• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    বিজয় ৬৯*, প্রাইম ব্যাংক ১৬৯, রূপগঞ্জ ৬৮

    বিজয় ৬৯*, প্রাইম ব্যাংক ১৬৯, রূপগঞ্জ ৬৮    

    প্রাইম ব্যাংক-রূপগঞ্জ, মিরপুর
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৬৯/৫, ২০ ওভার (এনামুল ৬৯*, রনি ৫৩, মিঠুন ১৮, মুক্তার ৩/২৮, নাবিল ১/২৫, শহিদ ১/৩৭)
    লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ৬৮ অল-আউট, ১৮ ওভার (জাকের ১৬, নাহিদুল ৩/১৫, নাঈম ২/১৩, রুবেল ২/১৭, মিঠুন ১/৫)
    প্রাইম ব্যাংক ১০১ রানে জয়ী 


    আগের ম্যাচে মোহামেডানকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছিল তারা, এবার তারা নিজেরাই পরিণত হলো প্রাইম ব্যাংকের ছেলেখেলায়। ৬৮ রানেই গুটিয়ে গিয়ে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ, করতে পারেনি এনামুল হক বিজয়ের সমান রানই। এরপর আবার বোলিং-ই করেননি মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাইম ব্যাংকের জয়টি বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে পঞ্চম বৃহত্তম, যে জয় দিয়ে আবারও টেবিলের শীর্ষে চলে গেছে তারা।  

    মিরপুরে এনামুল হক বিজয়ের ৪৯ বলে ৬৯*, রনি তালুকদারের ৩১ বলে ৫৩ রানে ১৬৯ রান তুলেছিল প্রাইম ব্যাংক। এরপর নাহিদুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, নাঈম হাসানদের তোপে লড়াইটাও করতে পারেনি রূপগঞ্জ। তিনজন দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, তবে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি কেউ।



    রানতাড়ায় নাহিদুল ইসলামের করা প্রথম ওভারের প্রথম ৪ বলে আজমির আহমেদ তুলেছিলেন ১২ রান, ৫ম বলে নিচু হওয়া ডেলিভারিটায় হয়েছেন বোল্ড। সেই যে পা হড়কেছে রূপগঞ্জ, আর দাঁড়াতে পারেনি সোজা হয়ে। দ্বিতীয় ওভারে রুবেলকে স্কুপ করতে গিয়ে উড়ানটা পাননি সাব্বির রহমান। নিজের করা পরের দুই ওভারে নাহিদুল নিয়েছেন আরও দুই উইকেট- পিনাক ঘোষ সোজা হওয়া বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ, স্লগ করতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন নাইম ইসলাম। 

    মাঝে শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলেছেন জাকের আলি, ইনিংস ধসের অলিখিত নিয়ম মেনে রান-আউট হয়েছেন সানজামুল ইসলাম। রুবেল এরপর ফিরিয়েছেন মুক্তার আলিকে, এর আগে সোহাগ গাজি ও কাজি অনিক হয়েছেন নাঈম হাসানের শিকার। রূপগঞ্জের শেষটা হয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের বোলিংয়ে- নাবিল সামাদ তার বলে হয়েছেন বোল্ড। 

    মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল প্রাইম ব্যাংক, ওপেনিংয়ে আবারও তামিম নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি, ফিরেছেন ২০ বলে ১২ করে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রনি ও বিজয় যোগ করেছেন ৬৭ রান, রনির উইকেটে ভেঙেছে সে জুটি। ২৮ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি, তিন ম্যাচে এটি দ্বিতীয় ফিফটি তার। ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। 

    বিজয় ফিফটি করেছেন ৪৩ বলে, শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত, ইনিংসে মেরেছেন ২টি চারের বিপরীতে ৫টি ছয়। প্রথম তিন ম্যাচে এক অঙ্কে ফেরা বিজয় গত দুই ইনিংসে খেলেছিলেন ৩০-এর কাছাকাছি ইনিংস, এবার সেটি বড় করতে পারলেন তিনি। বিজয়ের অপরাজিত ইনিংসের সঙ্গে শেষদিকে অমিত মজুমদার খেলেছেন ৩ বলে ১১ রানের ক্যামিও।