• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডকে 'পাড়ার ক্লাব' বানিয়ে আরও একবার ম্যানচেস্টারকে নীল রঙে রাঙাল সিটি

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডকে 'পাড়ার ক্লাব' বানিয়ে আরও একবার ম্যানচেস্টারকে নীল রঙে রাঙাল সিটি    

    ১৯৮৬ সালের এই দিনে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মাঠে পা রেখেছিলেন সেসময়ের সবচেয়ে ‘আলোচিত ম্যানেজার’। অ্যাবারডিন স্কটল্যান্ড থেকে এসে নিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব। বাকিটুকু ইতিহাস। ২০১৩ তে অবসরে যাবার আগে ইউনাইটেডকে জিতিয়ে গেছেন সবকিছুই। এমন এক বিশেষ দিনে অবশ্য নিজের দলকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বিদের কাছে নাকানি-চুবানি খেতে দেখাটা মোটেও স্যার অ্যালেক্স ফারগুসনের জন্য সুখকর নয়। আর এই হার যে ওলে গানার সোলশারের জন্য যে মোটেও ভালো কোন সংকেত নয়। সিটির কাছে ২-০ গোলে হেরে এবার বোধহয় আবারও তিনি দূর থেকে শুনতে পাচ্ছেন বিদায়ঘণ্টা।

    ম্যানচেস্টার ডার্বিতে রেড ডেভিল শিবিরে আঘাত হানতে সময় বেশি সময় নেয়নি সিটি। ৬ মিনিটের মাথাতে লেফট চ্যানেল থেকে কানসেলোর ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে উলটো জালে পাঠিয়ে দেন ম্যান ইউনাইটেড ডিফেন্ডার এরিক বায়ি। অথচ, এই এরিক বায়িই চ্যাম্পিয়নস লিগে আটালান্টার বিরুদ্ধে যিনি ছিলেন দেয়াল হয়ে, সেদিনের বীরোচিত পারফরম্যান্সের প্রতিদানে আজকের একাদশে জায়গাও পেয়েছিলেন। কিছু অবশ্য করারও ছিল না। বক্সে তিনি ছাড়া ছিলেন না ইউনাইটেডের আর কেউই। কিছু করতে পারেননি ডি গেয়াও। ম্য্যান ইউনাইটেড ০- ম্যান সিটি।

    আগামীকাল ৩১ এ পা দেবেন ডি গেয়া। ২০১১ থেকে সামলে যাচ্ছেন রেড ডেভিলদের গোল পোস্ট। আজ ছিল রেড ডেভিলদের জার্সি গায়ে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ৩৫০ তম ম্যাচ। এমন এক দিনে সিটির একের পর এক আক্রমণ নিজেই ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ২৮ মিনিটে জেসুসের শট, কিংবা ঠিক তার একটু পরই ফোডেনের বুলেট লো ভলি, ডি ব্রুইনার শট- প্রথম হাফে অন্তত ৫টি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়েছেন ডি গেয়া। ম্যান ইউনাইটেডকে ম্যাচে তিনিই রেখেছিলেন।

    তবে আর পারেননি ৪৫ মিনিটের মাথায়। এবারোও কানসেলোর লবড বল বক্সে। ম্যাগুয়ার ওয়্যান বিসাখারা কিছু টের পাওয়ার আগেই পকেট স্পেইস বের করে টাচলাইন থেকে বেরনাদো সিলভার আলতো ছোঁয়া। বলের গতিবধির তালগোল পাকিয়ে ডি গেয়ার বুকে লেগে বল জালে। যে বলটা ঠেকানো সবচেয়ে সহজ ছিল, সেটাই আটকাতে আর পারেননি ডি গেয়া। ম্যান ইউনাইটেড ০-২ ম্যান সিটি।

    ৩-৪-১-২ তেই দল নামিয়েছিলেন সোলশার। ফাটকা একদমই কাজে লাগেনি, উলটো তার দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছিল স্লথ, এবং দৃষ্টিকটু। বায়িকে তুলে নিয়ে স্যাঞ্চোকে নামিয়ে শেষমেষ ৪-২-৩-১ এ ফেরত যেতে হয়েছে তাকে। তবে পেপ গার্দিওলা ও ম্যান সিটি ইঞ্চি পরিমাণ সুযোগও দেননি আজ রেড ডেভিলদের। দ্বিতীয় হাফে তাই কোন ধরণের রূপকথার গল্প লেখা হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে তাই এবার শেষ হাসি পেপ গার্দিওলার। আর সোলশারের জন্য অনন্ত দুঃস্বপ্ন যাত্রা।