• ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ:কেমন হবে আপনার ফ্যান্টাসি একাদশ?

    পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ:কেমন হবে আপনার ফ্যান্টাসি একাদশ?    

    মুলতানের প্রখর রোদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খাপ খাওয়াতে পারবে নাকি সেটা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠলেও ক্রিকেট প্রেমীরা হয়ত মুখিয়ে আছে মাঠের খেলায়। নিকোলাস পুরানের নতুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামবে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন আত্মবিশ্বাসী এক পাকিস্তানি দলের। সেই সিরিজকে সামনে রেখেই ফ্যান্টাসি দল সাজাতে গিয়ে বিবেচনা করতে পারেন নিচের নামগুলো।


    ব্যাটার

    ফাখর জামান
    আইসিসি সুপার লিগের এই সংস্করণে ১০ ম্যাচে ৪৬.৯ গড়ে ৪৬৯ রান করেছেন ফাখার। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত সেই ১৯৩ রানের ইনিংস। ২টি সেঞ্চুরি ও ১টি ফিফটি পাওয়া ফাখার অবশ্য পাকিস্তানের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়ত রানে ফিরবেন তিনি। 

    ইমাম-উল-হক
    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সিরিজ কাটিয়েছেন ঘরের মাটিতে। একই সাথে সুপার লিগে ১২ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরির পাশে পেয়েছেন ৫টি ফিফটি। ৫৪.৩৬ গড়ে ৫৯৮ রান করা ইমামকে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য এই সিরিজে অনায়াসে আপনার একাদশে রাখতে পারেন।

    বাবর আজম
    এই সিরিজের একাদশ সাজাতে গেলে নিঃসন্দেহে আপনার একাদশের প্রথম নাম হবে বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়ক একইসাথে সুপার লিগের এই সংস্করণের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১২ ম্যাচে তিনি পেয়েছেন ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফিফটি। ৯০.২ গড়ে ৯০২ রান করা বাবর যে পাকিস্তানের মাটিতে অপ্রতিরোধ্য সেটার প্রমাণ তো তিনি রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ সিরিজেই।

    শাই হোপ (উইকেটকিপার)
    ওয়ানডেতে বরাবরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভরসার নাম শাই হোপ, যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারের সুপার লিগেও। ১৪ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফিফটি সহ হোপ করেছনে ৬১০ রান। ৪৬.৯২ গড়ে রান তোলা হোপ একই সাথে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

    শামার ব্রুকস
    সদ্য সমাপ্ত নেদারল্যান্ডস সিরিজেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। এবারের সুপার লিগের আসরেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রানের মাঝেই আছেন। ৯ ম্যাচে ৪৫ গড়ে ৩৬০ রান করা ব্রুকস হতে পারে আপনার আরেকজন ব্যাটার।

    অলরাউন্ডার

    কাইল মেয়ার্স
    নেদারল্যান্ডস সিরিজে শেষদিকে ঝড় তোলার সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন মেয়ার্স। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকেই রেকর্ড গড়া সেই সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদা পোশাকে, তবে সাদা পোশাকে সেই অর্থে সুযোগ পাননি। এই সিরিজে সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ১ সেঞ্চুরি সহ ৩ ম্যাচে করেছেন ১৪২ রান, তাও ১০৫.৯৭ স্ট্রাইক রেটে। সাথে ৬ ম্যাচের ছোট ক্যারিয়ারে ৪ উইকেট পাওয়া মেয়ার্স যে বল হাতে পারদর্শী তার প্রমাণ তিনি লাল বলে প্রায়ই দিয়েছেন।

    খুশদিল শাহ
    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে শেষ সিরিজে খুশদিল দেখিয়েছেন মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ শেষ করে আসার সক্ষমতা। সুপার লিগে ৪ ম্যাচে ৩৯.৫ গড়ে ৭৯ রান করার পাশাপাশি এই লেগ স্পিনিং অল রাউন্ডারের নামের পাশে আছে ২টি উইকেট।

    বোলার

    আলজারি জোসেফ
    ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সুপার লিগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী পেসার তিনি। সদ্য আইপিএল জিতে আসা জোসেফ ১৭ ম্যাচে ৪.৪৫ ইকোনমি রেটে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। পাকিস্তানের উইকেটে পেসারদের জন্য যেটুকু সহায়তা পাওয়া যায় তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার সামর্থ্য তার আছে।

    হারিস রউফ
    সুপার লিগে যৌথভাবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি। ১১ ম্যাচে ৫.৭৫ ইকোনমি রেটে ১৯ উইকেট পাওয়া রউফ আবারও গতির ঝড়ে ক্যারিবিয়ানদের ব্যতিব্যস্ত করে রাখবেন সেই আশা করাই যায়।

    আকিল হোসেন
    সদ্য সমাপ্ত নেদারল্যান্ডস সিরিজের সেরা খেলোয়াড় আকিল হোসেন একইসাথে সুপার লিগের  এবারের সংস্করণের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ১৭ ম্যাচে মাত্র ৪.৩৮ ইকোনমি রেটে তিনি পেয়েছেন ৩০ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় স্পিন অস্ত্রও হতে যাচ্ছেন আকিল।

    শাহীন শাহ আফ্রিদি
    ২০২১ সালের আইসিসি বর্ষসেরা একই সাথে সুপার লিগে পাকিস্তানের হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ১১ ম্যাচে ৫.৫৮ ইকোনমি রেটে ১৯ উইকেট পাওয়া আফ্রিদিকে একাদশে নিতে আপনার হয়ত খুব একটা পরিসংখ্যানের প্রয়োজনও নেই।