• লা লিগা
  • " />

     

    মেসির ইতিহাস গড়ার দিনে সোসিয়েদাদকে নিয়ে বার্সার ছেলেখেলা

    মেসির ইতিহাস গড়ার দিনে সোসিয়েদাদকে নিয়ে বার্সার ছেলেখেলা    

    ইতিহাসটা ম্যাচের একাদশ ঘোষণার সময়েই হয়ে গিয়েছিল। বার্সার জার্সিতে লিওনেল মেসির ৭৬৮তম ম্যাচ ছিল কাল, ছাড়িয়ে গেলেন পূর্বসূরি জাভির রেকর্ড। ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার দিনটা এর চেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারতেন না তিনি। দুই গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন এক গোল, সোসিয়েদাদকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বার্সা ভালোমতোই আছে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে। যদিও তার আগেই অ্যাটলেটিকো জয় পেয়ে এখন লিগের শীর্ষেই আছে। 

    এই সোসিয়েদাদের মাঠ একসময় বার্সার জন্য ছিল দুর্গ। সান সেবাস্তিয়ানে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তাদের হারাতে পারেনি বার্সা। কিন্তু কাল বলতে গেলে কাল সোসিয়েদাদকে নিয়ে একরকম ছেলেখেলাই করেছে বার্সা। বেশ কিছুদিন থেকেই রোনাল্ড কোমানের দল মনে করিয়ে দিচ্ছে গার্দিওলার সেই সর্বজয়ী দলের খেলাকে, কালও বার্সার খেলাতে ছিল সেই ছাপ। প্রথম গোলটা পেতে ৩৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বার্সাকে। আলবার ক্রস থেকে দেম্বেলের শট কিপার ফিরিয়ে দেওয়ায় ফিরতি বলটা জালে জড়িয়ে দেন গ্রিজমান। এরপর প্রথমার্ধ শেষের আগে প্রথম গোলটা করেছেন রাইটব্যাক সার্জিও দেস। মেসির দুর্দান্ত এক থ্রু বল থেকে ডান পায়ের ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশে বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজের ফিনিশিং ক্ষমতার আরও একবার প্রমাণ দিয়েছেন দেস। এবার বাঁদিকে ঢুকে পড়েছিলেন আলবা, তার ক্রস থেকে চিলের মতো উড়ে এসে পা লাগিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছেন দেস। 

    এরপর মেসি ঠিক করলেন মঞ্চটা নিজের করে নেওয়ার। বুসকেটসের দুর্দান্ত এক থ্রু বল থেকে গোল করলেন, যেরকম বল একসময় নিয়মিত পেতেন জাভি-ইনিয়েস্তাদের কাছ থেকে। এরপর উসমান দেম্বেলে নিজের প্রথম গোল করে বার্সার ব্যবধান করলেন পাঁচ গুণ। অসহায় সোসিয়েদাদ এরপর দারুণ এক গোলে ব্যবধান একটু কমিয়েছে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। এরপর ফিফায় দেখা দুর্দান্ত কিছু পাস বিনিময়ের পর মেসি করেছেন নিজের দ্বিতীয় ও বার্সার ষষ্ঠ গোল।

    এই জয়ের পর ২৮ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা রইল দুইয়ে। আগের ম্যাচে আলাভেসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো। ক্যারিয়ারে ৫০০তম গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, আর ইয়ান অবলাক করেছেন পেনাল্টি সেভ। ২৮ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরেই রইল অ্যাটলেটিকো।