মাসের জন্য, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে দেওয়া সে নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত বিদেশী কোনো লিগে খেলতে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না তাকে। তবে অক্টোবরেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় সাকিবের। মাঠের পারফরম্যান্সে খুশি হয়ে বিসিবি তুলে নেয় বিদেশী লিগে খেলার নিষেধাজ্ঞাও। 


    ২০১৭ 
    টেস্ট খেলতে অনীহা, পর্ব ১ 

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে টেস্ট থেকে ৬ মাসের বিরতি চান সাকিব। ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতেই এমন বিরতির দরকার ছিল, বলেছিলেন এমন। সবার পরে টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চান, এমনও জানিয়েছিলেন। বিসিবি তাকে ছুটি দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দুই টেস্ট থেকে। পরে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিল দুটি টেস্ট, তবে সাকিব শেষ পর্যন্ত সেটি খেলতে পারেননি আঙুলের চোট নিয়ে। 

    তার সেই চোটও তৈরি করেছিল আরেকদফা বিতর্ক। চোট নিয়ে সাকিব ও বোর্ড যেন এক কোর্টে ছিল না। পরে সাকিব বলেছিলেন, তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আঙুলের সেই চোটে। স্কোয়াডে না থাকলেও মাঝপথে উড়ে গিয়ে খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতেও।

    পরে আঙুলের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই চেয়েছিলেন আরব আমিরাতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র। 

     


    ২০১৯
    সাকিবের নাটকীয় বছর 

    বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে অফিশিয়াল ফটোসেশন জাতীয় দলের। সবাই আছেন, একমাত্র সাকিব ছাড়া। এমন প্রোগ্রামে সাকিব কেন নেই, তার জবাবে শুধু ‘দুঃখজনক’ বলেছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। পরে জানানো হয়েছিল, অফিসিয়াল ফটোসেশনের যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সাকিব সেটি বুঝতেই পারেননি। অবশ্য এ নিয়ে ওঠা বিতর্কে নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে সাংবাদিকদের কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। পরে আবার জার্সিতে লাল রঙ কেন নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সমালোচনা ওঠার পর জার্সিই বদলে ফেলেছিল বিসিবি।

    বিশ্বকাপে অতিমানবীয় এক পারফরম্যান্সের পর শ্রীলঙ্কা সফরে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। অক্টোবরে হুট করেই সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে ধর্মঘটে গিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটাররা, সাকিব সে ধর্মঘটে ছিলেন সামনের দিকেই। এরই মাঝে এক টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, যা বিসিবির মতে তাদের চুক্তির শর্তের বাইরে। কদিন পর ফেটেছিল আরও বড় বোমা, জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে তাকে এক বছর নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। পরে সাকিব বলেছিলেন, তিনি চান, তার নিষেধাজ্ঞা থেকে শিক্ষা নিক সবাই। 


    ২০২০-২০২১

    ক্রিকেটে ফেরা, টেস্টে অনীহা পর্ব ২ 

    নিষেধাজ্ঞার পর বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছিলেন সাকিব। অবশ্য ফাইনাল খেলতে পারেননি পারিবারিক কারণে। কোভিড-১৯-এর প্রায় শুরু থেকেই পরিবারের সঙ্গে তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন, ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পেয়ে উঠে গেলেও হন ম্যাচসেরা। তখনই সংবাদ আসে, নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যক্তিগত কারণে খেলবেন না সাকিব, তৃতীয়বারের মতো বাবা হতে যাচ্ছেন তিনি। এর জবাবে সাকিব বলেন, এসব ভেতরের কথা বাইরে কীভাবে আসে, সে নিয়ে প্রশ্ন আছে তার। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে করেন ফিফটি, তবে বোলিংয়ের সময় আবারও নতুন করে চোট পেয়ে উঠে যেতে হয়, সে টেস্টে আর খেলতে পারেননি। শেষদিন কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমাহ বনারের মহাকাব্যিক জুটিতে ভর করে ঐতিহাসিক জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মাঠের পাশ থেকে সে সময় অধিনায়ক মুমিনুল হককে পরামর্শ দিতেও দেখা যায় সাকিবকে। মিরপুর টেস্ট থেকে এরপর ছিটকে যান তিনি, বিসিবি পরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। 

    নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২০ সালের আইপিএল খেলতে না পারা সাকিবকে ২০২১ আসরের নিলামে প্রায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় কিনে নেয় তার পুরোনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপরই খবর আসে, শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছেন সাকিব। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান আকরাম খান একাধিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, কেউ খেলতে না চাইলে তাকে জোর করে খেলাবে না বিসিবি