• আইপিএল
  • " />

     

    মার্শের মারাত্মক অলরাউন্ড প্রদর্শনীতে প্লে-অফের দৌড় জমিয়ে দিল দিল্লি

    মার্শের মারাত্মক অলরাউন্ড প্রদর্শনীতে প্লে-অফের দৌড় জমিয়ে দিল দিল্লি    

    রাজস্থান-দিল্লি, মুম্বাই (টস-দিল্লি/বোলিং)
    রাজস্থান রয়্যালস- ১৬০/৬, ২০ ওভার (আশ্বিন ৫০, পাডিক্কাল ৪৮, জাইসওয়াল ১৯, সাকারিয়া ২/২৩, মার্শ ২/২৫, নরকিয়া ২/৩৯)
    দিল্লি ক্যাপিটালস- ১৬১/২, ১৮.১ ওভার (মার্শ ৮৯, ওয়ার্নার ৫২*, পান্ট ১৩*, বোল্ট ১/৩২, চেহেল ১/৪৩ )
    ফলাফল: দিল্লি ৮ উইকেটে জয়ী

     

    রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াই আরও জমিয়ে তুলল দিল্লি। সেই কাজটা যেন প্রায় একাই সারলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে খেললেন আইপিএলে তর্কসাপেক্ষে তার সেরা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী সন্দেহাতীতভাবে সেরা ইনিংস। রবিচন্দ্রন আশ্বিনের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটির আনন্দ মাটি করার পাশাপাশি রাজস্থানের কপালেও চিন্তার ভাঁজ আরও পুরুই যেন করলেন মার্শ; সেই সাথে নিজেদের আশার পালে লাগালেন জোর হাওয়া।

     

    আশ্বিনের প্রথমে সঙ্গী পাডিক্কাল

    এবারের আসরে বেশ কয়েকবার আশ্বিনকে তিনে নামিয়েছে রাজস্থান। কুলদিপ যাদব-অক্ষর পাটেলের স্পিন জুটিকে নিষ্ফলা করতেই হয়ত এদিন দলে রাসি ভ্যান ডার ডুসেন দলে থাকা সত্ত্বেও আশ্বিনই নামলেন তিনে। কারণ যাই হোক, জস বাটলার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আশ্বিনকে নিয়ে রাজস্থানের খেলা ফাটকাটা ঠিকই কাজে লেগে গেল। নবম ওভারে মার্শের প্রথম শিকার হয়ে আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ইয়াশাসভি জাইসওয়াল ফিরে গেলে দেবদূত পাডিক্কালকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন আশ্বিন। দুজনেই দিল্লির স্পিন জুটির ওপর চড়াও হন। তবে আশ্বিন তার বহুল আরাধ্য মাইলফলকের দেখা পান চেতন সাকারিয়ার ওভারে। ওই ওভারে সাকারিয়াকে আপার কাট করে টি-টোয়েন্টিতে নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ড গড়ার পর শেষ বলে পূর্ণ করেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি, ৩৭ বলে। ঠিক তার পরের বলেই আবারও হন্তারকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আশ্বিনের যাত্রা সেখানেই থামিয়ে দেন মার্শ। আশ্বিন ফিফটি পেলেও পাননি এতক্ষণ তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া পাডিক্কাল। মাঝে সাঞ্জু স্যামসন, রিয়ান পরাগের ক্ষণস্থায়ী ইনিংসের কারণে শেষদিকে গিয়ার পাল্টানো আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায় পাডিক্কালের জন্য। নরকিয়াকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে কাম্লেশ নাগারকোটির দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে শেষ হয় পাডিক্কালের ৩০ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে নেমে ভ্যান ডার ডুসেন খুব একটা সুবিধা করতে না পারায় তাই ১৬০ রানের বেশি এগোতে পারেনি রাজস্থান।

    দানবীয় মার্শের পাশে ক্ষুদে দর্শক ওয়ার্নার

    রানের খাতা খোলার আগেই শ্রীকার ভারত ফেরার পরে উইকেটে এসে মার্শ যেন ঢুকে গিয়েছিলেন খোলসের ভেতরে। প্রাসিধ কৃষ্ণার মেইডেন দিয়ে শুরু করাতে ১২ বলে এক সময়ে ৩ রানে ছিলেন মার্শ। আশ্বিনকে ছয় মেরে সেই যাত্রায় কিছুটা জড়তা কাটান। এরপর গিয়ার পাল্টান এই স্পিন জুটির ওপর চড়াও হয়েই। অন্য প্রান্তে এদিন তাই শুধুই যেন দর্শক ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়ার পরে ওই কৃষ্ণা সহ আরেক পেসার কুলদিপ সেনকেও ছেড়ে কথা বলেননি মার্শ। যুজবেন্দ্র চেহেলকে ছয় মেরে ৩৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন মার্শ। দুজনে মিলে এরপর ১৪তম ওভারে এসে ছুঁয়ে ফেলেন শতরানের জুটি ও দলীয় শতরান। ১৭তম ওভারে দুজনে মিলে বোল্টকে ২ চার ও ১ ছয় মেরে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেললে পরের ওভারের প্রথম বলেই চেহেলকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মার্শ; তার আগেই ৫টি চার ও ৭টি ছয়ে সাজানো ৬২ বলে ৮৯ রানের অতিমানবীয় ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে রেখেই ফেরেন তিনি।  উইকেটে এসেই পান্টের দুই ছয় ও ৪১ বলে ওয়ার্নারের ফিফটি পূর্ণ করায় দিল্লি তাই ম্যাচ জিতে যায় ১১ বল হাতে রেখেই।