• বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফর
  • " />

     

    বার্ল, জংওয়েরা শেখালেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং, বাংলাদেশ শিখল আরও একবার

    বার্ল, জংওয়েরা শেখালেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং, বাংলাদেশ শিখল আরও একবার    

    ৩য় টি-টোয়েন্টি, হারারে (টস-জিম্বাবুয়ে, ব্যাটিং)
    জিম্বাবুয়ে- ১৫৬/৮, ২০ ওভার (বার্ল ৫৪, জংওয়ে ৩৫, আরভিন ২৪, মাহেদী ২/২৮, হাসান ২/২৮, মোস্তাফিজ ১/২২)
    বাংলাদেশ- ১৪৬/৮, ২০ ওভার (আফিফ ৩৯*, মাহমুদউল্লাহ ২৭, মাহেদী ২২, নিয়াচু ৩/২৯, ইভান্স ২/২৬, মাধেভেরে ১/১৪)
    ফলাফল: জিম্বাবুয়ে ১০ রানে জয়ী

     

    ৬৭ রানে নেই ৬ উইকেট, সেখান থেকে জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল আর লুক জংওয়ে যা করে দেখালেন তার সিকিভাগের দেখাও মিলল না বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। তারই খেসারত দিয়ে বাংলাদেশকে বরণ করতে হল এক পরাজয়্‌ যা হয়ত দেশ ছাড়ার আগে ভাবেওনি বাংলাদেশ। আর জিম্বাবুয়ে পেল বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ।

    ১৫৭ হয়ত লক্ষ্য হওয়ার কথাও ছিল না; তবে হলই যখন, এই উইকেটে সেটা তাড়া করার মতই ছিল। তবে সেই লক্ষ্য যেন বাংলাদেশের কাছে সেই একই উইকেটে মনে হচ্ছিল পাহাড়সম। পাওয়ারপ্লেতে জিম্বাবুয়ের যে অবস্থা ছিল বাংলাদেশেরও হল তাই: ৪৫/৩। তবে ভিক্টর নিয়াচুর দারুণ ওপেনিং স্পেলের পরেও অবস্থার পরিবর্তন আনার কোনও লক্ষণ দেখা গেল না বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। দলে ফিরে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং যেন আরও একবার দেখাল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের জরাজীর্ণ দশা। উইকেটে এসে অদ্ভুত এক ইনিংস খেললেন সাবেক অধিনায়ক; ২৭ বলে ২৭ করে ফেরার পরের বলে নতুন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন এসেই প্রথম বলে ফিরলেন। ব্র্যাড ইভান্সের দুর্দান্ত সেই ওভারের পরে ৫ ওভারে প্রয়োজনীয় রান রেট দশের কোঠা পেরুলে উইকেটে থাকা আফিফ হোসেন কিছুটা চেষ্টা করেন। সাথে মাহেদী হাসান শুধু এক ওভারেই চার-ছয় মারতে পেরেছিলেন। ১৭ বলে ২২ রান করে ১৯তম ওভারে মাহেদী ফিরলে ওই ওভারে মাত্র ৭ রান দেন নিয়াচু। নিয়াচু-জংওয়েদের দারুণ ডেথ বোলিংয়ের পরেও প্রশ্ন থেকে যায় বাংলাদেশের মাঝের ওভারের ব্যাটিং নিয়ে। ২৭ বলে ৩৯* রান করে লড়ে যাওয়া আফিফও যে মাঝের ওভারগুলোতে তেমন একটা কিছু করে দেখাতে পারেননি।

    যেটা করে দেখিয়েছেন বার্ল। বাঁহাতি স্পিনারদের যে তিনি হাত খোলার জন্য বেঁছে নেন তা অজানা নয়; আর আগে যে সাকিবের এক ওভারে নিয়েছিলেন ৩০ রান। এবার অবশ্য তাও ছাড়িয়ে গেলেন; ৫ ছয় ও ১ চারে নাসুমের ওভারে নিলেন ৩৪, যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনও বোলারের এক ওভারে দেওয়া সর্বোচ্চ রান! পরে মাহেদী হাসানের এক ওভারেও জংওয়ের সাথে মিলেন ১৭ রান। জংওয়ে ২০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস শেষে ফিরলেও বার্ল ফিফটি পূর্ণ করে ফেরার সময় করেন ২৮ বলে ৫৪ রান। পাওয়ার হিটিংয়ের আদর্শ প্রদর্শনীতে সেই যে নিজেদের দিকে ম্যাচের পাল্লা ঘুরিয়ে নেন; এরপর আর সেই পাল্লা নিজেদের দিকে ঘোরাতে পারেনি বাংলাদেশ।