• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ, ২০২২
  • " />

     

    টিমটিম করে জ্বলে ওঠা আশার প্রদীপ দিন শেষে নিভল মেয়ার্সের দাপুটে সেঞ্চুরিতে

    টিমটিম করে জ্বলে ওঠা আশার প্রদীপ দিন শেষে নিভল মেয়ার্সের দাপুটে সেঞ্চুরিতে    

    ২য় টেস্ট, গ্রস আইলেট (টস- ওয়েস্ট ইন্ডিজ/ বোলিং)
    বাংলাদেশ- ২৩৪ (লিটন ৫৩, তামিম ৪৬, শরিফুল ২৬, জোসেফ ৩/৫০, সিলস ৩/৫৩, ফিলিপ ২/৩০)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৩৪০/৫, ১০৬ ওভার (মেয়ার্স ১২৬*, ব্র্যাথওয়েট ৫১, ক্যাম্পবেল ৪৫, মিরাজ ২/৬৮, খালেদ ২/৭৭, শরিফুল ১/৬৭)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০৬ রানে এগিয়ে
    ২য় দিন, স্টাম্পস

     

    প্রথম সেশনে খেলা যেদিকে যাচ্ছিল তা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিয়ে কাইল মেয়ার্স চালকের আসনে বসালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই। প্রথম সেশনে বিপদ হয়ত কিছুটা হলেও চোখ রাঙাচ্ছিল তাদের; দ্বিতীয় সেশনে প্রতি-আক্রমণে জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে সঙ্গী করে বরং বাংলাদেশকেই পিছে ঠেলে দিলেন মেয়ার্স। আর সেশ সেশনে অসামান্য এক সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তো বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকেই প্রায় ছিটকে দিলেন।

    মেয়ার্সের প্রথম সেঞ্চুরিটা নিশ্চয় বাংলাদেশী ভক্তদের মনে আছে। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটাও এল সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। পরিস্থিতি আগের বারের মত প্রতিকুল না হলেও মুহূর্তের মাঝেই হতে পারত সেরকম কিছুই। হতে তো দিলেন না, উল্টো বাংলাদেশী বোলারদের লাইন লেংথ এলোমেলো করে দিলেন, ঠিক যেমনটা করেছিলেন প্রথম সেঞ্চুরিতে। বোলারদের জন্য এমনিতেই পিচে নেই তেমন কোনও সহায়তা। তার মাঝেই অবশ্য লাঞ্চের আগে ১৩২ রান তুলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামের পাশে নেই ৪ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে এসে বোলারদের তোয়াক্কাই করলেন না মেয়ার্স। ফিফটি তুলে নিলেন মাত্র ৭৫ বলেই। সাথে ব্ল্যাকউড দিলেন দারুণ সঙ্গ। অবশ্য চা-বিরতির এক ওভার পরেই মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লেন তিনি ৪০ রানে।

    তাতেও দমার পাত্র তো মেয়ার্স নন। অন্য প্রান্তে জশুয়া ডা সিলভা এসে একেবারে আসন গেড়ে বসলেন; প্রমান রাখলেন অটুট মনোযোগের। তাতেই সুযোগ পেয়ে মেয়ার্স চালিয়ে গেলেন। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে এরপর শরিফুলকে টানা চার-ছয়ে পূর্ণ করলেন সেঞ্চুরি। সেশদিকে বাংলাদেশ তার বিপক্ষে রিভিউ নিলেও বেঁচে যান। জশুয়া ডা সিলভাও একশো’র ওপর বল খেলে আর কোনও উইকেট পড়ার সুযোগ দেননি।

    অথচ প্রথম সেশনে বাংলাদেশ জাগিয়ে তুলেছিল লিডের আশা। দুই ওপেনার এদিনও ভাল শুরু করলেও ফিফটির দ্বারপ্রান্তে এসে ফিরে যান ক্যাম্পবেল শরিফুলের শিকার হয়ে। ফিফটির পরপর স্টাম্প খুইয়ে ফিরে যান উইন্ডিজ অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটও। এর কিছুক্ষণ পরেই জোড়া আঘতে খালেদ ফেরান বনার ও রেইফারকে। লাঞ্চের আগেই চার উইকেট তুলে নিয়েও দিনের শেষে এভাবে হতাশায় ডুবতে হবে তা হয়ত টেরও পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচে ফিরে আসতে হল কাল বাংলাদেশকে তাই করতে হবে অবিশ্বাস্য কিছুই।