• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে উড়ে গেল রোমা, আশা বাঁচিয়ে রাখল আর্সেনাল

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে উড়ে গেল রোমা, আশা বাঁচিয়ে রাখল আর্সেনাল    

    ১৪ বছর আগে এই ওল্ড ট্রাফোর্ডে রোমাকে সাত গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইতেড। এরপর অনেক সময় গেছে, এরপর রোমার আরেকবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসায় সেই স্মৃতি তাদের আবার মনে করিয়ে দিয়েছে ইউনাইটেড। সেমির প্রথম লেগে ৬-২ গোলের জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে ইউনাইটেড। অন্য ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে আর্সেনাল, তবে অ্যাওয়ে গোল বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের আশা। 

    ইউনাইটেডের এই ম্যাচের আগে কিছুটা উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল। ড্রয়ের পর ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সোলশার বলেছিলেন, রোমা সম্পর্কে তেমন একটা জানা নেই তার। সেই কথাকে 'অপমান' ধরে রোমার একজন বলেছিলেন, রোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে কারা তারা। আসার আগে সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ যুদ্ধংদেহী একটা সংবর্ধনাও পেয়েছিল রোমা। যদিও সোলশার পরে বলেছেন, রোমাকে কোনোভাবেই খাটো করতে চাননি।

    শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল ইউনাইটেডের। দারুণ একটা টিম গেমের পর এডিনসন কাভানির পাস থেকে দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।  এরপর হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে বসে তারা। পল পগবা পেনাল্টি উপহার দেন, সেখান থেকে গোল করে সমতা ফেরান পেলেগ্রিনি। পরে এডিন জেকোর গোলে এগিয়ে যায় রোমা, ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই যায় হাফটাইমে। 

    তবে বিরতির পর আবার ফিরে আসে ইউনাইটেড। শুরুটা করেছিলেন কাভানি, দারুণ এক গোলে সমতা ফেরানোর পর। এরপর কাভানিকে স্মলিং ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড, গোল করে এগিয়ে দেন ফার্নান্দেজ। কাভানি তার পর ট্যাপ ইন করে পান নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল। সেট পিস থেকে হেড করে গোল করে পগবা ব্যবধান বাড়ান আরও। আর কাভানির আরেকটি দুর্দান্ত পাস থেকে গোল করে ম্যাসন গ্রিনউড কফাইন ঠুকে দেন শেষ পেরেজক। সেই ১৯৬৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের পর এই প্রথম কোনো দল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ চারে ছয় গোল দিল। 

    অন্য ম্যাচে থিরেগোস মুনোজের গোলে শুরুতে এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। রাউল আলবিওলের গোলে ব্যবধান বাড়ায় তারা। এরপর দ্যানি সেবাওস লাল কার্ড দেখলে দশ জনের দল হয় আর্সেনাল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গুছিয়ে খেলে তারা, নিকোলাস পেপের পেনাল্টি গোলে ব্যবধান কমায়। ৮০ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ভিয়ারিয়ালের এতিয়েন কাপু। তবে পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেলেও একটা অ্যাওয়ে গোল হজম করতে হয়েছে ভিয়ারিয়াল ম্যানেজার উনাই এমেরিকে।