• " />

     

    ই-স্পোর্টস গেইমারদের আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

    ই-স্পোর্টস গেইমারদের আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ    

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা এগিয়ে চলেছে অবিরাম গতিতে। সারা পৃথিবী প্রযুক্তির এই অগ্রগতিকে সাদরে গ্রহণ করছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হচ্ছে। ফোর-জি থেকে ফাইভ–জি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এতো অগ্রগতির পরও প্রযুক্তির সুফলভোগীদের অনেকেই আছেন যারা না জেনে ই-স্পোর্টসের বিরোধীতায় মেতেছেন। তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠা বিনোদনমূলক গেইমসকে জুয়ার শামিল করে নেতিবাচক একটি তকমা দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ই-স্পোর্টসকে নেতিবাচকভাবে অর্থাৎ জুয়ার নাম দিয়ে নিজেরাই দেশকে ও দেশের তরুণ সমাজকে পিছিয়ে দিচ্ছি।

    তারই একটি উদাহরণ বুধবার (২০ জুলাই) চুয়াডাঙ্গায় ই-গেমস প্রতিযোগিতাকে মোবাইল গেমের নিষিদ্ধ মোড়কে ফেলে ১০৮ জন গেমারকে আটকের ঘটনা। অপ্রত্যাশিত এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কমিটি ফর এক্সপানশন এন্ড পপুলারাইজেশন অব ই-স্পোর্টস ইন বাংলাদেশ।

    এই কমিটি ইতোমধ্যে দেশে ই-স্পোর্টস ফেডারেশন গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ইতোমধ্যে এই ফেডারেশন তৈরির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছেছে।কমিটি ফর এক্সপানশন এন্ড পপুলারাইজেশন অব ই-স্পোর্টস ইন বাংলাদেশ মনে করে, প্রতিটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের নিজস্ব ইতিবাচকতা এবং নেতিবাচকতা রয়েছে। এটি কীভাবে সমাজে প্রভাব ফেলবে তা নির্ভর করে এর বাস্তবায়ন এবং ব্যবহারের উপর। বিচার-বিশ্লেষণের আগেই নেতিবাচক দিকটাকে সামনে এনে ই-স্পোর্টের সম্ভাবনাকে দমিয়ে দেয়া কোনভাবেই বাঞ্চনীয় নয়। বরং ক্রিকেট, ফুটবলের ন্যায় ফেডারেশনের নিয়ন্ত্রণে ই-স্পোর্টসকে এগিয়ে নিতে সবার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি।

    ইতোমধ্যেই আ্যাপেক্স লিজেন্ড, পাবজি, ফ্রি ফায়ার, এরিনা অব ভ্যালোর, লিগ অব লিজেন্ড কিংবা  মাইনক্রাফটের মতো পপুলার ই-স্পোর্টস বা মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন ব্যাটল গেমকে কেন্দ্র করে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছে তরুণরা।জনপ্রিয় এসব গেম বিশ্বের প্রায় সব দেশে বিদ্যমান এবং দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কয়েক কোটির বেশি। এশিয়ান গেমস ২০২২-এ প্রথমবারের মতো সংযুক্ত হতে যাচ্ছে ই-স্পোর্টস।          

    যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সেক্টর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। মালয়েশিয়া সরকার ই-স্পোর্টসকে চলতি বছর বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করেছে, ভারত ও পাকিস্তান সরকারও গেমিং এবং ই-স্পোর্টস নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। আমাদেরও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। সেটা হলে এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি তরুণরা ই-স্পোর্টসকে পেশা হিসেবে নিতে পারবে।

    অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত অনলাইনভিত্তিক বিনোদন মাধ্যম হিসেবে ই-স্পোর্টস অনেক জনপ্রিয় উঠেছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই ইলেকট্রনিক স্পোর্টস সম্পূর্ণ ভার্চুয়ালি হয়ে থাকে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গেমাররা নির্দিষ্ট কোনো ভিডিও গেমিং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে থাকেন। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে ই-স্পোর্টস প্লেয়ার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা ধরনের নেতিবাচকতা থাকা স্বত্বেও অনেকে এটিকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবেও বেছে নিচ্ছেন বর্তমানে।