• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ফাউলময় ম্যাচে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ড্র, পরে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলো মেসিদের

    ফাউলময় ম্যাচে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ড্র, পরে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলো মেসিদের    

    সাতসকালে ঢুলুঢুলু চোখে যারা আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন, তারা ম্যাচটা বেশিদিন মনে রাখতে চাইবেন না। ৪২ ফাউলের ও ৭ হলুদ কার্ডের এক ম্যাচে খেলোয়াড়দের চেয়ে রেফারিকেই বেশি সক্রিয় থাকতে হয়েছে, কোনো গোলও হয়নি। ব্রাজিল আগেই বিশ্বকাপে উঠে গিয়েছিল, এই ম্যাচ ড্রয়ের পর বেশিক্ষণ অপেক্ষায়ও থাকতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। চিলির হারে নিশ্চিত হয়েছে, টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বকাপে যাচ্ছে মেসিরা। 

    নিজেদের মাঠে শুরু থেকে মাঠে ছিলেন মেসি। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা কিছু ভালো সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছে, কিন্তু পরিষ্কার কিছু ছিল না। সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল যখন রদ্রিগো দি পল বক্সের বাইরে থেকে থেকে মাটি কামড়ানো শট করেছিলেন। কিন্তু এলিসন ঝাঁপ দিয়ে বাঁচিয়ে দেন দলকে। এই অর্ধেই একটা দুঃসংবাদ পায় আর্জেন্টিনা, চোটের জন্য মাঠ ছেড়ে যান ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। নিকলাস ওটামেন্ডি লাল কার্দের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন, তবে রাপিনহার মুখে কনুই দিয়ে মেরেও হলুদ কার্ড দেখেই বেঁচে যান। 

    দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা চলতে থাকে আগের মতোই। এই অর্ধে পুরো ম্যাচে গোলের সবচেয়ে কাছকাছি গিয়েছিলেন ব্রাজিলের ফ্রেড। বক্সের বাইরে থেকে তার করা ভলি পোস্টের ওপর চুমু খেয়ে চলে যায় বাইরে। অবশ্য নিচে থাকলেও হয়তো মার্তিনেজ তা ঠেকিয়ে দিতেন। শেষ দিকে একটা ঝলক দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি, দুজনকে ছিটকে তার ট্রেডমার্ক বাঁ পায়ের শট সরাসরি চলে যায় এলিসনের কাছে। 

    এই ড্রয়ে অব্যাহত থাকে আর্জেন্টিনার ২৭ ম্যাচের অপরাজিত যাত্রা। তবে বড় সুসংবাদ আর্জেন্টিনা পেয়েছে ম্যাচের পর। চিলি ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেছে। দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের পর তারা দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নিশ্চিত করল। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা ইকুয়েডরেরও অনেকটা নিশ্চিত।