• বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফর
  • " />

     

    সিরিজের শেষটা হল বাংলাদেশের স্বস্তির জয়ে

    সিরিজের শেষটা হল বাংলাদেশের স্বস্তির জয়ে    

    ৩য় ওয়ানডে, হারারে (টস-জিম্বাবুয়ে, ফিল্ডিং)
    বাংলাদেশ- ২৫৬/৯, ৫০ ওভার (আফিফ ৮৫*, বিজয় ৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩৯, জংওয়ে ২/৩৮, ইভান্স ২/৫৩, রাজা ১/৪২)
    জিম্বাবুয়ে- ১৫১, ৩২.২ ওভার (গারাভা ৩৪*, নিয়াউচি ২৬, মাদান্দে ২৪, মোস্তাফিজ ৪/১৭, তাইজুল ২/৩৪, এবাদত ২/৩৮)
    ফলাফল: বাংলাদেশ ১০৫ রানে জয়ী

     

    ৪০০ তম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ফিরল আপন রুপে। মাথার ওপর ছিল জিম্বাবুয়েতে গিয়ে ওয়াইটওয়াশ হয়ে আশার শঙ্কা, তাও আবার ওয়ানডেতে, যেই ফরম্যাট নিয়ে বাংলাদেশের যথেষ্ট গর্ব রয়েছে বলা যায়। সিরিজের শেষ ম্যাচে সেই গর্বের জায়গাটা কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনলেন মোস্তাফিজ, তাইজুলরা। অভিষিক্ত এবাদত হোসেনের সাথে হাসান মুরাদের জুটিটাও জমেছিল বেশ। এর আগে আনামুল হক বিজয়ের ফিফটির সাথে আফিফ হোসেনের হার না মানা ৮৫* রানে লড়াকু পুঁজি পেয়ে সেটাকেই যথেষ্ট প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের বোলাররা।

    প্রথম দুই ওভারেই মিরাজ ও হাসান মিলে দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর তাসের ঘরের মত লুটিয়ে পড়তে শুরু করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮৩ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে একশোর নিচেই যখন জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল তখনই বাঁধ সাধে শেষ জুটি। রিচার্ড গারাভা-ভিক্টর নিয়াউচি উইকেটে কাটালেন যথেষ্ট সময়, তবে শুধুই কমালেন ব্যবধান। গারাভা তো স্পিনারদের অবশ্য এক হাত নিয়েছিলেন। তবে এদিন স্বরূপে ফেরা মোস্তাফিজে শেষমেশ থামেন নিয়াউচি, জিম্বাবুয়েকে বরণ করতে হয় ১০৫ রানের পরাজয়।

    এর আগে শুরুর সমস্যাটা মোকাবেলা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকেও। ৪৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশের ইনিংসে স্থিতিশীলতা ফেরায় বিজয়-মাহমুদউল্লাহ জুটি। দারুণ এক ফিফটি পূর্ণ করে বিজয় আর একবার দেখান কেন এই ফরম্যাটেই তিনি ঘরোয়াতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। তবে দলকে ১২৪ রানে রেখে ৭১ বলে ৭৬ রানের ইনিংস শেষে বিজয় ফিরলে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। মিরাজকে সঙ্গী করে মাহমুদউল্লাহ তো পুরোই খোলসে ঢুকে যান। অদ্ভুতুড়ে এক ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর মাঝে দেখা যায়নি প্রান্ত বদল করে ইনিংস সচল রাখার খুব একটা স্বদিচ্ছা। ৬৯ বলে ৩৯ রানের দৃষ্টিকটু এক ইনিংস খেলে দলকে বিপদে রেখেই বিদায় নেন তিনি।

    শেষমেশ সেই বিপদে ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন আফিফ। সেঞ্চুরি না পেলেও দারুণ এক ইনিংসে বাংলাদেশকে লড়াই করার সুযোগ এনে দেন। অন্য প্রান্তে ক্রমাগত উইকেট পড়তে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে ৮১ বলে ৮৫* রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এনে দেন সিরিজে নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ২৫৬; তবে দিনশেষে জিম্বাবুয়ের কাছে সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাহাড়সম।