• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    শেষ বলে ডি ভিলিয়ার্সদের আটকে হায়দরাবাদের সান্ত্বনার জয়

    শেষ বলে ডি ভিলিয়ার্সদের আটকে হায়দরাবাদের সান্ত্বনার জয়    

    গ্রুপ পর্ব, আবু ধাবি (টস- বেঙ্গালুরু/ বোলিং)

    সানরাইজারস হায়দ্রাবাদ ১৪১/৭, ২০ ওভার (রয় ৪৪, উইলিয়ামসন ৩১, হোল্ডার ১৬, হারশাল ৩/৩৩, ক্রিশ্চিয়ান ২/১৪, চেহেল ১/২৭) 

    রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু ১৩৭/৬, ২০ ওভার (পাডিকাল ৪১, ম্যাক্সওয়েল ৪০, ডি ভিলিয়ার্স ১৯*, মালিক ১/২১, কৌল ১/২৪, ভুবনেশ্বর ১/২৫)

    ফলাফল: হায়দ্রাবাদ ৪ রানে  জয়ী

     


    দুই দলেরই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে আগেই। তবে বেঙ্গালুরুর শীর্ষ দুই দলের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার অনেকটাই নির্ভর করছিল এই ম্যাচের ওপর। হায়দ্রাবাদের কাছে শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে হেরে পয়েন্ট তালিকার তিনেই থাকতে হল তাদের। জেসন রয়-কেন উইলিয়ামসনের ৭০ রানের জুটির পর হারশাল পাটেলের রেকর্ড গড়া ৩ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর পর ১৪২ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয়নি বেঙ্গালুরুর। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২৫ বলে ৪০ রানে বেঙ্গালুরু ঘুরে দাঁড়ালেও স্নায়ু ধরে রেখে ৪ রানের জয় তুলে নিয়েছে হায়দ্রাবাদ। 

    ১৪২ রানের লক্ষ্যে ভুবনেশ্বর কুমারের করা প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ৫ রানে ফেরেন ভিরাট কোহলি। সিদ্ধার্থ কৌল আক্রমণে এসেই এদিন তিনে নামা ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে ফেরানোর পর ঐ ওভারে মেইডেনও দেন। পাওয়ারপ্লেতে ঐ দুই উইকেট খুইয়ে বেঙ্গালুরু তোলে ৩৭ রান। 

    হাত খুলতে শুরু করা শ্রীকার ভারত পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই উসমান মালিকের গতিময় বাউন্সারে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। উইকেটে এরপর আসা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের খেলা দেখে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না যে বেঙ্গালুরুর স্কোরবোর্ডে ইতিমধ্যেই ৩ উইকেট নেই। দারুণ প্রতিআক্রমণে হায়দ্রাবাদ বোলারদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলে দেবদূত পাডিকালকেও সময় নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। সপ্রতিভ ম্যাক্সওয়েল হুট করেই কঠিন এক সিঙ্গেল নিতে গেলে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন কেন উইলিয়ামসন। 

    ২৫ বলে ৪০ রান করে ম্যাক্সওয়েল থামার পর উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারছিলেন না এবি ডি ভিলিয়ার্সও। উইকেটে অনেকক্ষণ ধরে থাকা পাডিকাল তাই আক্রমণের দায়িত্ব নিতে গেলে রশিদ খানকে মাঠছাড়া করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫২ বলে ৪১ করে। এরপর শাহবাজ আহমেদের এসেই হাত খুলে খেলা ছাড়া উপায়ও ছিল না। তা করতে গিয়ে জেসন হোল্ডারের বলে উইলিয়ামসনের ক্যাচের শিকার হয়ে তিনি ফেরেন ৯ বলে ১৪ রান করে। শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার হলে ডি ভিলিয়ার্স একটিই ছয় বের করতে পারলে ভুবনেশ্বর দলকে এনে দেন ৪ রানের জয়। 

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় হায়দ্রাবাদ। এদিন ওপেন করতে নামা অভিষেক শরমাআগের বলেই ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলে জর্জ গারটনের করা দ্বিতীয় ওভারের পরের বলেই ফিরে যান ১৩ রান করে। উইকেটে এসে কেন উইলিয়ামসন সেই উইকেটের কোনও প্রভাব এরপর পড়তে দেননি। জেসন রয়কে নিয়ে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষে হায়দ্রাবাদকে নিয়ে যান ৫০ রানে। 

    পাওয়ারপ্লের পরেই দুই স্পিনার শাহবাজ আহমেদ ও যুজবেন্দ্র চেহেল লাগাম টেনে ধরেন।দশম ওভারে আক্রমণে ফিরে দুজনের তৈরি করা সেই চাপের সুফল পান হারশাল পাটেল। তার অফ কাটার তুলে মারতে গেলে বল স্টাম্পে ডেকে এনে ২৯ বলে ৩১ রান করে ফেরেন কেন উইলিয়ামসন। উইকেটে এসে প্রিয়াম গার্গ স্পিন সামলে নিলেও ফেরেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের বলে ১৫ রান করে। ৪৪ রানে থাকা রয় হাত খোলার সুযোগ খুঁজতে থাকলে ঐ ওভারের শেষ বলেই নিজের বলে ফিরতি ক্যাচে তাকে ফেরান ক্রিশ্চিয়ান। পরের ওভারের প্রথম বলেই চেহেলের শিকার হয়ে আব্দুল সামাদ ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় হায়দ্রাবাদ। ন

    মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসার চাপেই হারশাল পাটেলের শিকার হয়ে এরপর ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। এই উইকেট দিয়েই আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া ভারতীয় হন হারশাল। ইনিংসের শেষ বলে তিনি হোল্ডারকেও ফেরালে তার উইকেট সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ২৯। শেষ ছয় ওভারে ৩৬ রান করে ৫ উইকেট খুইয়ে হায়দ্রাবাদ গিয়ে থামে ১৪১ রানে। পরে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ বেঙ্গালুরু রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তাদের শীর্ষ দুইয়ে শেষ করার সম্ভাবনা শেষই বলা যায়।    ং