আলাবা-ক্রুস-বেনজেমায় অবশেষে শেরিফকে পার করল রিয়াল মাদ্রিদ

   

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের এবারের একমাত্র হারটা এসেছিল এই শেরিফ তিরাসপোলের বিপক্ষেই। নিজেদের অভিষেক মৌসুমেই ইউরোপের সর্বাধিক সাফল্যমন্ডিত এই ক্লাবকে হতচকিত করে অসাধারণ জয়ের উপাখ্যান রচনা করা শেরিফ অপেক্ষায় ছিল নিজেদের রূপকথার গল্পে আরও একটি অধ্যায় যোগ করার। তবে এবার আর সেই সুযোগ দিল না রিয়াল মাদ্রিদ। দোর্দণ্ড প্রতাপে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে নিজেদের কর্তৃত্বের প্রমাণ দিল মাঠেই, সেই সাথে গ্রুপের শীর্ষে থেকে নিশ্চিত করল নকআউট পর্বে নিজেদের উত্থান।

শেরিফের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ যদি কোনও উষ্ণ অভ্যর্থনার কথা ভেবেও থাকে, মাঠে নামার সাথে সাথেই সেই আশায় জল ঢেলে দেয় শেরিফ সমর্থকেরা। তারকাদের মেলা দেখে মনে মনে তার খুশি হোক বা না হোক, নিজের দলের জন্য মাঠে ছিল সমর্থকদের অকুণ্ঠ সমর্থন। তবে শেরিফ সমর্থকদের বিদ্রুপকে নিজেদের হাতিয়ার বানিয়ে শুরু থেকেই ম্যাচের দখল নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।

তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পায় তারা। ডেভিড আলাবার দারুণ ফ্রি-কিক শেরিফ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নিলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে আরও একটি গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রিগোর পাস বক্সের মাথায় টনি ক্রুসকে খুঁজে নিলে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। প্রবল গতির সেই শট বারে লেগে লাইনের ভেতরে পড়লে কার্লো আনচেলত্তির দল দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই শেষ করে প্রথমার্ধ। 

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার দশ মিনিটের মাথায় ফারল্যান্ড মেন্ডি বল পায়ে শেরিফের রক্ষণ গলে ঢুকে গেলে বক্সে ক্রস বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট সময় পান। ঠাণ্ডা মাথায় সেখান থেকে বেনজেমাকে খুঁজে নিলে সেখান থেকে বল জালে জড়াতেও ভুল করেননি দারুণ ফর্মে থাকা বেনজেমা। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এই গল দিয়ে আবারও টানা ৪ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে গোলের দেখা পান তিনি। 

তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটা একেবারেই একপেশে বানিয়ে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদ। আর কোনও গোলের দেখা না পেলেও সহজ জয় দিয়েই নকআউটে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের আগে বেনজেমার মামলার শুনানির কোনও প্রভাব যেমন নিজের খেলায় পড়তে দেননি বেনজেমা, তেমনই তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ হয়নি পুরো দলেরও। শেরিফ তাই দেখা পেল সেই শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদেরই; রূপকথার স্বপ্ন দেখলেও নতি স্বীকার করেই ফিরতে হল তাদের