• বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০২২
  • " />

     

    ফ্লেচার-সৌম্য-পেরেরার ঝড়, উড়ে গেল নির্বিষ বোলিংয়ের সিলেট

    ফ্লেচার-সৌম্য-পেরেরার ঝড়, উড়ে গেল নির্বিষ বোলিংয়ের সিলেট    

    খুলনা-সিলেট (টস-খুলনা/বোলিং)

    সিলেট সানরাইজার্স- ১৪২/৫, ২০ ওভার (মিঠুন ৭২, মোসাদ্দেক ৩৪, খালেদ ২০/২, সামাদ ১০/১, সৌম্য ১৬/১) 

    খুলনা টাইগার্স- ১৪৪/১, ১৪.২ ওভার (ফ্লেচার ৭১*, সৌম্য ৪৩, পেরেরা ২২*, অপু ৩৯/১)

    ফলাফল: খুলনা ৯ উইকেটে জয়ী 

     

    লড়াইটা ছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানির দুই দল খুলনা টাইগার্স ও সিলেট সানরাইজার্সের। দুই দলই ঘুরছে হারের বৃত্তে। খুলনাকে সেই হারের বৃত্ত থেকে বের করে এনেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার, সৌম্য সরকার ও থিসারা পেরেরা। দুই ওপেনারের ব্যাটে চড়ে জয়ের ভিত পায় খুলনা। সৌম্য ফিরলে বাকি কাজটা করেছেন থিসারা পেরেরা। এই তিনজনের বিপক্ষে কোনো সুবিধাই করতে পারেননি সিলেটের বোলাররা। তারা মাঠ ছেড়েছেন আরো একটি হার সঙ্গী করে। 


    সৌম্যর ব্যাটে রান, মারকুটে ফ্লেচার

    অবশেষে রানের দেখা পেলেন সৌম্য। আগের তিন ম্যাচে সর্বসাকুল্যে করেছেন ১৪ রান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের রানখরা কাটলো আজ সিলেটের বিপক্ষে। সাবধানী ব্যাটিং করেছেন শুরু থেকেই। ফ্লেচারকেও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। দুজন গড়েছেন ৯৯ রানের জুটি একপ্রান্তে ফ্লেচার মেরে খেলেছেন, অন্যপ্রান্তে সৌম্য ছিলেন নিজের নামের মতোই ধীরস্থির। তবে সুযোগ বুঝে খেলেছেন বড় শট।  ৩১ বলে খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। 

    শুরু থেকেই খুনে মেজাজে ছিলেন ফ্লেচার । সোহাগ গাজীকে দুই চার আর ছক্কা মেরে সেই ইংগিত দেন দ্বিতীয় ওভারেই। মোসাদ্দেককে মেরেছেন টানা তিন ছক্কা। ৪৭ বলে খেলেছেন ৭১ রানের বিধ্বংসী এই ইনিংস। তবে জীবন পেয়েছেন তিনবার। তিনবার ক্যাচ দিলেও সিলেটের ফিল্ডাররা তা হাতে রাখতে পারেননি। সেই সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা।  

    সৌম্য আউট হওয়ার পর দারুণ এক ক্যামিও খেলেছেন পেরেরা। মাত্র নয় বলে করেছেন ২২* রান। তিন চারের সাথে এক ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকেই খুলনার জয়সূচক ছক্কাটি এসেছে। ৩৪ বল হাতে রেখে দলকে এনে দেন তৃতীয় জয়। 



    সিলেটের নির্বিষ বোলিং

    ১৪২ রানের পুঁজি নিয়েও কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সিলেট। একাদশের নতুন দুই বোলার জুবায়ের হোসেন লিখন-সিরাজ আহমেদের কাছ থেকেও আসেনি বিশেষ কিছু। মিরপুরের স্লো উইকেটে নাজমুল ইসলাম অপুও দেখাতে পারেননি ভেলকি। যদিও খুলনার একমাত্র উইকেটটি পড়েছে তার বলেই। তবে সবচে খরুচে বোলিং ফিগারও এই বাঁহাতি স্পিনারেরই। 

    অথচ একই উইকেটে এক ইনিংস আগে খুলনার নাবিল সামাদকে খেলতেই পারেননি সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। 


    সিলেটের হাইলাইটস মোসাদ্দেক-মিঠুন

    আগের চার ম্যাচ মিলে করেছেন মাত্র ৩৫। এক ম্যাচেই সেটাকে ছাড়িয়ে গেলেন মিঠুন। তার চওড়া ব্যাটেই সিলেট পেয়েছে লড়াই করার পুঁজি। খুলনার বোলারদের তোপে শুরুতেই ধুঁকেছে সিলেট। মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন মিঠুন। পঞ্চম উইকেটে দুজন গড়েন ৬৪ রানের জুটি। মোসাদ্দেক ফিরেছেন ৩৪ রানে।  

    শুরুতে ধীরেসুস্থে খেললেও স্লগ ওভারে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মিঠুন । শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। ৫১ বল খেলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। স্পিনারদের পাশাপাশি খুলনার পেসারাদেরও দারুণ সামলেছেন মিঠুন। বিশেষ করে পেরেরার স্লোয়ারগুলোতে বিভ্রান্ত হননি। তাকে ছয় মেরেই চলতি বিপিএলে প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।