• নেশনস কাপ
  • " />

     

    গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ ইউরো ফাইনালের রিপ্লে

    গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ ইউরো ফাইনালের রিপ্লে    

    ইংল্যান্ড ও ইতালির মধ্যকার ইউয়েফা নেশনস কাপের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। টানা চতুর্থবারের মতো ড্রয়ে ম্যাচ শেষ করেছে এই দুই দল। ২০১৪ সালের পর এই দুই ইউরোপীয় পরাশক্তির মধ্যকার কোনো ম্যাচই নির্ধারিত সময়ে বিজয়ীর দেখা পায়নি।   

    ইউরোর ফাইনালের পুনঃচিত্রায়ন বলে অনেক প্রচারণা চালানো হলেও বাস্তবে এ ম্যাচ তেমন উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। মলেনিউ স্টেডিয়ামের ফাঁকা স্ট্যান্ডগুলো যেমন প্রীতি ম্যাচের আমেজ দিচ্ছিল, দুই দলের একাদশও দিচ্ছিল একইরকম ইঙ্গিত। 

    এদিন বড় তারকাদের বিশ্রাম দিয়েই দল সাজান দুই কোচ। ইতালির একাদশে যেমন ছিলেন না বারেল্লা, ইমোবিলে, জর্জিনহোরা; তেমনি ইংল্যান্ডের একাদশে ছিলেন না কেইন, সাকা, আলেকজান্ডার আর্নল্ডরা। তবে এরপরও দুই একাদশে মানের কোনো অভাব ছিল না। অভাব ছিল গোলমুখে পরিপক্বতার। যে কারণে ৯০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। 

    ম্যাচের একদম শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ইতালি। দ্বিতীয় মিনিটে পেলেগ্রিনির বাড়ানো বল নিয়ে গোলকিপারকে ফাঁকা পেয়ে যান ইতালি মিডফিল্ডার ডেভিড ফ্রাত্তেসি। কিন্তু তার নিচু শট সাইডবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। নবম মিনিটে এরচেয়েও পরিষ্কার একটি সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। বক্সে স্টার্লিংয়ের বাড়ানো বলে প্রথম টাচেই শট করেন ম্যাসন মাউন্ট। তার শট ফিরে আসে বারে লেগে। ফিরতি বলে হেড করেন ট্যামি আব্রাহাম। সেটি বাইরে দিয়ে চলে যায়।    

    দুই দলের গুছানো ফুটবল, গুছানো আক্রমণ এবং ক্ষণ-বিশেষে এরকম মিসে সাজানো ছিল প্রথমার্ধের বাকি অংশ। সকল মিসকে অবশ্য ছাপিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে করা রহিম স্টার্লিংয়ের এক ভুল। ৫১ মিনিটে রাইট উইং থেকে রিস জেমসের নেওয়া ক্রস সব ইতালীয় ডিফেন্ডার ও ইংলিশ প্লেয়ারদের পেরিয়ে জায়গা করে নেয় ব্যাকপোস্টে একা দাঁড়িয়ে থাকা স্টার্লিংয়ের পায়ে। একদম ফাঁকা গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে শট নেন এই উইঙ্গার। কিন্তু সে শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।  

    দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের আক্রমণে উঠার হার কমে যায়। দুই দলই কিছুটা নেতিয়ে পড়ে। যে কারণে, রক্ষণের ভুল থেকে হয় কয়েকটি আক্রমণ। তবে সেগুলো থেকেও গোল আদায় করতে পারেনি কেউ।

    তবে হ্যারি কেইন ও জ্যারড বোয়েন বদলি হিসেবে নামার পর ম্যাচের গতি কিছুটা বদলে যায়। এই দুজনের বদৌলতে ইংল্যান্ড আক্রমণভাগে আরও বেশি বলের দখল পেতে শুরু করে, ফলে বাড়তে থাকে আক্রমণের মাত্রাও। শেষদিকের প্রায় সব আক্রমণ ইংল্যান্ড করলেও দোনারুমাকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি তারা। ফলশ্রুতিতে কোনো গোলের চেহারা না দেখেই শেষ হয় ম্যাচ। 

    এই ম্যাচে ড্র করেও তৃতীয় গ্রুপের শীর্ষেই থাকছে ইতালি। অপরদিকে এ নিয়ে তিন ম্যাচে দুই পয়েন্ট কুড়ানো ইংল্যান্ড আছে টেবিলের তলানিতে।