• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কোয়ার্টার-ফাইনালের অভিশাপ কাটিয়ে সিটিকে সেমিতে নিয়ে গেলেন গার্দিওলা

    কোয়ার্টার-ফাইনালের অভিশাপ কাটিয়ে সিটিকে সেমিতে নিয়ে গেলেন গার্দিওলা    

    লিগে সাফল্য অনেক হয়ে গেছে তাদের, এসেছে সব ট্রফিও। কিন্তু একটা ট্রফির জন্য ম্যান সিটি বা পেপ গার্দিওলার আক্ষেপ কিছুতেই ঘুচছিল না। চ্যাম্পিয়নস লিগে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না সিটির, গত তিনবার স্বপ্ন ভেঙে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালেই। আজও সেরকম একটা শংকা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা উড়িয়েই সিটি পা রেখেছে শেষ চারে। ডর্টমুন্ডের মাঠে এসে জিতেছে ২-১ গোলে, দুই লেগ মিলে ৪-২ গোলের সহজ জয়েই পৌঁছে গেছে সেমিতে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের ফাইনালিস্ট পিএসজি।

    ঘরের মাঠে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই জার্মানিতে গিয়েছিল ম্যান সিটি, কিন্তু পেপ গার্দিওলা জানেন, ফলটা মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পরের লেগে জেতার চেয়ে হারার রেকর্ডই বেশি।

    ডর্টমুন্ডকে যেহেতু জিততেই হবে, শুরু থেকেই সেই বার্তা দিয়ে রেখেছে তারা। প্রথম গোলটার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছ ১৫ মিনিট। হালান্ডের শট ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর বক্সের মাথায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন জুড বেলিংহাম। ইংলিশ টিনএজার অনেক হাইপের পর বার্মিংহাম থেকে যোগ দিয়েছিলেন ডর্টমুন্ডে। আজ বড় মঞ্চে দেখালেন, সেটা নেহাত অমূলক নয়। প্রথমে বাঁ পায়ের দারুণ এক টাচে বলটা ডান পায়ে নিলেন, এরপর বুলেট শটে জড়িয়ে দেন জালে।

    সিটি অবশ্য এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু গোলটা আর পাচ্ছিল না তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন, বক্সের ভেতর চকিতে বল পেয়ে তার ডান পায়ে নেওয়া শট আসে পোস্টে লেগে। ফিরতি বলটা হেড করে পোস্টে রাখতে পারেননি বার্নার্দো সিলভা।

    তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাঙ্খিত গোলটা পেয়ে যায় সিটি, তাদের মহাআরাধ্য অ্যাওয়ে গোল। একটা ক্রস ঠেকাতে গিয়ে হেড করেছিলেন এমরে চান, সেটা তার হাতে লাগায় রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। তবে চান বলছিলেন বল হেড দিয়ে ক্লিয়ার করতে গিয়েই হ্যান্ডবল হয়েছে। ভিএআর বেশ কিছুক্ষণ সময় নিলেও শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। পেনাল্টি অবশ্য ডি ব্রুইন নন, নিতে এসেছিলেন মাহরেজ। তবে এবার আর লিভারপুলের ম্যাচের মতো কিছু হয়নি। বল জালে জড়িয়ে সিটিকে এনে দিয়েছেন গোল। 

    এরপর ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত সলো রান থেকে দ্বিতীয় গোলটা পেয়েই যাচ্ছিল সিটি। কিন্তু সেটা আর হয়নি। সেবার ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দিলেও পারেননি ফিরতি কর্নার থেকে। ফিল ফোডেনের বাঁ পায়ের গোলার মতো পোস্টে লেগে ঢুকে গেছে জালে, সেটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে সিটির সেমি। গার্দিওলার প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা গেছে, জয়টা কতটা দরকার ছিল তার।

    সেটাই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করে দিয়েছে সিটির জয়। বার্সার হয়ে ডাবলের পর আরও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগের কাছাকাছি পেপ, আর সিটি নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো গেল শেষ চারে। পিএসজির সঙ্গে তাদের লড়াইটা জম্পেশই হওয়ার কথা।