• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    মেসি-নেইমারদের হোঁচট, ইতিহাদে গোলবন্যা আর অ্যানফিল্ডে থ্রিলার: চ্যাম্পিয়নস লিগের আরেকটি স্মরণীয় রাত

    মেসি-নেইমারদের হোঁচট, ইতিহাদে গোলবন্যা আর অ্যানফিল্ডে থ্রিলার: চ্যাম্পিয়নস লিগের আরেকটি স্মরণীয় রাত    

    চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে আরেকটি স্মরণীয় রাত গেল। অ্যানফিল্ডে লিভারপুল আর এসি মিলান আরেকটি থ্রিলারের জন্ম দিল। ইতিহাদে হলো অবিশ্বাস্য এক ম্যাচে, নয় গোলের এক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ম্যান সিটি লাইপজিগকে হারিয়েছে ৬-৩ গোলে। তবে দিনের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য খবর, বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুশে মেসি-নেইমার-এমবাপেদের ঠেকিয়ে দিয়েছে ১-১ গোলে। 

    বেসিকতাসের বিপক্ষে ডর্টমুন্ডের জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল আজকের চ্যাম্পিয়নস লিগ। ওদিকে ম্যান সিটি আর লাইপজিগের ম্যাচে শুরু থেকেই নাটক। সিটি দুই গোল দেওয়ার পর এনকুকুর গোলে ব্যবধান কমাল লাইপজিগ। এরপর মাহরেজ গোল দিলেন, কিন্তু এনকুকু আবার ব্যবধান কমালেন (৩-২)। কিন্তু দ্বিতীতার্ধে জ্যাক গ্রিলিশ সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে পেলেন নিজের প্রথম গোল (৪-২)। কিন্তু এনকুকু করে বসলেন হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়নস লিগে পেপ গার্দিওলার দলের বিপক্ষে যা তৃতীয়। এর আগে এই কীর্তি ছিল শুধু লিওনেল মেসি ও জেমি ভার্ডির। আর লাইপজিগের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি। ৪-৩ এর পর জোয়াও ক্যানসেলো সেটিকে ৫-৩ করলেন। আর গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে শেষ পর্যন্ত সেটি ৬-৩ হলো। 

    লিভারপুল আর এসি মিলান মানেই ইস্তাম্বুল ২০০৫ এর সেই মিরাকল। সেরকম না হলেও আজ অ্যানফিল্ডেও কম নাটক হয়নি। শুরুতে মো সাআলাহর পেনাল্টির মিসের পরেও ট্রেন্ট আলেকজান্ডাড় আরনল্ডের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে দুই মিনিটের পর আনতে রেবিচ ও ব্রাহিম দিয়াজের দুই গোলে এগিয়ে যায় মিলান। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ফিরে আসে লিভারপুল, সালাহ গোল করে সমতা ফেরান। আর জর্ডান হেন্ডারসনের দুর্দান্ত এক গোলে জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। 

    পিএসজির ম্যাচে আজ প্রথমবারের মতো একাদশে ছিলেন মেসি, সঙ্গে ছিলেন নেইমার ও এমবাপেও। কিন্তু ১০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ব্রুশে ঠেকিয়ে দিয়েছে তাদের। আন্দের হেরেরা গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি, পরে সমতা ফিরিয়েছে ব্রুশে। শেষ পর্যন্ত আর গোল করতে পারেননি মেসিরা, উলটো মাঠ ছেড়ে চোট পেয়ে বেরিয়ে গেছেন এমবাপে। ব্রুশেই বেশি সুযোগ পেয়েছিল, পিএজসিকে তাই দুর্ভাগা বলারও উপায় নেই। 

    দিনের প্রথম হ্যাটট্রিক অবশ্য এনকুকুর নয়, আয়াক্সের সেবাসিটিয়ান হেলার। চার গোল করেছেন শেষ পর্যন্ত, তাও আবার অভিষেকেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে এর আগে অভিষেকে চার গোলের রেকর্ড ছিল ডাচ কিংবদন্তি মার্কো ফন বাস্তেনের।