• লা লিগা
  • " />

     

    ভিনিসিয়াসের শেষের জাদুতে রিয়ালের সেভিয়া-জয়

    ভিনিসিয়াসের শেষের জাদুতে রিয়ালের সেভিয়া-জয়    

    রিয়াল আছে টেবিলের শীর্ষে, সেভিয়া চারে। সেভিয়ার সুযোগ ছিল দুই ধাপ এগুনোর। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে শুরুতেই রাফা মীরের গোলে এগিয়েও যায় তারা। কিন্ত প্রথমার্ধেই বেনজেমার গোলের পর ম্যাচের শেষের দিকে ভিনিসিয়াসের গোলে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে রাকিতিচদের। এই ম্যাচটার ফলাফলের ভালো একটা ভূমিকা থাকবে হয়তো মৌসুমের শেষে। আর সেখানে তিন পয়েন্ট নিয়ে সমান ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের থেকে চার পয়েন্ট এগিয়েই গেল রিয়াল মাদ্রিদ। 

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থাকা এই দুদলের খেলাটা চলেছে সমানতালে। প্রথম দশ মিনিটে পরিস্কার কোন সুযোগ আসেনি। তবে এরপরেই একটা কর্নারে সেভিয়ার ভাগ্য খুলে যায়। আকুনিয়ার কর্নার রাফা মীরকে খুঁজে নেয় আনমার্কড হিসেবে। ফাঁকা অবস্থায় থেকে মীর দারুণ হেডারে ঝাপিয়ে পড়া কর্তোয়ার পাশ দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। রিয়ালের ডিফেন্স ভুল করেছে আরও! কারভাহালের একটা ভুল পাস ইন্টারসেপ্ট করে রাফা মীর বল পেয়ে গিয়েছিলেন একেবারে বক্সের সামনে। এরপর প্রথমে বাঁ পায়ে নেওয়া তাঁর শটটায় কর্তোয়াকে পেরিয়ে গেলেও পিছনে গোললাইনের সামনে থাকা আলাবা বল জালে জড়াতে দেন না, পরক্ষণেই আবার রাফা মীর দ্রুতগতির এক শট নিয়েছিলেন, সেটি দারুণভাবে সেভ দিয়ে রিয়ালকে বাঁচিয়ে দেন কর্তোয়া। বল নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে কারভাহাল ভুল করেছেন এরপরেও দুয়েকবার, কিন্ত ভাগ্য ভালো যে কোন বিপদে পড়তে হয়নি। 

    পিছিয়ে পড়ে রিয়ালের খেলার গতি বেড়ে যায় আরও। ভালো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও রিয়ালও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলো। একবার বেশ দূরে থেকেই রিয়াল ডিফেন্ডার মিলিতাও গোলের চেষ্টা করলেন, ডান পায়ে তাঁর নেওয়া শটটা এরপর সেভিয়া গোলরক্ষক বোনো পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে না পারলে বল পোষ্টে লেগে চলে আসে সামনে, বেনজেমা এসে বল জালে জড়িয়ে দেন সহজেই। প্রথমার্ধের শেষের দিকে মেন্ডি বাঁ প্রান্ত থেকে ডিফেন্স ঠেলে ভিতরে ঢুকে বক্সের কিনারায় থাকা আসেনসিওকে দিয়েছিলেন বল, আসেনসিওর বল মেরে দিয়েছেন বারের সামান্য উপর দিয়ে। আর এর আগে অকাম্পস বক্সের একটু বাইরে থেকেই দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন, যেটিতে বল বারে লেগে যাওয়ায় প্রথমার্ধে আর কোন গোলের দেখা মিলেনি। 

    দ্বিতীয়ার্ধে খেলা কিছুটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় রিয়াল। এগিয়েও যেতে পারতো আনচেলত্তির শিষ্যরা। আসেনসিওর বাঁ পায়ের একটা শটে বল জালে ঢুকতেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিলো, চলে যায় সামান্য বাইরে দিয়ে! আরেকবার ক্রসের ফ্রিকিকে ভাসিয়ে দেওয়া বলে দারুণ এক ভলি নিয়েছিলেন আলাবা, সেবার শটটা রাখতে পারেননি অন টার্গেটে। শেষের দিকে অবশ্য রিয়াল দাপটের সাথেই খেলে গেছে। রিয়ালের আক্রমণে ঠান্ডা মাথায়ই রক্ষণের কাজটাও সামলেছেন সেভিয়া ডিফেন্ডাররা। কিন্ত ৮৭ মিনিটে ভিনিসিয়াসের গোলে তাদের হাতে যে করারও কিছু ছিল না! বাঁ প্রান্তে এক বল রিসিভ করে ভিনিসিয়াস ড্রিবল করে ভিতরে ঢুকতে থাকেন, এরপর ডান টপ কর্নারে বুলেট শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। 

    ইনজুরি টাইমে অবশ্য সেভিয়াও সমতায় ফিরতে পারতো। কর্তোয়া কর্নারের পর হেডার থেকে আসা বল দারুণ রিফ্লেক্সে সেভ দিয়ে দেন। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে তাই খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে সেভিয়াকে। যার ফলে ম্যাচের আগে টেবিলে দুইদল যেখানে ছিল সেখানেই আছে ম্যাচ শেষেও। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া এখন আছে টেবিলের চতুর্থ স্থানে। আর রিয়াল আছে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই।