• বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর ২০২১
  • " />

     

    "টোন সেট করে দিয়েছেন তামিম ভাই"

    "টোন সেট করে দিয়েছেন তামিম ভাই"    

    প্রথম ইনিংসে দলের রান যখন ১ উইকেটে ৩৯, তামিম ইকবালের রানই তখন ৩৭। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান যখন ৫২, তামিম ইকবালের হয়ে গেছে ফিফটি! প্রথম ইনিংসে আলগা শটে সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন ১০ রানের জন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে সুযোগ দেয়নি বৃষ্টি। তবে অধিনায়ক মুমিনুল হক বলছেন, বড় স্কোরের পর ড্র করা ম্যাচে তাদের টোনটা সেট করে দিয়েছিলেন তামিমই। 

    সবুজাভ উইকেটে দুই দলই তিন পেসার নিয়ে নেমেছিল, তবে এটি শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছে মরা এক পিচে। টেস্টের একদম প্রথম ঘন্টায় একটু সহায়তা পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান পেসাররা, তবে যথেষ্ট ছিল না সেটি। অবশ্য শুরুতেই সাইফ হাসান ফেরার পর চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ, তামিম অমন ইনিংস না খেললে বাড়তে পারতো সেটি। 

    ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর নাজমুল হোসেন শান্তও বলেছিলেন, তামিমের ব্যাটিং কাজটা সহজ করে দিয়েছিল তার। এদিন মুমিনুলও বলছেন তামিমের কথাই, “ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলেন আমাদের টোন সেট করে দিয়েছে তামিম ভাই। উনার ৯০ রানের ইনিংসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর শান্ত অসাধারণ ব্যাট করেছে। আমি সবচেয়ে বেশি খুশি যে দল হিসেবে সবাই ভাল করেছে, দলীয় পারফরম্যান্স ছিল। লিটন (দাস), মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) ভাই সবাই।”

    দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ যখন নামে, এর আগেই মোটামিট এ টেস্টের কপালে ড্র লেখা হয়ে গেছে। তবে আগেরদিন শ্রীলঙ্কা হেড কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, জয়ের জন্য একটু ‘পুশ’ করবেন তারা। দ্রুত রান তোলার পর দ্রুতই সাইফ-শান্তকে ফিরিয়ে সেটি করেছিলেনও তারা। এবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তামিমই, আক্রমণ করে গেছেন ক্রমাগত। 

    “আপনারা প্রথম থেকে যদি দেখেন, উনি ছোটবেলা থেকে… আপনারা তো জানেনই- উনার খেলার ধরনই এরকম। আমার খেলার ধরন আরেকরকম। উনি শটস খেলতে পছন্দ করেন। আমার আজকে ১১টা সেঞ্চুরি, উনার মতো খেলতে গেলে হয়ত পাঁচটা হতো কিনা সন্দেহ। তো একেকজনের খেলার প্যাটার্ন একেকরকম, একেকজনের খেলার পরিকল্পনা একেকরকম”, তামিমের ব্যাটিং নিয়ে বলেছেন মুমিনুল। 

    শেষ পর্যন্ত এমন উইকেটে ড্র ফলটাই ‘ভাল’ মনে করা মুমিনুল প্রশংসা করেছেন ২০১৭ সালের পর প্রথমবার টেস্ট খেলতে নামা তাসকিনেরও, “‘আমি তাসকিনের বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। ওর বোলিং দেখে মনে হচ্ছে না...আপনারা জানেন কিনা জানিনা এই টেস্ট নিয়ে ও মাত্র ৬টা টেস্ট খেলেছে। তো কোনভাবেই মনে হয়নি ৬টা টেস্ট ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়। আপনারা হয়ত জানেন না, ও গত এক দেড় বছর থেকে ‘অনেক চেষ্টা করছে, অনেক কষ্ট করছে। আমার মনে হয় এটা কষ্টের ফল। সত্যি কথা বলতে ও অনেক অ্যাফোর্ট দিয়েছে। সত্যিকথা বলতে যখন দলের দরকার তখন এসেছে। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বল করাও কঠিন। আমি খুবই খুশি ওর পারফরম্যান্সে।”

    অন্তত সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পর একটা অ্যাওয়ে টেস্ট ড্র করাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তিনি, “আমরা গত হোম সিরিজ-অ্যাওয়ে সিরিজে ওইরকম ফল করতে পারিনি। একটা হোম সিরিজ হারার পর বিদেশে টেস্ট ড্র করতে পারা আমার কাছে মনে হয় ভাল একটা দিক। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্যই সবার ভেতরে আত্মবিশ্বাস দেবে। সবাই দলগতভাবে খেলেছে। বাংলাদেশ যখনই দলগতভাবে খেলতে পারে তখনই ভাল অবস্থায় থাকে।”