• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    ক্রাইস্টচার্চের প্রথম দিনেই বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে আনলেন ল্যাথাম-কনওয়ে

    ক্রাইস্টচার্চের প্রথম দিনেই বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে আনলেন ল্যাথাম-কনওয়ে    

    ২য় টেস্ট, ক্রাইস্টচার্চ (টস- বাংলাদেশ/বোলিং)

    নিউজিল্যান্ড- ৩৪৯/১ (ল্যাথাম ১৮৬*, কনওয়ে ৯৯*, ইয়াং ৫৪, শরিফুল ১/৫০)


    মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের অসামান্য জয়ের পর সিরিজ জয়ের যে আশা দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ ক্রাইস্টচার্চে প্রথম দিনেই তা যেন দুরাশায় পরিণত হয়েছে। কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম এগুচ্ছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির পথে; সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে আছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে। এই দুজনে ভর করে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড এগিয়ে চলছে বিশাল সংগ্রহের দিকে। 

    বিশাল এই সংগ্রহের ভিত ল্যাথাম গড়ে তুলেছিলেন প্রথম সেশন থেকেই, উইল ইয়াংকে সঙ্গী করে। আগের টেস্টে তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলাম যেরকম শুরু করেছিলেন বল হাতে, তার ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি এদিন। অথচ পিচে এদিন ছিল দারুণ বাউন্স। মেঘলা আকাশের নিচে ঘাসে ঢাকা হ্যাগলি ওভালের সেই উইকেটেই বোলাররা নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন। আগের ম্যাচের নায়ক এবাদত হোসেন তো একেবারেই বিবর্ণ। 

    এই এবাদতই অবশ্য তার স্পেলের শুরুতে সুযোগ তৈরি করেছিলেন। নিজের প্রথম ওভারেই দুই বার ল্যাথামকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন; দুবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ল্যাথাম। প্রথম সেশনেই ৯২ রান তুলে ফেলা নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙার সুযোগ এরপর এবাদত তৈরি করেছিলেন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। ২৬ রানে থাকা ইয়াংয়ের ক্যাচ সেবার দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাস ফেলে দেন। এরপর আর বলার মত কিছুই করতে পারেননি এবাদত; প্রথম দিনেই গুনেছেন একশো’র ওপরে রান। 

    খরুচে এবাদতের এই বিবর্ণ দশা কাজে লাগিয়ে এরপর ল্যাথাম গড়ে তুলেছেন রানের পাহাড়। তুলে নিয়েছেন নিজের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি, সেটাও নিজের দ্রুততম হিসেবে (১৩৩ বলে)। কনওয়ে এসেও হেসেখেলেই রান করেছেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে সপাটে সুইপ, রিভার্স সুইপ করেছেন। শেষ দিকে পুরনো বলে মিরাজের বল কয়েকবার কনওয়ের উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করলেও মিরাজকে আক্রমণের মন্ত্র থেকে সরে আসেননি কনওয়ে।

    কনওয়ের আক্রমণের অন্য প্রান্তে সবুজ চাদরকে যেন নিজের উঠান মনে করেই খেলে গিয়েছেন ল্যাথাম। বাংলাদেশের বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে আগের ম্যাচের ধার ফেরত না আসলে দ্বিতীয় দিনেও তাই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও একটি ক্লান্তিকর দিন।