• বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফর
  • " />

     

    তামিমের সেঞ্চুরির পর সোহান-আফিফে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ

    তামিমের সেঞ্চুরির পর সোহান-আফিফে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ    

    কাজটা বাংলাদেশ সেরে রেখেছিল আগেই। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের অংকে ডেড রাবার বলে কিছু নেই। তৃতীয় ওয়ানডেতেও তাই বাংলাদেশ জিতে শেষ কাজটাও সেরে রাখল। ২৯৯ রান তাড়া করে তামিমের সেঞ্চুরিটা কাজ এগিয়ে রেখেছিল। তবে রানতাড়ায় সুযোগ পেয়ে সেটা দিন শেষে সবচেয়ে কাজে লাগিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। 

    মোস্তাফিজুর রহমান ফেরায় শরিফুল বসে ছিলেন বাইরে, আর মিরাজের চোটের জন্য সোহাহ পেয়েছিলেন সুযোগ। আজ টসে জিতেছেন তামিম, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বল করার। আগের ম্যাচে বোলাররা কমবেশি নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করেছিলেন, কিন্তু আজ সেটা হয়নি। সবচেয়ে বেশি দুঃস্বপ্ন গেছে সাইফ উদ্দিনের ওপর দিয়েই। শুরু থেকে ছিলেন এলোমেলো, শেষ দিকে তো রীতিমতো ঝড় গেছে। 

    জিম্বাবুয়েকে পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন রেজিস চাকাভা। আগের ম্যাচগুলোর মতো আজও ব্যাট করেছেন দারুণ,। ব্রেন্ডন টেলর ও ডিওন মায়ার্সকে নিয়ে দুইটি জুটিতে এগিয়ে নিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৮৪ রানে। তবে জিম্বাবুয়ের রান ২৯৯ হয়েছে মূলত শেষ দিকের ব্যাটিংয়ে। সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল মধ্যে সাইফ উদ্দিনের একার একটা ওভার থেকেই নিয়েছেন ২২ রান। ৫৪ বলে ৫৭ রান করেছেন রাজা, বার্ল চারটি ছয়ে ৪৩ বলে করেছেন ৫৭। ৮ ওভার বল করে ৮৭ রান দিয়েছেন সাইফ উদ্দিন। ২০০তম ওয়ানডেতে নেমে শুরুতেই উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পরে পেয়েছেন আরেকটি। তবে তিনটি করে উইকেট নিয়ে সাইফ উদ্দিন ও মোস্তাফিজই ছিলেন সফলতম বোলার। 

    এই রান তাড়া করে বাংলাদেশ পেয়েছে দারুণ শুরু। তামিম-লিটনের শুরুর জুটি থেকে এসেছে ৮৮ রান। মাদেভেরেকে সুইপ করতে গিয়ে লিটনের আউতে ভেঙেছে জুটি। এরপর সাকিব শুরুটা ভালো করেও আগের ম্যাচের মতো কিছু করতে পারেননি, আউট হয়েছেন ৩০ রানে। ওদিকে তামিম অবশ নিজের কাজটা করে যাচ্ছিলেন। ১০০র বেশি স্ট্রাইক রেটে পেয়ে গেছেন নিজের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, এর মধ্যে ছিল তিন ছয়। 

    তবে ১১২ রান করে তামিমকে আউট করেছেন টিরিপানো। প্রথম বলেই এরপর আউট মাহমুদউল্লাহ, হঠাৎ ম্যাচে ফেরার আশা জিম্বাবুয়ের। তবে সেটা শেষ করে দিয়েছেন সোহান। ওদিকে মিঠুন কুৎসিত ব্যাটিং করলেও সোহান খেলেছেন দারুণ। মিঠুন শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ৩০ রান করে আউট হয়েছেন, তবে সোহান ছিলেন ৩৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত। শেষ দিকে ১৭ বলে ২৬ রানে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ।