• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১
  • " />

     

    জয় দিয়েই কোহলিকে বিদায় দিল ভারত

    জয় দিয়েই কোহলিকে বিদায় দিল ভারত    

    সুপার ১২, দুবাই (টস- ভারত/ বোলিং)
    নামিবিয়া ১৩২/৮, ২০ ওভার (ভিসা ২৬, বার্ড ২১, ভ্যান লিঙ্গেন ১৪, জাদেজা ৩/১৬, আশ্বিন ৩/২০, বুমরাহ ২/১৯ )
    ভারত ১৩৬/১, ১৫.২ ওভার (রোহিত ৫৬, রাহুল ৫৪*, সূর্যকুমার ২৫*, ফ্রাইলিঙ্ক ১/১৯)

    ফলাফল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী

     

    আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ হলেও এই ম্যাচের সাথে জড়িয়েছিল ভারত সমর্থক ও খেলোয়াড়দের আবেগ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে ভিরাট কোহলির এটিই ছিল শেষ ম্যাচ; পাশাপাশি ভারতের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীরও ছিল বিদায়ী ম্যাচ। দুজনকেই যোগ্য বিদায়ী উপহার ভারত দিয়েছে নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে।

    সেমিফাইনালে উঠতে না পারার যত দুঃখ-কষ্ট ছিল সব যেন মাঠেই উগড়ে দেওয়ার জন্যই নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। পাওয়ারপ্লের বেশিরভাগ সময়ই স্ট্রাইক ধরে রেখে ছিলেন মারমুখী মেজাজে। অপর প্রান্তে লোকেশ রাহুল দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও তরতর করেই রান উঠছিল ভারতের। পাওয়ারপ্লেতে দুজন মিলে তাই তোলে ৫৪ রান।

    এর মধ্যেই মাত্র ৩য় ব্যাটসম্যান ও ২য় ভারতীয় হিসেবে ৩০০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত। তার কিছুক্ষণ পরেই ৩১ বলে নিজের ২৪তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটিও তুলে নেন। ফিফটির পরে ম্যাচ দ্রুত শেষ করার তাড়নাতে ইয়ান ফ্রাইলিংকের স্লোয়ারে স্লগ সুইপ করতে ফগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রান করে থামেন তিনি।

    রোহিত থামলেও থামেননি রাহুল। এরপর নিজেই রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন; তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সূর্যকুমার যাদব। ৩৫ বলে রাহুল নিজের ফিফটি পূর্ণ করার পর চার মেরে তুলির শেষ আঁচড়টা দেন তিনিই।  


    এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নামিবিয়ার শুরুটা ভালই হয়েছিল। স্টেফান বার্ড-মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেনের ওপেনিং জুটি চার ওভারেই তুলে ফেলে ৩১ রান। কিন্তু পাওয়ারপ্লের শেষ দুই ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর আঘাতে ভ্যান লিঙ্গেনের পাশাপাশি রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হয়ে ফেরেন ক্রেইগ উইলিয়ামস। পাওয়ারপ্লে শেষে নামিবিয়া তাই তোলে ৩৪ রান।

    এক ওভার পরেই জাদেজার আঘাতে ২১ রান করে বার্ডও ফিরে গেলে বিপদে পড়ে নামিবিয়া। জাদেজার সাথে জুটি গড়ে রবিচন্দ্রন আশ্বিন চেপে বসেন নামিবিয়া ব্যাটসম্যানদের ওপর। ইয়ান নিকোল লফটি-ইটনকে ফেরানোর এক ওভার পরেই অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাসকেও ফেরান আশ্বিন। নিজের শেষ ওভারে জেজে স্মিটকে জাদেজা ফেরালে আশ্বিনও নিজের স্পেল পূর্ণ করেন শেষ ওভারে জেইন গ্রিনকে ফিরিয়ে।

    অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখা ডেভিড ভিসা নিজেও অবশ্য হাত খুলতে পারছিলেন না। শেষ দুই ওভারে তার কোনও বিকল্প না থাকলে বুমরাহকে বেরিয়ে এসে খেলতে যান। কিন্তু দারুণ স্লো ইয়র্কারে কোনোমতে ব্যাট লাগিয়ে আকাশে বল ভাসিয়ে রোহিত শর্মার ক্যাচের শিকার হয়ে ২৬ রানে ফিরে যান তিনি। শেষ ওভারে রুবেন ট্রাম্পেলমানের চার-ছয়ে ১৩ রান এলে নামিবিয়া গিয়ে পৌঁছায় ১৩২ রান পর্যন্ত। অনায়াসেই অবশ্য সেই লক্ষ্য তাড়া করে রবি শাস্ত্রীকে বিদায়ী উপহার দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা কোহলির জন্য অধরাই হয়ে থাকলেও বড় এই জয়ে মুখে এক চিলতে হাসি নিয়েই অধিনায়কত্বের টুপিটা তুলে রাখতে পেরেছেন।